মরক্কোর মুসলিম-ইহুদি সহাবস্থানের ইতিহাস
২৬ জানুয়ারি ২০২০সম্প্রতি মরক্কোর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসাওইরা শহরে ‘হাউস অফ মেমোরি'র উদ্বোধন করা হয়েছে৷ দেশটিতে একসময় মুসলমান ও ইহুদিরা যে মিলেমিশে থাকতেন, তা তুলে ধরতে এই মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে৷ বর্তমান রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের উপদেষ্টা অন্দ্রেঁ আজুলে উদ্যোগ নিয়ে এটি তৈরি করেছেন৷
৭৮ বছর বয়সি আজুলে এসাওইরা শহরের ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য৷ তিনি বলেন, আঠার শতকে মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মদ এসাওইরার ছোট বন্দরকে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন৷ সেই সময় এসাওইরা ‘ইসলামি বিশ্বের একমাত্র শহর ছিল যেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা ছিল ইহুদি', জানান আজুলে৷
একসময় এসাওইরাতে ৩৭টি সিনাগগ ছিল৷
‘হাউস অফ মেমোরি'তে পুরনো ছবি, ফুটেজ, মিউজিক্যাল রেকর্ডিং, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও ধর্মীয় বিষয়াদি রাখা আছে৷ ভবিষ্যতে একটি গবেষণা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে সেখানে৷
১৪৯২ সালে ক্যাথলিক রাজারা স্পেন থেকে ইহুদিদের তাড়িয়ে দিলে অনেকে মরক্কোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে মরক্কোতে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি বাস করতেন, যা দেশটির সেই সময়কার জনসংখ্যার প্রায় দশ শতাংশ ছিল৷
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর অনেক ইহুদি মরক্কো থেকে ইসরায়েলে চলে যান৷ তবে এখনও মরক্কোতে প্রায় তিন হাজার ইহুদি বাস করেন, যা উত্তর আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ৷
১৯৯৭ সালে কাসাব্লাংকায় ‘মরক্কান ইহুদি মিউজিয়াম' গড়ে তোলা হয়- যা আরব বিশ্বে এ ধরনের একমাত্র জাদুঘর৷ এছাড়া দেশটির আধ্যাত্মিক রাজধানী ফেজ-এ ইহুদিদের স্মরণে একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে৷
তবে ইসরায়েলের সঙ্গে মরক্কোর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি)