ভারতে এখন যে কোনো প্রান্তে কান পাতলেই শোনা যায় পাটিগণিতের হিসেব-নিকেশ৷ নির্বাচনি অঙ্ক৷ সাধারণ নির্বাচনে কার দখলে কতগুলি আসন৷ একদিকে নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টি, অন্যদিকে কংগ্রেস ও তাদের নেতা রাহুল গান্ধী৷
বিজ্ঞাপন
দিল্লির মসনদ কার দখলে, এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা ভারত জুড়ে৷ গাঁ-গঞ্জে, হাটে-বাজারে সবাই ব্যস্ত দাঁড়িপাল্লায় যুযুধান বিজেপি ও কংগ্রেসের ওজন মাপতে৷ এবার সাধারণ নির্বাচনে কৃষি সমস্যা ও বেকারত্বের ইস্যু যেমন আছে তেমনই হিন্দু-মুসলিম, দেশপ্রেমেই ইস্যুও রয়েছে৷ সাধারণের হিসেব বলছে, এবার বিজেপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত রাজ্য গুলিতে সবচেয়ে বেশি ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে৷ এরমধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ইত্যাদি৷ ডয়চে ভেলে ঘুরে দেখল মরু-রাজ্য রাজস্থানের বিভিন্ন শহরের অলিগলি৷
মোদী ভাষণ দেওয়া ছাড়া কোনও কাজ করেননি: দেবীলাল
01:53
রাজস্থানের উদয়পুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সিসারমা গ্রাম৷ তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের দেবীলাল অন্যের ক্ষেতে দিনমজুরি করে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে দিন গুজরান করেন৷ তিনি জানালেন, গতবার (২০১৪ সাল) তিনি নরেন্দ্র মোদীর ঝড়ে ভেসে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন৷ এবার কী করবেন? জানতে চাইতেই অকপটে জানিয়ে দিলেন, ‘‘এবার কংগ্রেসের হাত চিহ্নে৷ কারণ মোদী ভাষণ দেওয়া ছাড়া কোনও কাজ করেননি৷''
রাজস্থানে গতবার ২৫টি আসনের সবকটিতেই জিতেছিল বিজেপি৷ এবার কী হবে? শোনা যাচ্ছে, রাজস্থানে ২৫-এ ২৫ আর জুটবে না বিজেপির ভাগ্যে৷ খেলা শেষ হতে পারে ১৩-১২তে৷ কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গণিত বলছে, তারা এবার পেতে পারে ১২টি৷ বিজেপি ১৩টি আসন৷ আবার রাজ্যের জুয়াড়িরা বিজেপিকে এগিয়ে রাখছে৷ ১৫-১০-এর হিসেবে মোটা টাকার জুয়া চলছে৷ সে যাই হোক, মোটের ওপর বোঝা গেল, পাঁচ বছর আগের ‘মোদী লহর' আর নেই৷ তবে তা শূন্যও হয়ে যায়নি৷ বিজেপি সরকারের বিগত পাঁচ বছরের সাফল্যের থেকে অনেক বেশি করে তুলে ধরছে নরেন্দ্র মোদীকে৷ স্বভাবতই মোদীর সযত্নে গড়েতোলা ভাবমূর্তিতে ভর করে এবারও নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে শাসক দল৷
দুই ধর্মের মাতব্বররা হিংসা ছড়ানোর মতো ভাষণ দেন: মোতিলাল
02:01
This browser does not support the video element.
উলটোদিকে, মোদী সরকারের দুর্নীতি, বেকারত্ব ও কৃষি সমস্যাকে সামনে রেখে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কী কী করবে, তা নিয়ে দেশজুড়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী৷
এই রাজ্যে গো-রক্ষার নামে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের পিটিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটেছে৷ সেই প্রসঙ্গ তুলতেই মোতিলাল বলতে শুরু করলেন, ‘‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর কাজ করেন রাজনীতিকরা৷ এছাড়া দুই ধর্মের মাতব্বররা হিংসা ছড়ানোর মতো ভাষণ দেন৷ আমরা হিন্দু-মুসলিম গ্রামে মিলেমিশে থাকতেই পছন্দ করি৷''
মোদীকে আরও পাঁচটা বছর সময় দেওয়া উচিত: হিতেশ
01:28
This browser does not support the video element.
আর এক শহর যোধপুর যাওয়ার পথে সিসোরমা গ্রামে পেয়ারা বাগান পরিচর্যা করছিলেন বাগানের মালিক নারায়নলাল ও তাঁর ছেলে হিতেশ নাগদা৷ বহুযুগ আগে বসবাসের জন্য এই গ্রামটি ব্রাহ্মণদের উপহার দিয়েছিলেন মহারাণা উদয় সিং৷ তিন বিঘা পেয়ারা বাগানের মালিক সপরিবারে কট্টর বিজেপি সমর্থক৷
কয়েক মাস আগে রাজ্যের পরাজিত মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার নাম শুনেই ক্ষেপে উঠলেন হিতেশ৷ তবে মোদীর নামে বেশ নরম ওঁরা৷ হিতেশের কথায়, ‘‘মোদীকে আরও পাঁচটা বছর সময় দেওয়া উচিত৷'' তাঁর দাবি, ‘‘কৃষিতে আর লাভ নেই৷ শিক্ষিতরা চাষাবাদের পাশাপশি অন্য কাজ খুঁজে নিচ্ছেন৷ শুধু চাষের ভরসায় থাকলে অর্ধাহারে, অনাহারে বেঁচে থাকা ছাড়া উপায় নেই৷''
রাজ্যে রাজনৈতিক হাওয়া আর আগের মতোও শুধুই বিজেপিমুখি নেই৷ তপসিলি জাতি ও উপজাতি ভোটারের প্রাধান্য রয়েছে রাজ্যে৷ গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকারের নোটবন্দি, জিএসটি ইত্যাদি পদক্ষেপের নিন্দায় সরব মহম্মদ হানিফ৷
কালোটাকা ও দুর্নীতি রোধের নামে গরিবের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মোদী: হানিফ
02:44
This browser does not support the video element.
তাঁর মতে, কালোটাকা ও দুর্নীতি রোধের নামে গরিবের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন মোদী৷ ধনীর গায়ে আঁচ লাগেনি পর্যন্ত৷ ওদিকে, রাহুল গান্ধীর ইশতেহারে ‘ন্যায়' যোজনার নাম শুনেছেন৷ বিস্তারিত জানেন না তিনি৷রাজস্থানে ভোটের লড়াই বিজেপি বনাম কংগ্রেসের৷ কয়েক মাস আগেই রাজ্যে বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার রাজ্য সরকারকে উপড়ে ফেলেছে এখানকার জনতা৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল, ‘এইট পিএম, নো সিএম৷' বিজেপি মনে করছে, বসুন্ধরার ওপর রাগ ঝেড়ে ফেলে ভোটার অনেকটাই হাল্কা হয়েছে৷ তাই এবার সাধারণ নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার গঠনে মোদীকেই এগিয়ে রাখবে রাজস্থান৷ যদিও মরুভূমের তপ্ত মাটির বাসিন্দারা বলছে, ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বিজেপি৷
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷