1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন জয়ের যুদ্ধে ম্যাককেইন

রিয়াজুল ইসলাম৩ অক্টোবর ২০০৮

ভিয়েতনাম যুদ্ধের বীর জন ম্যাককেইন তাঁর জীবনের সবচে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ যুদ্ধের ময়দানের শত্রুদের জায়গায় এখন তাঁকে লড়তে হচ্ছে মার্কিনিদের মন জয়ের যুদ্ধে৷

রানিং মেট স্যারাহ পেলিনকে সঙ্গে নিয়ে মার্কিন নির্বাচনে জিততে চান ভিয়েতনাম যুদ্ধের বীর জন ম্যাককেইনছবি: AP

রিপাবলিকান প্রার্থী জন ম্যাককেইন যদি নির্বাচিত হন তাহলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচে বয়স্ক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট৷ কারণ তার বয়স এখন ৭২ চলছে৷ অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বারাক ওবামার বয়স মাত্র ৪৭৷ তবে এ বয়সের ব্যবধানের পক্ষেই ম্যাককেইন শিবির প্রচারণা চালাচ্ছে৷ তারা ওবামার তুলনায় ম্যাককেইনকে অনেক বেশী অভিজ্ঞ বলার পাশাপাশি তার সামরিক অভিজ্ঞতা ও দেশপ্রেমকে ভোটারদের সামনে তুলে ধরছে৷

ম্যককেইন-ওবামা বিতর্কছবি: AP

এর আগে বিগত ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন ম্যাককেইন৷ তবে সেসময় অভিযোগ উঠেছিলো যে তাঁর একটি অবৈধ সন্তান রয়েছে৷ যদিও পরবর্তীতে সে অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়েছিলো কিন্তু ম্যাককেইন সে যাত্রায় নিজেকে সরিয়ে নেন৷

এ বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশনে তিনি দেশের প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার কথা জানান৷ তিনি সেসময় বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছি কারণ আমার প্রিয় দেশকে আমি নিরাপদ রাখতে চাই৷

উল্লেখ্য, জন ম্যাককেইন ১৭ বছর বয়সেই মার্কিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি আহত হয়েছিলেন এবং যুদ্ধবন্দী ছিলেন৷ এসময় তার ওপর চালানো হয় নির্মম শারিরীক নির্যাতন৷ এ নির্যাতনের ফলে এখনও তিনি হাত মাথার ওপর তুলতে পারেন না৷ এমন অভিজ্ঞতার কারণেই সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধেও প্রতিপক্ষকে যে কোন প্রকার নির্যাতন করার বিরোধীতা করে আসছেন ম্যাককেইন৷

মার্কিনিদের মন জয়ের কোন চেষ্টাই বাকি রাখছেন না ম্যাককেইনছবি: AP

কিন্তু ম্যাককেইনের সামরিক অভিজ্ঞতা আসলে কতটুকু কাজে দেবে সেটাও এখন একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কারণ নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলাকালে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে অর্থনীতি তার মূল বিষয় নয়৷ অথচ স্মরণকালের অন্যতম অর্থনৈতিক বিপর্যয় এ মুহুর্তে মোকাবেলা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এ সংকট মোকাবেলায় বুশ প্রশাসন সত্তর হাজার কোটি ডলার ছাড়ের যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার সমর্থন যোগাতে বেশ দৌড়ঝাপ করেন ম্যাককেইন৷ এজন্য গত সপ্তাহে হঠাত্‌করে নির্বাচনী প্রচারাভিযান স্থগিত করে তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে যান৷ তবে তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে যাবার পরও মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের রাজী করানোর ব্যাপারে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি৷ পর্যবেক্ষকরা এক্ষেত্রে ম্যাককেইনের অতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ার দিকে আঙ্গুল তুলেছেন৷

তবে ম্যাককেইনের জন্য সবচে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে তার রানিং মেট বাছাই৷ অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবে তিনি কম পরিচিত সুদুর আলাস্কার গভর্ণর স্যারাহ পেলিনকে তার রানিং মেট বাছাই করেন৷ সমালোচকরা বলছেন ম্যাককেইন ইতিমধ্যে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ তাই ম্যাককেইনের অনুপস্থিতিতে পেলিনকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার মত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা পেলিনের নেই৷ তবে সমালোচকদের এসব চ্যালেঞ্জের জবাব দেয়ার চেয়েও ম্যাককেইনের কাছে এখন সবচে গুরুত্বপূর্ণ আগামী ৪ঠা নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ