1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মর্যাদার পথে যাত্রা, শান্তি চুক্তির অমর্যাদা

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইউক্রেন সরকার ও বিদ্রোহীরা দু'সপ্তাহের মধ্যে ভারি অস্ত্র প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে৷ কিয়েভে হয়েছে ‘মর্যাদার পথে যাত্রা'৷ চলেছে বোমা হামলাও৷ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রুশপন্থিদের হামলা বন্ধ না হলে অস্ত্র প্রত্যাহার নয়৷

Gedenkmarsch für die Opfer des Aufstands auf dem Maidan in Kiew
ছবি: M. Cizek/AFP/Getty Images

শনিবার কিয়েভের ‘ময়দান'-এ অভূতপূর্ব এক দৃ্শ্যের অবতারণা হয়৷ এক বছর আগে সেখানেই শুরু হয়েছিল ইউক্রেনের তখনকার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের রুশপন্থি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ৷ সরকার বিক্ষোভ থামাতে সেনাবাহিনী নামালে তখন কমপক্ষে ১০০ জন বিক্ষোভকারী মারা যায়৷ ‘ময়দান বিপ্লব'-এর এক বছর পূর্তিতে শনিবার সেখানে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ৷ ‘মার্চ অফ ডিগনিটি', অর্থাৎ ইউক্রেনের ‘মর্যাদার পথে যাত্রা'-য় অংশ নিতে জার্মানি, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, স্লোভাকিয়া ও জর্জিয়ার প্রেসিডেন্টরাও গিয়েছিলেন কিয়েভে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পোরোশেঙ্কোর আমন্ত্রণে সেখানে গিয়ে হাতে হাত ধরে হেঁটেছেন তাঁরা৷ ‘মার্চ অফ ডিগনিটি'-তে অংশ নেয়ার পর জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আমি এখানে এসেছি৷''

শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে ১৯১ জন বন্দি বিনিময়ও হয়েছে৷ দু'পক্ষ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দু'সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেন থেকে ভারি অস্ত্র সরিয়ে নেয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানিয়ে সম্মতিপত্রে সাক্ষর করে৷ ইউক্রেন সরকারের মুখপাত্র পিওতর কানোনিক এ খবর নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোতে বিবৃতিও দেন৷ কিন্তু সোমবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, পরিস্থিতি না বদলালে তারা এখনই অস্ত্র প্রত্যাহার শুরু করবে না৷ এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, রুশপন্থি বিদ্রোহীরা এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, এ অবস্থায় ভারি অস্ত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়৷

রোববার ইউক্রেনের খারকিভ শহরে এক বোমা হামলায় দু'জন নিহত এবং অন্তত আট জন আহত হয়৷ হামলায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ রুশভাষী অধ্যুষিত আরো কয়েকটি শহরেও বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে৷

ওদিকে কিয়েভে ‘মার্চ অফ ডিগনিটি' হওয়ার একদিন আগে মস্কোয় ইউক্রেন প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর ভূমিকার প্রতিবাদে বিশাল এক সমাবেশ হয়৷ মস্কোর রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ অংশ নেয়৷ সমাবেশে অংশ নেয়া বক্তারা মনে করেন, এক বছর আগে ইউক্রেনের ময়দান স্কয়ারে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার মূল কথাই হলো রুশ-বিরোধীতা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো তাতে মদদ জোগাচ্ছে৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ