২১ জুলাইয়ের সভা শুরু হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে থেকে এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছে ভোজালি-সহ একাধিক অস্ত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের বোর্ড লাগানো একটি গাড়ি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির খুব কাছে অপেক্ষা করছিল সে। আটক ব্যক্তির নাম শেখ নুর আমিন। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পিকনিকের মেজাজে তৃণমূলের একুশে জুলাই
ফের করোনা বাড়ছে। তারই মধ্যে কলকাতার রাজপথে তৃণমূলের সভায় তিল ধারণের জায়গা নেই। ২০২৪ সালের ভোটবার্তা দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
ছবি: Subrata Goswami/DW
একুশে জুলাই
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তখন কংগ্রেসের যুবনেত্রী। কলকাতার রাজপথে মিছিল করে তারা মহাকরণের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই পুলিশ গুলি চালায়। ১৩ জন কংগ্রেসকর্মীর মৃত্যু হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শহিদ দিবস
পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। সেই তখন থেকেই এই দিনটিতে কলকাতার ধর্মতলা অঞ্চলে তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে। ২১ জুলাই তৃণমূল সবচেয়ে বড় দলীয় সমাবেশ করে। রাজনৈতিক রোডম্যাপ ঘোষণা করে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
করোনাকালের ২১ জুলাই
করোনাকালে বন্ধ ছিল সভা। ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ভিডিওবার্তা দিয়েছিল। এবছর ফের আগের মতো আয়োজন করা হয়েছে ২১ জুলাই সভার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পিকনিকের মেজাজ
দিনটি শহিদ স্মরণে আয়োজিত হলেও, তৃণমূলকর্মীরা থাকেন খোশমেজাজে। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে সভাস্থলে মিছিল করে পৌঁছান তারা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
অঘোষিত ছুটি
কলকাতার কেন্দ্রস্থলে এই সভার আয়োজন হয়। ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাস তৃণমূলকর্মীরা ভাড়া নিয়ে নেন। ফলে গণপরিবহন প্রায় ভেঙে পড়ে। এদিনও বিভিন্ন স্কুল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সকাল থেকে প্রস্তুতি
সভার দুইদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকেই কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন ধর্মতলায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কর্মী-শিবির
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন বোঝাই করে কলকাতায় এসেছেন তৃণমূলকর্মীরা। তাদের জন্য দলের ভল্যান্টিয়াররা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
রকমারি সাজ
উৎসবের মেজাজে কর্মীরা। রংবেরঙের সাজে তারা পৌঁছে গেছেন সভা প্রাঙ্গনে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বেড়ানোর দিন
বিভিন্ন জেলার তৃণমূলকর্মীরা রথ দেখা কলা বেচা দুই কাজই সেরে ফেলেন এদিন। সভায় যোগ দেওয়ার পর তারা বেরিয়ে পড়েন কলকাতা ভ্রমণে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
করোনা মামলা
করোনাকালে ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। আদালত সভা করার অনুমতি দেয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পুলিশের পরীক্ষা
কয়েক লাখ মানুষ জড়ো হন এই সভায়। ফলে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয় পুলিশকে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সভামঞ্চে নেতারা
মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে ঘিরে বসে আছেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
রাজনৈতিক বার্তা
বৃষ্টিভেজা সভায় বেলা দেড়টা নাগাদ বক্তৃতা করতে ওঠেন মমতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তিনি কর্মীদের বার্তা দেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিজেপির কারাগার ভাঙো
এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর শপথ নিতে হবে। তার কথায়, ''বিজেপির কারাগার ভাঙো।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
14 ছবি1 | 14
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আইবি-র আই কার্ড পাওয়া গেছে। বিএসএফ-এর একটি কার্ডও তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে। এই দুইটি কার্ড ছাড়াও তার কাছ থেকে আরো বেশ কিছু সংস্থার কার্ড মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, সবকটি কার্ডই ভুয়া। ওই ব্যক্তিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিনীত।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে গাড়ি নিয়ে কীভাবে পৌঁছে গেল ওই ব্যক্তি? পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য এই দিন সকাল থেকে বহু ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি দেখতে যাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে সে জন্য আলাদা নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই গাড়িটি ঘিরে সন্দেহ হওয়ার কারণেই সেখানে তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ''রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা যখন ব্যাহত হয়, তখন বোঝা যায়, সার্বিকভাবে রাজ্যের কী অবস্থা। কাজে গাফিলতির জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং কালীঘাট থানার ওসি-কে অপসারণ করা উচিত।''