1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মরক্কোর মুসলিম-ইহুদি সহাবস্থানের ইতিহাস

২৬ জানুয়ারি ২০২০

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৯৯ শতাংশ সুন্নি মুসলমান৷ তবে ১৯৪০-এর দশকে জনসংখ্যার প্রায় দশ শতাংশ ছিল ইহুদি৷

Marokko Jüdisches Museum House of Memory
ছবি: Moroccan Royal Palace/AFP

সম্প্রতি মরক্কোর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এসাওইরা শহরে ‘হাউস অফ মেমোরি'র উদ্বোধন করা হয়েছে৷ দেশটিতে একসময় মুসলমান ও ইহুদিরা যে মিলেমিশে থাকতেন, তা তুলে ধরতে এই মিউজিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে৷ বর্তমান রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের উপদেষ্টা অন্দ্রেঁ আজুলে উদ্যোগ নিয়ে এটি তৈরি করেছেন৷

৭৮ বছর বয়সি আজুলে এসাওইরা শহরের ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য৷ তিনি বলেন, আঠার শতকে মরক্কোর তৃতীয় সুলতান মোহাম্মদ এসাওইরার ছোট বন্দরকে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন৷ সেই সময় এসাওইরা ‘ইসলামি বিশ্বের একমাত্র শহর ছিল যেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দা ছিল ইহুদি', জানান আজুলে৷

একসময় এসাওইরাতে ৩৭টি সিনাগগ ছিল৷

‘হাউস অফ মেমোরি'তে পুরনো ছবি, ফুটেজ, মিউজিক্যাল রেকর্ডিং, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও ধর্মীয় বিষয়াদি রাখা আছে৷ ভবিষ্যতে একটি গবেষণা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে সেখানে৷

১৪৯২ সালে ক্যাথলিক রাজারা স্পেন থেকে ইহুদিদের তাড়িয়ে দিলে অনেকে মরক্কোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷

১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে মরক্কোতে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি বাস করতেন, যা দেশটির সেই সময়কার জনসংখ্যার প্রায় দশ শতাংশ ছিল৷

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের পর অনেক ইহুদি মরক্কো থেকে ইসরায়েলে চলে যান৷ তবে এখনও মরক্কোতে প্রায় তিন হাজার ইহুদি বাস করেন, যা উত্তর আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ৷

১৯৯৭ সালে কাসাব্লাংকায় ‘মরক্কান ইহুদি মিউজিয়াম' গড়ে তোলা হয়- যা আরব বিশ্বে এ ধরনের একমাত্র জাদুঘর৷ এছাড়া দেশটির আধ্যাত্মিক রাজধানী ফেজ-এ ইহুদিদের স্মরণে একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে৷

তবে ইসরায়েলের সঙ্গে মরক্কোর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই৷

জেডএইচ/কেএম (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ