মরক্কোর সংবাদ বিষয়ক এক সাইটে প্রকাশিত খবর বলছে, সে দেশের সব শহরে পুরো মুখ ঢাকা বোরকা তৈরি ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷ তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি৷
বিজ্ঞাপন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলই৩৬০ নিউজ সাইটকে বলেছেন, ‘‘আমরা মরক্কোর সব শহরে এই পোশাকের (বোরকা) আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি পুরোপুরি বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছি৷''
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়৷ ‘‘দুষ্কৃতিকারীরা নিয়মিতভাবে অপরাধের সময় এই পোশাক ব্যবহার করে’’, বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷
উত্তর আফ্রিকার এই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কিছু বলা না হলেও এলই৩৬০-এর প্রতিবেদন বলছে, এ সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু হবে৷
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, কাসাব্লাঙ্কা শহরের ব্যবসায়ীদের সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দেশটির আরও কয়েকটি শহরের ব্যবসায়ীদেরও বোরকা তৈরি ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷
যেসব দেশে বোরকা নিষিদ্ধ, যেখানে চলেছে আলোচনা
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে বোরকা ও নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিছু কিছু দেশে আবার পুরো মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা৷ প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা না থাকায় এসব অঞ্চলে কি জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে?
ছবি: CLAUDE PARIS/AP/dapd
ফ্রান্স
ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস৷ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়৷ বোরকা বা নেকাব পড়লে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে৷
ছবি: Getty Images
বেলজিয়াম
২০১১ সালের জুলাইয়ে বেলজিয়ামেও নেকাব নিষিদ্ধ হয়৷ অর্থাৎ কোনো নারী তার পুরো মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখতে পারবে না৷
ছবি: AP
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসে ২০১৫ সালে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়৷ বিশেষ করে জনসমক্ষে, অর্থাৎ স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদির মতো জায়গায বোরকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷
ছবি: AP
স্পেন
পুরো স্পেনে নয়, বার্সেলোনা শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রিটেন
ব্রিটেনে প্রচুর মুসলিমের বাস, তাই সেখানে কোনো ইসলামি পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই৷ তবে স্কুলগুলোতে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়৷ ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি মামলার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে, স্কুলে কেউ বোরকা বা নেকাব পরতে পারবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
সুইজারল্যান্ড
২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ইটালীয় ভাষাভাষীদের এলাকা টিসিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের ওপর ভোট হয়৷ নিষিদ্ধ করার পক্ষে পড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট৷ এরপর ২৬টি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে লুগানো, লোকারনো, মাগাদিনোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ কেউ জনসমক্ষে বোরকা পড়লে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তাঁর৷
ছবি: imago/Geisser
ইটালি
ইটালির বেশ কয়েকটি শহরে নেকাব নিষিদ্ধ৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নোভারা কর্তৃপক্ষ সেখানে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷ ৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইটালি৷
ছবি: picture alliance/dpa/Rolf Haid
অস্ট্রিয়া
দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে৷ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একমত হয়েছে সরকারের শরিক দলগুলোও৷ এছাড়া যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদের মাথায় স্কার্ফ, হিজাব কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
জার্মানি
জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের মধ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে৷ সিডিইউ দলের একাধিক রাজনীতিক স্কুল, সরকারি অফিস, আদালতকক্ষ ও গাড়ি চালানোর সময় বোরকা ও গোটা মুখ ঢাকা নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে চান৷ সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জার্মানও প্রকাশ্যে বোরকাধারী মহিলাদের দেখতে নারাজ৷ এমনকি সম্প্রতি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার পক্ষ তাঁর সায় দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schuh
9 ছবি1 | 9
উল্লেখ্য, মরক্কোর বেশিরভাগ নারী হিজাব (এতে মুখ ঢাকা থাকে না) পরে থাকেন৷ তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নারীদের অনেকেই নিকাব (এতে শুধু চোখ দেখা যায়) পরেন৷ এই এলাকাটি মরক্কোর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় একটু রক্ষণশীল এবং এই এলাকা থেকে অনেক মানুষ জিহাদে অংশ নিতে সিরিয়া ও ইরাকে গেছে৷
মরক্কোর রাজা চতুর্থ মোহাম্মদ ইসলামের ‘মডারেট সংস্করণ' পছন্দ করেন৷ তাই হিজাব পরা তিনি সমর্থন করেন৷
ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো মরক্কোও জনসম্মুখে পুরো মুখ ঢাকা বোরকা পরা নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে কিনা সেটি পরিষ্কার নয়৷
প্রতিক্রিয়া
মরক্কোর সাবেক পরিবার ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রী নুঝা স্কালি বোরকা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করেন তিনি৷
তবে ‘ইসলামিস্ট' কারাবন্দিদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা ওসামা বুতাহের মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত ‘বৈষম্যমূলক'৷ ‘‘এই সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক৷ এটি সবার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ, যদিও মরক্কো মানবাধিকার রক্ষা বিষয়ক কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছে,'' এএফপিকে বলেন তিনি৷ বোরকা বিক্রি বন্ধের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নের যুক্তিটি হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেন বুতাহের৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)
মরক্কো ঘুরতে গেলে এই ১৫টি জায়গায় অবশ্যই যাবেন
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের কোল ঘেঁষে আফ্রিকার সবচেয়ে পশ্চিমের দেশ ‘মরক্কো’৷ ইউরোপের এত কাছে হলেও কিছুতেই ইউরোপীয় নয় দেশটি৷ রাজধানী রাবাত যেখানে ছেয়ে গেছে বিদেশি গাড়িতে, সেখানেই আবার উট ছাড়া মরক্কো ভ্রমণ আজও অকল্পনীয়৷
ছবি: Julian Peters/Zoonar/picture alliance
অনন্য এক ইতিহাসের সাক্ষী
উত্তরে কয়েক কিলোমিটারের জিব্রাল্টার প্রণালী পেরুলেই ইউরোপ আর ঐতিহাসিক কারণে ফ্রান্স ও স্পেনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক – এ বাস্তবতাই হয়ত মরক্কোকে দিয়েছে এক অনন্যতা৷ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মারাক্কেশের পুরনো এই কেল্লার প্রতিটি ইঁট যেন সে কথাই বলছে৷
ছবি: DW/D. Guha
সবার প্রিয় ‘মোহাম্মদ দ্য সিকস্থ’
অর্থনৈতিক প্রগতি ও আধুনিকতার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে মরক্কো একটি মডেল৷ অথচ দেশটি কিন্তু আজও চলছে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের শাসনে৷ তবে নিজের ক্ষমতা কমিয়ে দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি বেশ কয়েক বছর হলো৷
ছবি: DW/D. Guha
ভাসমান বিস্ময় – ‘হাসান মস্ক’
সমুদ্রের নীল ঢেউয়ে ভাসমান সুউচ্চ মিনারসহ এই মসজিদটি তৈরি করেন রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের বাবা দ্বিতীয় হাসান৷ কাসাব্লাঙ্কা শহরের অন্যান্য ইমারতগুলি ধবধবে সাদা হলেও, এই ‘হাসান মস্ক’ কিন্তু লাল বেলেপাথরের তৈরি৷ এর নকশা তৈরি করেছিলেন ফরাসি স্থপতি মিশেল প্যাঁসো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Schmitt
রক্তিম শহরের হারিয়ে যাওয়া শিল্পী
‘কাসা ব্লাঙ্কা’ – এই নামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাসাব্লাঙ্কা শহরের বাড়িগুলো যেমন সাদা, তেমনই মারাক্কেশ শহরের বাড়িগুলো লাল রঙের৷ অনেরটা ভারতের ‘পিঙ্ক সিটি’ জয়পুরের মতো৷ এ শহরের অলি-গলিতে ছড়িয়ে আছে হাজারো বাজার, হামাম, ফেরিওয়ালা আর নাম না জানা সব শিল্পী৷
ছবি: DW/D. Guha
ইহুদিদের ‘হামসা’ বা খামসা
একে হযরত মূসা বা হযরত হারুনের বোন মারইয়ামের হাত বলুন অথবা ফাতেমার হাত, পাঁচ আঙুল বিশিষ্ট এই হাতটি বাড়ির কোথাও টাঙিয়ে রাখলে কিংবা গয়না হিসেবে গলায় ঝুলিয়ে রাখলে নাকি শয়তানের কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷ ইহুদিদের মতো মরক্কোর সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে এর শক্তি৷
ছবি: DW/D. Guha
‘জাগলার্স স্কয়ার’ বা ‘জেমা এল-ফেনা’
কথাটি ‘জাগলিং’ থেকে এসেছে৷ মানে যে জায়গায় ভোজবাজি বা ম্যাজিক দেখানো হয়৷ দেখানো হয় বল, থাকা, বাতি, এমনকি সাপ-খোপ নিয়ে খেলাও৷ তবে এ সব ছাড়াও এখানে নানা ধরনের হাতের কাজ আর সুস্বাদু ‘তাজিন’ তৈরির বাসন-পত্রও পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/D. Guha
আলো-আঁধারির পথে পথে...
সন্ধ্যে নামার পর পরই পালটে যায় ‘জেমা এল-ফেনা’-র পরিবেশ৷ চারিদিক সেজে ওঠে রং-বেরঙের আলোয়, বসে যায় খাওয়া-দাওয়ার রকমারি ‘স্টল’৷ আর তারপর শুরু হয় গাজ-বাজনা৷ এই আলোর হাট দিয়ে হেঁটে যান – একেবারে ‘সহস্য এক আরব্য রজনী’-র সময়ে পৌঁছে যাবেন৷
ছবি: DW/D. Guha
নানা ভাষার সহাবস্থান
৪৪ বছরের ফরাসি দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে মরক্কো৷ অথচ আজও সেখানকার মানুষ ঝরঝর করে ফরাসি বলে, বলে আরবি, আবার কেউ কেউ কথা বলে একেবারে স্থানীয় ভাষায়৷ শামুক আর গুগলি বিক্রি করতে করতে ঠিক যেমন বলছেন এই দোকানি৷
ছবি: DW/D. Guha
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়
আচ্ছা, বলুন তো বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম কী? হ্যাঁ, মরক্কোর ফেস শহরের আল-কারাউইন ইউনিভার্সিটি-ই হলো পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠা হয় ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে৷ আর সেই ফেস শহরেই রয়েছে অসামান্য সুন্দর এই রাজপ্রাসাদটি৷ ফেস শহরের আদি অংশ বা ‘মেদিনা’-র অংশ এটি৷
ছবি: DW/D. Guha
মেদিনার ভিতরে প্রাচীন বাজার
ফেসের মেদিনায় একবার ঢুকে পড়লে বের হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়৷ এত অলিগলি, বাজারহাট, উঁচু উঁচু বাড়িঘর, বিরাট বিরাট সিংহদরজা – যে দেখতে দেখতে কখন যে পথ হারিয়ে ফেলবেন, বুঝতেই পারবেন না৷ তারপরও মেদিনার কাঁচা বাজারটি কিন্তু দেখার মতো!
ছবি: DW/D. Guha
কোনো গাড়ি চলাচল নেই
বলা বাহুল্য, মরক্কোর সবচেয়ে প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে ফেস অন্যতম৷ এর ‘মেদিনা’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় পড়ে৷ এ শহরের কেন্দ্রভাগে শুধুমাত্র গাধা আর ঘোড়ার গাড়ি ঢুকতে পারে৷ সেভাবেই মাংস-মাছ সব আসে-যায় বাজারে৷ আসলে রাস্তাগুলো এত ছোট যে, এখানে কোনো গাড়িই চলতে পারে না৷
ছবি: DW/D. Guha
দেশি-বিদেশি সবজি
কাঁচা বাজারে শুধু মাছ-মাংস, কিশমিশ, খেজুর, বাদাম, চাল-ডাল আর মশলাই নয়, বিক্রি নয় নানারকম সবজিও৷ এর বেশিরভাগই আমাদের চেনা৷ টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, রাঙা আলু, এমনকি লঙ্কাও দেখা যায়৷ তবে তার সঙ্গে আর্টিশকের মতো কিছু ইউরোপীয় সবজিও পাওয়া যায় এখানে৷
ছবি: DW/D. Guha
গোল রুটি তৈরির কেরামতি
মরক্কোর অন্যতম খাবার হলো ‘তাজিন’৷ এটা সাধারণত প্লাম (একরকম ফল) আর মাংস দিয়ে তৈরি হয়৷ তাজিন দেখতে যেমন চমৎকার, তেমনি ঘ্রাণে ও স্বাদেও অসাধারণ৷ মরক্কোর মানুষ তাজিন খেয়ে থাকে ডালিয়া অথবা এমন গোল গোল রুটি দিয়ে৷ এই রুটি তৈরির কাজ অবশ্য যার তার কাজ নয়!
ছবি: DW/D. Guha
দূরে কোথাও, দূরে দূরে...
ফেস থেকে অনেক দূরে, রাজধানী রাবাতের দিকে যেতে পড়ে মেকনেস শহর৷ তারপরও যদি বেশ কিছুটা পথ না থেকে যাওয়া যায়, তবেই আস্তে আস্তে পালটে যেতে থাকে আশেপাশের ছবি৷ লোকালয় থেকে দূরে চোখের সামনে ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে একটা ধ্বংসাবশেষ৷
ছবি: DW/D. Guha
মরক্কোয় রোমান সভ্যতার নিদর্শন
প্রাচীন রোমান শহর ভোলুবিলিসের ধ্বংসাবশেষ এটি৷ বলা বাহুল্য, এটিও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷ প্রতি বছর হাজারো দর্শনার্থী এখানে ভিড় করে নিজের চোখে একটিবার রোমান সাম্রাজ্যের এই অসামান্য নিদর্শনটিকে প্রত্যক্ষ করতে৷