ভারতে মশাকে কে থামাবে? পঞ্চায়েত, পুরসভা, সরকার কামান দেগেও মশা মারতে পারছে না৷
বিজ্ঞাপন
প্র্যাকটিসে কী না হয়৷ আমার এক বন্ধুর এক বছরে দুই বার ম্যালেরিয়া হওয়ার পর সে মশা দেখলেই মারতে শুরু করলো৷ ক্রমশ, মশা মারায় এমন দক্ষ হয়ে গেল, তার বাড়িতে কোনো মশা টিকতে পারতো না৷ দেখলেই মারতো৷ আমার অবশ্য এক বছরে তিনবার ম্যালেরিয়া হয়েছে৷ কাঁপতে কাঁপতে ক্লোরোকুইন গিলতে হয়েছে৷ তারপরে চেষ্টা করেও মশা মারার দক্ষতা লাভ করতে পারিনি৷ আমার অবস্থা পুরসভার মশা মারা প্রকল্পের মতো৷ প্রচুর ধোঁয়া দিয়ে গাড়ি চলে যায়৷ মাঝে মাঝে পিঠে বিচিত্র এক যন্ত্র নিয়ে চারপাশে তেল ছড়াতে ছড়াতে কর্মী চলে যান৷ উদ্যোগ-আয়োজনে ফাঁক নেই৷ কিন্তু মশা যায় না৷ মশার বংশ নির্বংশ করতে ধোঁয়া ছড়ালে, একদিকের মশা অন্যদিকে যায়, এইমাত্র৷ তারপর তাদের ফিরে আসতে খুব বেশি সময় লাগে না৷ ফলে অবস্থা যে কে সেই৷ আমিও মশা মারার চেষ্টা করলে তা দুই হাতের ফাঁক দিয়ে ঠিক গলে যায়৷
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা আমাদের কাছে খুব পরিচিত৷ কিন্তু এমন অনেক রোগ রয়েছে, যার নামও হয়ত আমরা জানি না৷ মশাবাহিত নানা ধরনের রোগ নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
ছবি: CC/somaskanda
লাইশম্যানিয়াসিস
গর্ভবতী নারী মশাদের কামড়ে এই রোগ ছড়ায়৷ ৩০ ধরনের ভিন্ন প্রজাতির লাইশম্যানিয়াসিস জীবাণু রয়েছে৷ এর মধ্যে ১০টি মানবদেহে রোগ ছড়ায়৷ প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর ও মাথা ব্যাথা দেখা দেয়৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কিন আলসার হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়৷ তবে দ্রুত ডাক্তার না দেখালে যকৃত, বৃক্কসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে লাইশম্যানিয়াসিস৷
ছবি: WHO/C.Black
সিন্ডবিস
কুলেক্স নামের নিশাচর মশা এই রোগের ভাইরাস বহন করে৷ মূলত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মানবশরীরে এই জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন৷ এই মশার কামড়ে তীব্র জ্বর ও মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দেয়৷ আরো ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হাড়ের সংযোগেও প্রদাহের সৃষ্টি হয়৷ কয়েক সপ্তাহ পর এ রোগ এমনিতেই সেরে যায়৷ এর কোনো ওষুধ নেই৷
ছবি: Imago
ইয়েলো ফিভার
টাইগার মশা এবং এডিস প্রজাতির আরো কিছু মশার মাধ্যমে ইয়েলো ফিভার ছড়ায়৷ সাধারণভাবে একে ফ্লাভিবাইরাসও বলা হয়ে থাকে৷ আফ্রিকার ৩৪টি এবং দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার ১৩টি দেশে ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি৷ শুরুতে জ্বর এলেও পরে তা বমি, এবং একসময় মেনিনজাইটিসে রূপ নেয়৷ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হওয়া, এমনকিসম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়৷
ছবি: Reuters/P. Whitaker
ডেঙ্গু
এডিস ইজিপ্টাই নামের মশার কামড়ে আক্রান্ত হলে শরীরে ব্যাথা হয়, লাল গুটি দেখা দেয়, মাংসপেশী ও হাড়ের জোড়াতেও ব্যাথা হয়৷ চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে রক্তক্ষরণে মৃত্যুও হতে পারে৷ প্রথমবারের ধাক্কা সামলে উঠলেই যে মুক্তি তা কিন্তু নয়৷ ডেঙ্গু রোগে কেউ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা প্রথমবারের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে৷
ছবি: R. Richter
জিকা
এডিস ইজিপ্টাই, টাইগার মস্কিউটো এবং এডিস আলবোপিকটাস জিকা ভাইরাস ছড়ায়৷ ২০১৫ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ৷ জিকার আক্রমণে ব্রাজিলে অসংখ্য শিশু মাইক্রোসিফেলি নামের ভয়াবহ প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মায়৷ এর ফলে শিশুদের মাথার আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়৷ বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Lacerda
ওয়েস্ট নাইল ফিভার
বয়স্ক লোক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগ ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে৷ এর ফলে মেনিনজাইটিস ও মায়োকার্ডিটিস হতে পারে৷ অন্যান্য মশাবাহী রোগের মতো কাঁপুনি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, ঝিমুনি এবং ব়্যাশ দেখা দিতে পারে৷ এর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
চিকুনগুনিয়া
চিকুনগুনিয়ার প্রভাবে জ্বর কাটিয়ে উঠতে তিন-চার দিন লাগে৷ কিন্তু এর পর হাড়ের জোড়ায় ভয়াবহ ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে চামড়ায় ক্ষত দেখা দিতে পারে৷ তবে আশার কথা, একবার চিকুনগুনিয়া হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়৷
ছবি: Imago
ম্যালেরিয়া
মশাবাহী রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত৷ অ্যানোফিলিস নামের মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়৷ এই রোগে আক্রান্ত হলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে৷ ম্যালেরিয়ার কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমানো যেতে পারে৷
ছবি: Cécilia Conan
8 ছবি1 | 8
দিল্লিতে আবার ম্যালেরিয়া কম, ডেঙ্গু বেশি৷ তার কী প্রতাপ! পাড়ায় কারো ডেঙ্গু হয়েছে জানলে প্রতিবেশী তো বটেই, বকিরাও জানলা, দরজা নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া খোলেন না৷ সকালে বারান্দায় বসে চায়ের কাপসহ খবরের কাগজ পড়াও বন্ধ৷ ডেঙ্গুর মশা কামড়ে দিলেই সর্বনাশ৷ মাঝেমধ্যে আবার শুরু হয় চিকনগুনিয়ার তাণ্ডব৷ রক্তচোষা ওই ছোট্ট একরত্তি মশার ক্ষমতা দেখে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়৷ অবশ্য এখন করোনা ভাইরাসের ক্ষমতার তলায় মশা একটু চাপা পড়ে গেছে৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে মশা রাজত্ব করে গেছে৷ সেই রাজত্বের পতন এখনো হয়নি৷ মশাদের তো অমর করে দিয়ে গেছেন জীবনানন্দ তার কবিতায়৷ মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালোবাসে৷ তবে হক কথাটা বলেছিলেন অন্নদাশঙ্কর রায়-- দেশান্তরী করল আমায় কেশনগরের মশায়৷
মশা দেশান্তরী না করলেও এখনো আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে৷ আমার মতো তিনবারের ম্যালেরিয়া হওয়া লোকের তো বটেই, যাদের হয়নি, তাদেরও ভয় কম নয়৷ আর ভারতের রাজধানী শহরে গরম মানেই মশা, বর্ষা মানে আরো বেশি মশা, শীতের শুরুতেও মশা, হাড় কাঁপানো শীত ছাড়া এমন আর একটিও সময় নেই, যখন মশা থাকে না৷ ম্যালেরিয়া-ট্যালেরিয়ার ভয় থাকে না৷
তাও তো ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় সাফল্য পেয়েছে ভারত৷ স্বাধীনতার পর সাড়ে সাত কোটি মানুষ প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতেন৷ ২০২০ সালে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ২৮৪ জন, যা ২০১৯-এর তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম৷ এরকম চলতে থাকলে ২০৩০ সালে ম্যালেরিয়া-মুক্ত হওয়ার লক্ষ্য়ও পূরণ হতে পারে৷
ম্যালেরিয়া কমছে ঠিকই, মশা নয়৷ আর আসছে নতুন নতুন রোগ৷ ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনকেফেলাইটিস৷ ডেঙ্গু কোনো একবছর কম থাকে, পরের বছর বেড়ে যায়৷ সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৮ সালে ভারতে এক লাখের বেশি মানুষের ডেঙ্গু হয়েছিল৷ তার পরের বছর তা দেড় লাখ ছাড়িযে যায়৷ গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ৷ তাহলে কি এই বছর আবার ডেঙ্গু বাড়বে? সরকার আশ্বস্ত করে বলছে, বাড়বে না৷ মানুষ উদ্বেগে আছেন৷
ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম চিকুনগুনিয়া নিয়ে যে সংখ্যাতত্ত্ব দিয়েছে তাতে দুইটি ভাগ আছে৷ একটি হলো, যাদের চিকুনগুনিয়া হয়েছে এবং যাদের হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ সন্দেহের তালিকায় অনেক বেশি মানুষ৷ সেই সংখ্যা কখনো এক লাখের বেশি, কখনো আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে, কোনো বছর আবার ৬৪ হাজারে থেমে গেছে৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর তো এনকেফেলাইটিসের জন্য বিখ্যাত ছিল৷ সাংসদ থাকার সময় লোকসভায় বহুবার তিনি এই প্রসঙ্গ তুলেছেন৷ কেন তা নির্মূল করা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন৷ ভারতের গ্রামগঞ্জের মানুষের ম্যালেরিয়া হলে তা যে সরকারি নথিতে উঠবেই, এমন পরিকাঠামো এখনো এদেশে তৈরি হয়নি৷
মোটকথা, মশা আছে৷ মশাবাহিত রোগ আছে৷ ডেঙ্গুর মশা হয় পরিষ্কার জলে৷ দিল্লিতে দীর্ঘ প্রচার চালিয়েছে কেজরিওালের সরকার৷ বাড়িতে, বাড়ির সামনে জল জমতে দেবেন না৷ দিলেই ডেঙ্গুর মশা হবে৷ কিন্তু দিল্লি জুড়ে পরিষ্কার ও নোংরা জলের কোনো অভাব নেই৷ না আছে লোকের সচেতনতা, না আছে পুরসভার সেই যুদ্ধকালীন তৎপরতা৷ ফলে মশা আছে, মশা থাকবে, এটাই ভবিতব্য৷ আর মশা থাকলে মশাবাহিত রোগও থাকবে৷ তাই মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে৷
মশা ও পোকামাকড় থেকে দূরে থাকার উপায়
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর মশা বা বিভিন্ন পোকামাকড়ের নাম শুনলেই কেমন যেন ভয় করে, তাই না? মশা, মৌমাছি বা এ জাতীয় পোকা থেকে নিজেকে দূরে রাখার কিছু সহজ উপায় থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Gathany
মিষ্টি খাবার দূরে রাখুন
‘মিষ্টি’ যে কোনো পোকামকড়কে কাছে টানে৷ বিশেষ করে মৌমাছিকে৷ তাই খাবার টেবিল থেকে মৌমাছিসহ অন্যান্য পোকাকে দূরে রাখতে এক গ্লাস মিষ্টি কোকাকোলা, ফান্টা বা মিষ্টি পানীয় দূরে কোথাও রেখে দিন৷ দেখবেন, পোকামাকড়ের অত্যাচার বা ঝামেলা ছাড়াই নিশ্চিন্তে খেতে পারছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Weihrauch
শান্ত থাকুন
মৌমাছি বা ভিমরুল আপনার কাছাকাছি ঘুরলে বা আপনাকে বিরক্ত করলে একদম চুপ বা শান্ত থাকুন৷ ওদের মারতে গেলে ওরা তখন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে৷ কাজেই সাবধান!
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO
মশার পছন্দ কালো পোশাক
মশার পছন্দ কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক৷ তাই যেখানে মশা আছে, সেখানে হালকা রঙের পোশাক পরাই শ্রেয়৷ বিশেষ করে রাতের বেলায়৷ বাগানে বা বাইরে গরম হলেও ফুলপ্যান্ট এবং লম্বা হাতের জামা পরা উচিত৷ আর খোলা মাঠে ঘাসের ওপর বড় ছোট কেউ-ই খালি পায়ে একদম হাঁটবেন না৷
ছবি: Getty Images/S. Gosatti
পারফিউম মশাকে কাছে টানে
পারফিউম, হেয়ার স্প্রে বা সুগন্ধী প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো৷ কারণ, মানুষের মতো সুগন্ধী যে মশারও প্রিয়!
ছবি: picture-alliance/dpa/Ernesto Mastrascusa
দরজা-জানালায় নেট
দরজা-জানালায় নেট লাগিয়ে নিন৷ বিশেষকরে যেগুলো প্রায়ই খোলা থাকে সেসব দরজা-জানালায় নেট লাগাতে আর দেরি না করাই ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টমেটো ও লেবু গাছ
দরজা বা জানালার কাছে সম্ভব হলে টমেটো গাছ ও লেবু গাছ লাগাতে পারেন, কারণ, এই গাছগুলো পোকামাকড়কে দূরে রাখে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert
লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার
লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার বা লেবুযুক্ত তেল গায়ে মাখতে পারেন৷ যদিও এসবের স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ নয়, তারপরও কিছুটা কাজে লাগে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Tomas
যদি কামড় দিয়েই ফেলে
যদি মশা, মৌমাছি বা পোকামাকড় কামড় দেয় তাহলে সাথেসাথেই ভেজাকাপড় দিয়ে কামড়ের জায়গাটি মুছে নিয়ে সেখানে আয়োডিন লাগিয়ে নিন৷ ভালো হয় যদি একটি পেঁয়াজকে অর্ধেক করে তার একটি অংশ কামড়ের জায়গায় ভালো করে ঘষে দেন৷
ছবি: Fotolia/Africa Studio
মুখের ভেতর বা ঠোঁটে কামড়ালে
মশা বা পোকা যদি মুখের ভেতর বা ঠোঁটে কামড় দেয়, তাহলে তা ভয়ংকর আকার নিতে পারে৷ তাই এ সব জায়গায় কামড় দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে৷ তবে তার আগে বরফ শীতল পানি দিয়ে গার্গল করা এবং এক টুকরো বরফ মুখে পুরে লজেন্সের মতো চোষার পরামর্শও দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Gathany
চুলকাবেন না!
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়াতে কোনোভাবেই ক্ষতে চুলকাবেন না৷ কারণ, শুধুমাত্র চুলকানোর কারণেই হয়ত ক্ষতস্থান আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে৷