হ্যাঁ, সার্চলাইট নয়, স্যাটেলাইট, মানে কৃত্রিম উপগ্রহ৷ শুধু তত্ত্ব নয়, ব্যাপারটা হাতেনাতে পরীক্ষা করে দেখছেন জার্মান বিজ্ঞানীরা, আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোতে৷ স্যাটেলাইট দেখাবে এঁদো পুকুর, মশা মারবে ব্যাকটেরিয়া৷
বিজ্ঞাপন
আমরা শুনি কখনো এইডস, কখনো এবোলা মহামারী, কিন্তু বস্তুত যে রোগটি বছরের পর বছর আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ নিচ্ছে, তার নাম হলো ম্যালেরিয়া৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বে দশ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় ভুগে প্রাণ হারায়, তাদের ৯০ শতাংশই আফ্রিকায়৷
ওদিকে জার্মানির রাইন নদ এলাকায় চিরকালই মশার প্রাদুর্ভাব, যদিও তারা ম্যালেরিয়ার মশা নয়৷ তবুও তারা কামড়ায়, জ্বালাতন করে৷ তাই গত ৪০ বছর ধরে রাইন নদের দু'পাড়ে পোকামাকড়, মশামাছি কমানোর অভিযান চলেছে৷ মশা মারার পদ্ধতি হলো: ব্যাসিলাস থুরিঙ্গিয়েনসিস ইস্রায়েলেনসিস বা বিটিআই ব্যাকটেরিয়া পচা জলে ছেড়ে দেওয়া; তা-তে নাকি মশার শূককীটদে ৯৮ শতাংশ বিনষ্ট হয়, অথচ অন্যান্য পোকামাকড়, প্রাণী কিংবা উদ্ভিদ অক্ষত থাকে৷
এক কামড়ে হতে পারে মৃত্যু
ভারত-বাংলাদেশে মশা, মশার কামড় অথবা ম্যালেরিয়া নতুন কিছু নয়৷ আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আফ্রিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে মারা যায় এক জন শিশু৷ অথচ এ রোগ প্রতিরোধে আজও কোনো টিকা বের হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
মশার আক্রমণ
আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীর নাম এনোফিলিস মশা৷ লম্বায় ছয় মিলিমিটার এই মশা ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ এ রোগে মারা যায়৷
ছবি: imago/blickwinkel
বৃত্তাকারে ঘোরা
হলুদগুলো জীবাণু৷ আর নীলগুলো জীবাণুর চলার পথ৷ গবেষকরা কতগুলো জীবাণুকে তরলপূর্ণ একটি গ্লাসে ছেড়ে দিয়েছেন৷ জীবাণুগুলো বাঁকানো বলে তারা একটি বৃত্তের মধ্যে ঘুরছে৷ মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তারা বৃত্ত পূরণ করতে পারে৷
ছবি: Colourbox
কামড় খাওয়ার ১২ দিন পর মৃত্যু
মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ঢোকার পর সেটা কিছুদিন যকৃতে বাসা বাঁধে৷ কিন্তু যার শরীরে ঢোকে সে টের পায় না৷ যকৃতে গিয়ে জীবাণুগুলো রক্তকোষকে আক্রমণ করে শরীরকে অসুস্থ করে ফেলে৷
ছবি: AP
রক্তধারায় জীবাণু
শরীরে ঢোকার এক থেকে তিনদিনের মধ্যে জীবাণুগুলো রক্তকোষ ভেঙে ফেলে৷ ফলে জ্বর হয়৷ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Ordonez
জীবন রক্ষাকারী
ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় মশার কামড় না খাওয়া৷ ক্রিম ও স্প্রে ব্যবহার এবং মশারি খাটিয়ে ঘুমানো এক্ষেত্রে ভালো ফল দিতে পারে৷
ছবি: DW/A.Bacha
দ্বিগুণ সুরক্ষা
গবেষকরা বিশেষ ধরণের মশারি তৈরি করেছেন যার সুতায় কীটনাশক লাগানো আছে৷ ফলে মশা মশারির উপর বসলেই মারা যাবে৷
ছবি: Kerry Skyring
কঠোর পদক্ষেপ
মশা দমনে মুম্বইয়ে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে৷ কিন্তু মশা মারতে এটা কার্যকর হলেও স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ যেখানে কীটনাশক ছিটানো হয় সেখানকার খাদ্য চক্রের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷
ছবি: Reuters
দ্রুত রোগ নির্ণয়
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যালেরিয়া শনাক্ত করা যায়৷ আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি ছেলের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণু ঢুকেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সময়ের সঙ্গে পাল্লা
ওষুধের মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধ্বংস করা যায়৷ কিন্তু সময় যত বাড়ছে জীবাণুগুলো ততই ওষুধের বিরুদ্ধে জয়ী হচ্ছে৷ অর্থাৎ ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে৷ যেমন ‘ক্লোরোকুইন’ নামের একটি ওষুধ বিশ্বের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষের দেহে আর কার্যকর হচ্ছে না৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন?
ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি৷ তবে গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন৷ তারা খুব শীঘ্রই এতে সফলতা আশা করছেন৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Cabezas
10 ছবি1 | 10
মহাকাশ থেকে মশা
বিটিআই ব্যাকটেরিয়া যদি রাইন নদের তীরে মশার শূককীট মারতে পারে, তাহলে তারা আফ্রিকাতেই বা কাজে লাগবে না কেন? ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশে ইতিমধ্যেই মশার বংশবৃদ্ধি রোখার জন্য বিটিআই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে৷ কিন্তু হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এবার যে বিশেষ প্রকল্পটি নিয়ে বুরকিনা ফাসোতে ফিল্ড এক্সপেরিমেন্টে নেমেছেন, তা শুধু ফিল্ড অর্থাৎ ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, তার সূচনা আকাশে, অর্থাৎ কিনা মহাকাশে: কেননা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাঠানো ‘ইমেজ' বিশ্লেষণ করে দেখা হয়, মাটির পৃথিবীতে ঠিক কোথায় জলাশয়, তার জলই বা কেমন আর সে জলে মশার ছানোপোনা গজানোর সম্ভাবনাই বা কতটা৷ জায়গাটা হলো পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোর একটি এলাকা; এলাকার ১২৭টি গ্রামে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বাস৷
বুঝে-সুঝো বিটিআই
হাইডেলব্যার্গের বিজ্ঞানীদের পদ্ধতির অভিনবত্ব উপলব্ধি করার জন্য প্রথমে বলে নেওয়া দরকার যে, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বলতে আজও বিশেষ কীটনাশকযুক্ত মশারি ছাড়া আর বিশেষ কোনো পন্থা নেই৷ আবার সে পন্থাতেও শুধু রাতেই সুরক্ষা পাওয়া যায়৷ তাই নরব্যার্ট বেকার-এর মতো বিজ্ঞানীরা স্থির করেছেন, তাঁরা মশা মারবেন, মশারা যেখানে জন্ম নেয়, সেই এঁদো জলে বা বদ্ধ জলাশয়ে৷ তাদের ফিল্ড এক্সপেরিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু এলাকার মানুষদের ম্যালেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করা৷ তাই এলাকার গ্রামগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: এক-তৃতীয়াংশ গ্রামে আগের মতোই শুধু মশারি ব্যবহার করা হচ্ছে; এক-তৃতীয়াংশ গ্রামে যাবতীয় জলাশয়ে বিটিআই ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে; বাকি এক-তৃতীয়াংশ গ্রামে শুধু সেই সব জলাশয়ে বিটিআই ছাড়া হচ্ছে, যেখানে বাস্তবিক মশার শূককীট খুঁজে পাওয়া গেছে৷ এই তৃতীয় পদ্ধতিটি নতুন এবং এর উদ্দেশ্য হলো, বুরকিনা ফাসোর মতো দরিদ্র দেশগুলি যেন তাদের অর্থ, জনবল ও সাজসরঞ্জাম ঠিকভাবে নিয়োগ করে৷
ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য
সাম্প্রতিক সময়ে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আশানুরুপ সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ ফলে মৃত্যুহার কমার পাশাপাশি, আক্রান্তের হারও কমে যাচ্ছে৷ মূলত সরকার ও বেসরকারি সহায়তায় এসেছে সাফল্য৷ এই বিষয়ে আমাদের ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
ঘাতক রোগ ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া পৃথিবীজুড়ে এখনো একটি ঘাতক রোগ হিসেবে পরিচিত৷ বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার কারণে প্রাণ হারান৷ জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১০ সালে ২১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, এর মধ্যে ৬ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করে৷ মৃতের এই সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অবশ্য তথ্যের ভিন্নতা রয়েছে৷
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া
বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশ বছর আগে সারা দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আক্রান্ত হত ম্যালেরিয়ায় এবং মারা যেত প্রায় পাঁচশ৷ তবে ২০০৭ সাল থেকে ম্যালেরিয়া শনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা বাড়ায় এই রোগে মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি রোগের বিস্তারও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Getty Images
সমন্বিত উদ্যোগে সাফল্য
মূলত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে৷ বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেশি৷ তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও বনাঞ্চল সহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এখনো পুরোপুরি দূর করা যায়নি৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Paula Bronstein/Getty Images
কীটনাশকযুক্ত মশারি
ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে এখন ভালো ভূমিকা রাখছে কীটনাশকযুক্ত মশারি৷ আগে এসব মশারি ধোয়া নিয়ে যে জটিলতা ছিল তাও দূর হয়েছে৷ ‘লাইফ-নেট’ নামক এক ধরনের মশারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা, যার কৃত্রিম তন্তুতেই ঢোকানো থাকে কীটনাশক৷ এই মশারি ধোয়াও যায় নিশ্চিন্তে৷ আর মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে সেরা উপায় আজও মশারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ম্যালেরিয়ার টিকা
তবে ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো টিকা তৈরি করা৷ সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণার পর সম্প্রতি একটি টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম৷ ব্রিটিশ ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে-র আশা, তাদের এই টিকা ২০১৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ব্যবহৃত হবে৷
ছবি: Reuters
নতুন আশঙ্কা
ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কার যেমন আশার কথা শোনাচ্ছে তেমনি নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার খবর জাগাচ্ছে শঙ্কা৷ ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা সম্প্রতি এক রিপোর্টে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া জীবাণুর কথা জানিয়েছে৷ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধরনের ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞানীদের সাফল্য
বিজ্ঞানীরাও থেমে নেই৷ ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী এমন একটি প্রোটিন বা এনজাইমের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, যার চক্র থামানো গেলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ বা নির্মূল করা সম্ভব৷ ঐ এনজাইমের নাম ফসফেটিডাইলিনোজাইটল-ফোর-কাইনাস বা পিআইফোরকে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: DW/G. Manco
জার্মানিতেও উপদ্রব
জার্মানিতেও ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে জার্মান মশারাও৷ মারাত্মক জীবাণু বহন করছে তারা৷ বিভিন্ন দেশের মশারা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের সাথে জার্মানিতে চলে আসে৷ কিছুদিন তারা বেঁচেও থাকে৷ তারপর আবার শীত এলে বিলীন হয়ে যায়৷
সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস মনে করেন, বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধির চেয়ে বেশি জরুরি ম্যালেরিয়া নিরাময়৷ সম্ভবত তিনি চাচ্ছেন, বিশ্বের বিত্তশালীরা ইন্টারনেটের প্রসারের পাশাপাশি এই বিষয়টির দিকেও মনোযোগ দিক৷ গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
মশাদের পছন্দ-অপছন্দ
ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে মশক বিনাশের এই সর্বাধুনিক পদ্ধতির নাম হলো ‘সিলেক্টিভ স্প্রেয়িং': পুকুর বেছে ব্যাকটেরিয়া ছাড়া৷ স্যাটেলাইটের ছবি থেকেই নাকি বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, জলের উপরিভাগ কেমন এবং মশারা সেখানে ডিম পাড়ে কিনা৷ মশাদেরও নাকি পানির ব্যাপারে পছন্দ-অপছন্দ আছে৷ যে সব শূককীট থেকে পরে মশা তৈরি হয়, তারা নাকি গুল্ম-লতাপাতা যুক্ত পরিষ্কার জল পছন্দ করে৷ জল ঘোলা না পরিষ্কার, তার রং কিরকম, তা-তে কি পরিমাণ পুষ্টিকর পদার্থ আছে – এ সবই নাকি মশাদের কোনো বিশেষ জলাশয়ের প্রতি আকৃষ্ট করে অথবা করে না৷
সব কিছু বিচার করে দেখা হয়, সর্বাগ্রে কোথায়, কোন কোন জলাশয়ে বিটিআই ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করা উচিত৷ প্রতি দশ দিন অন্তর ব্যাকটেরিয়া স্প্রে করতে হয়৷ আশেপাশের গ্রামগুলিতে শিশুদের মধ্যে কী পরিমাণ ম্যালেরিয়ার ঘটনা ঘটছে, তারও পরিসংখ্যান রাখা হয় – কেননা গোটা প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো: ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কি কমছে, এই মারণব্যাধিতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কি কমছে?