1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মরিচের ঝাল ব্যথা সারায়

২৫ এপ্রিল ২০২২

মরিচের ঝালস্বাদ রসনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করে৷ কিন্তু এর ঔষধিগুণ সম্পর্কে কতটা জানেন? ব্যথা উপশম, পরিপাকে সহায়তা এবং রোগ প্রতিরোধে মরিচের একটি উপাদান খুব কার্যকরী৷

Äthiopien Lebensmittel-Markt in Addis Ababa
ছবি: DW/Y. Gebre-Egziabher

যে উপাদান মরিচকে ঝাল করে, তাতে ঔষধি গুণও আছে৷ এই উপাদানের নাম ক্যাপসাইসিন৷ এটিই মরিচের গঠনের ভিত্তি৷ ক্যাপসাইসিন এতটাই ঝাল যে চামড়ায় লাগলে জ্বালাপোড়া করে৷ এ বিষয়ে ইকোট্রফোলজিস্ট ডোরিট রোপার বলেন, ‘‘আমাদের ঝাল লাগে৷ এটা আসলে কোন স্বাদ নয়, এটা এক ধরনের ব্যাথা৷ আর ব্যাথা হলে কী হয়? তখন শরীর এক ধরনের চাপ থেকে প্রতিক্রিয়া দেখায়, যেমন, আমাদের গরম লাগে, হয়ত ঘামাতে শুরু করি৷ এর অর্থ শরীরের বিপাক সক্ষমতা বেড়েছে৷''

এই তাপ পেশীর টান শিথিল করে৷ যেমন, গ্রন্থি ও পিঠ ব্যথার ক্ষেত্রে গরম পট্টি ও মলম বিশেষভাবে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ টিনা মাইনকা

 একজন ডাক্তার ও ব্যথা গবেষক৷ তার মতে, ‘‘শরীরের একটি বিশেষ রিসেপ্টর সঙ্গে যুক্ত হয়, যাকে আমরা ক্যালসিয়াম চ্যানেল বলি, এবং ব্যথা ও তাপ সৃষ্টিকারী ফাইবার বা আঁশ ক্যাপসাইসিনের মাধ্যমে উত্তেজিত হয়, যা শরীরকে উষ্ণ করে তোলে৷''

টিনা মাইনকা ক্যাপসাইসিনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ লক্ষ্য হলো, উচ্চমাত্রার স্নায়ু ব্যাথার উপশম খুঁজে বের করা৷ এর চিকিৎসা নেই বললেই চলে৷ এই চিকিৎসক উচ্চমাত্রার ব্যথানাশক পট্টি নিয়ে কাজ করছেন৷ ফার্মেসিতে এখন যেগুলো পাওয়া যায়, তার চেয়ে এটিতে ৪০ গুণ বেশি ক্যাপসাইসিন আছে৷

এর প্রভাব তিন মাস পর্যন্ত থাকে৷ এ সময়টায় স্নায়ুপীড়া সহনীয় মাত্রায় থাকে৷ অবশ্য এই উপশমগুলো কিংবা ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যেসব ব্যাথানাশক পাওয়া যায়, সবগুলোরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে৷ যেমন, চামড়া লাল হয়ে যেতে পারে, কিংবা ফুস্কুরি ও চুলকানি হতে পারে৷ বিশেষ করে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বিষয়টি সংবেদনশীল৷

যা চামড়ায় কাজ করে, তা শ্লেষ্মা ঝিল্লিতেও কাজ করতে পারে, লজেন্সের মতো ব্যবহার করলে৷ ক্যাপসুল হিসেবে ক্যাপসাইসিন পুরো শরীরকে ভেতর থেকে গরম করে তুলতে পারে৷

টিনা বলেন, ‘‘অল্প ডোজের ক্যাপসাইসিন ট্যাবলেটগুলো গলা ব্যথা উপশমে ব্যবহার করা যায়৷ পরিপাক প্রক্রিয়াকে পোক্ত করতে কিংবা চর্বি কমাতে কেউ কেউ খাবারে পরিপূরক হিসেবে ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করেন৷''

সসপ্যানে কাজটি খুব স্বাভাবিক উপায়েই করা যেতে পারে৷ গুরুত্বপূর্ণ হলো, মরিচকে অনেকটা সময় ধরে রান্না করতে হবে, যাতে এর উপাদানগুলো বেরিয়ে আসে৷ শুকনা কিংবা কাঁচা- সব মরিচেই ক্যাপসাইসিন থাকে৷ আর খাবারে মরিচ এমনিতেই আমাদের রোগ প্রতিরোধের সহায়ক৷

ইকোট্রফোলজিস্ট ডোরিট রোপারের ভাষায়, ‘‘লেবুর চেয়েও বেশি ভিটামিন সি আছে মরিচে৷ অবশ্য অধিক তাপমাত্রায় ভিটামিন সি পুরোটা আর অবশিষ্ট থাকে না, অর্থাৎ রান্নার সময় এর অনেকটাই হারিয়ে যায়৷ তারপরও কিছুটা অবশিষ্ট থাকে৷''

মরিচ পেশীর ব্যথা সারায়, বিপাক প্রক্রিয়াকে পোক্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে৷

আনে ভিলান্ড/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ