মস্কোর অভিযোগের উত্তরে পাল্টা আক্রমণ জেলেনস্কির। এদিকে ইউক্রেনে বিদ্যুতের চাহিদা তুঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। সেখানে মস্কোর প্রতিনিধি সারজেই সইগু অভিযোগ করেছিলেন, কিয়েভ বড়সড় আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তারা 'খারাপ বোমা' অর্থাৎ, যে বোমা তেজস্ক্রিয়, এমন জিনিস ব্যবহার করতে চাইছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। শুধু তা-ই নয়, সারজেইয়ের অভিযোগ, ইউক্রেনের ভিতরেই এই বোমা ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি বিশ্বের সহানুভূতি কুড়াতে চাইছে।
শাহেদ-১৩৬ : ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়ানো ইরানের ড্রোন
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে ইইউ৷ না, পারমাণবিক অস্ত্র বা মাহসা আমিনি হত্যাকাণ্ড নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণ ইরানের এমন এক ড্রোন যা নিয়ে ইউক্রেনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাশিয়া৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে পুলিশের মুহুর্মুহু গুলি
১৭ অক্টোবরের ছবি৷ আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়ছেন ইউক্রেনের দুই পুলিশ সদস্য৷ দূরে রাশিয়ার ড্রোন ছুটে আসতে দেখেছেন, তাই এভাবে আকাশের দিকে গুলি ছোঁড়েন তারা৷ ইউক্রেনের অভিযোগ- রাশিয়াকে এমন এক ড্রোন সরবরাহ করেছে ইরান, যা এখন অনায়াসে উড়ে ঢুকে রাজধানী কিয়েভে, ঢুকে দমাদম বোমা ফেলছে যেখানে-সেখানে৷
ছবি: Vadim Sarakhan/REUTERS
একমাসে ২২০টি ড্রোন!
না, ২২০টি ড্রোন রাশিয়াকে দেয়নি ইরান, অভিযোগ সত্যি হলে তার চেয়ে অনেক বেশি ড্রোন ইরান থেকে পেয়েছেন পুটিন৷ ইউক্রেনের দাবি, গত এক মাসের চেয়ে একটু বেশি সময়ে ২২০টিরও বেশি ড্রোন গুলি করে ফেলেছে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী৷ রাশিয়া অবশ্য ইরানের কাছ থেকে কোনো ধরনের ড্রোন নেয়ার কথা অস্বীকার করেছে৷ ইরানেরও একই সুর, অর্থাৎ তারা বলছে, রাশিয়াকে কোনো ড্রোনই দেয়া হয়নি৷ ছবিতে কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন৷
ছবি: Roman Petushkov/REUTERS
কিয়েভে ভয়াবহ হামলা
সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়ার ড্রোন৷ হামলায় পাঁচ জন মারা যান৷ ছবিতে হামলায় বিধ্বস্ত এক ভবন থেকে আটকে পড়াদের বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA/IMAGO
আতঙ্কের নাম শাহেদ-১৩৬
১৭ অক্টোবরের এই ছবিতেও ড্রোন থেকে ফেলা বোমায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার এক অংশ দেখা যাচ্ছে৷ ইউক্রেনের দাবি- রাশিয়ার হয়ে এ হামলা চালিয়েছে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন৷
ছবি: Oleksii Chumachenko/ZUMA Wire/IMAGO
শাহেদ-১৩৬-এর আরেক নাম
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার ব্যবহার করা ড্রোনকে কামিকাজে ড্রোন নামেও বর্ণনা করছে৷ ওপরের ছবিতে সেই ড্রোনের হামলায় বিধ্বস্ত কিয়েভের আবাসিক এলাকার একাংশ৷
ছবি: NurPhoto/IMAGO
কামিকাজে কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের বিমান বাহিনী এই নামে মিত্রবাহিনীর নৌবহরের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল৷ জাপানি ভাষায় কামিকাজে অর্থ ‘স্বর্গীয় বায়ু’৷ বিস্ফোরক বোঝাই বিমান নিয়ে বৈমানিকরা মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে আত্মঘাতী হামলা চালাতো বলে সেই হামলার নাম দেয়া হয়েছিল কামিকাজে৷ এমন হামলায় জাপানের প্রায় তিন হাজার ৮০০ বৈমানিক প্রাণ দিয়েছিলেন৷ বিপরীতে অন্তত সাত হাজার নৌ-সেনা হারিয়েছিল মিত্রবাহিনী৷
ছবি: Vadym Sarakhan/AP/picture alliance
ইউক্রেনের আকাশে ড্রোন মানেই এখন আতঙ্ক
কিয়েভের আকাশে উড়ে যাচ্ছে রাশিয়ার আরেকটি ড্রোন৷ এই ছবিটিও ১৭ অক্টোবরের৷
ছবি: SERGEY SHESTAK/EPA-EFE
ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র
কিয়েভসহ ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা হওয়ার পর হোয়াইট হাউস জানায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলবে৷ এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি৷
ছবি: Vladyslav Musiienko/REUTERS
ইরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সোমবারের হামলার পর ইরানের দূতাবাসের সামনে ইউক্রেনীয়দের বিক্ষোভ৷ ইরানের প্রতি অবিলম্বে রাশিয়াকে ড্রোন দিয়ে সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা৷
ছবি: SERGEY DOLZHENKO/EPA-EFE
পোল্যান্ডেও বিক্ষোভ
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর অনেক ইউক্রেনীয় পাশের দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নেয়৷ সোমবার পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরের ইউক্রেনীয়রা কিয়েভে ড্রোন থেকে বোমা হামলার প্রতিবাদ জানান৷ ওয়ারশর ইরান দূতাবাসে গিয়ে বিক্ষোভ জানান তারা৷
ছবি: Aleksander Kalka/ZUMA//picture alliance
ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করায় বুধবার ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বৈঠক হয়৷ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র,ফ্রান্স এবং ব্রিটেন কিয়েভে ড্রোন হামলা চালানোয় নিরাপত্তা পরিষদকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনান অনুরোধ জানায়৷
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
11 ছবি1 | 11
রাশিয়ার এই অভিযোগেরই কড়া জবাব দিয়েছেন জেলেনস্কি। রোববার দৈনিক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের এমন কোনো অভিপ্রায় নেই। অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনে, আসলে তারা নিজেরাই তার প্রস্তুতি নেয়। এরপরেই জেলেনস্কি বলেন, ''ইউরোপে যদি কেউ পরমাণু বোমা ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে তা একমাত্র রাশিয়া। সন্দেহ হচ্ছে, রাশিয়া তেমন কোনও পরিকল্পনা করে রেখেছে কি না।''
ইউক্রেনযুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি একাধিক ন্যাটো প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে রাশিয়ার প্রতিনিধির। ফোনের সেই আলোচনায় রাশিয়া বার বার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি এনেছে। বস্তুত, এর আগেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এধরনের বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছিল রাশিয়া। কিন্তু বাস্তবে তা প্রমাণ করতে পারেনি। অন্যদিকে ইউক্রেনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিকবার নার্ভ গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। যদিও তারাও তা প্রমাণ করতে পারেনি।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের অস্ত্র-সম্ভার
পশ্চিমা দেশগুলির সহযোগিতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ইউক্রেন। কী কী অস্ত্র আছে ইউক্রেনের হাতে?
ছবি: Sergey Kohl/Zoonar/IMAGO
সাহায্যের পরিমাণ
সাহায্যের নিরিখে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে অ্যামেরিকা। আট দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য পাঠিয়েছে। পোল্যান্ড দিয়েছে এক দশমিক ৮৩ বিলিয়ন। যুক্তরাজ্যের সাহায্যের পরিমাণ এক দশমিক ৩৬ বিলিয়ন। জার্মানি খরচ করেছে শূন্য দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার।
ছবি: Yasuyoshi chiba/AFP
হাইমারস রকেট
অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে হাইমারস রকেট লঞ্চার সিস্টেম দিয়েছে। প্রায় একডজন হাইমারস দিয়েছে অ্যামেরিকা। এই রকেট সিস্টেমের সাহায্যে ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানো যায়। ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার বেগে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছায় এই রকেট। রাশিয়ার হাতে এত ভালো রকেট সিস্টেম নেই বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। রাশিয়া বিএম-৩০ দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করছে। যার ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
ছবি: Gabrielle Quire/abaca/picture alliance
হাউইৎজারের ব্যবহার
চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এবং অ্যামেরিকা পৃথকভাবে মোট ১০০টি হাউইৎজার দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাকে। এম৭৭৭ হাউইৎজারের সঙ্গে ১৫৫ মিলিমিটারের তিন লাখ রাউন্ড কার্তুজ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সবচেয়ে ভালো হাউইৎজারের সমকক্ষ এই এম৭৭৭।
ছবি: AP Photo/Efrem Lukatsky/picture alliance
ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী অস্ত্র
ইউক্রেনের হাতে এখন পাঁচ হাজার ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী অস্ত্র আছে। কাঁধে নিয়ে এই অস্ত্র চালাতে হয়। অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশ ইউক্রেনকে এই অস্ত্র দিয়েছে। এর সাহায্যে ২২ থেকে ৮৭৫ গজের মধ্যে থাকা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা যায়। জার্মানি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে এই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দিয়েছে। যুদ্ধে এই অস্ত্র ইউক্রেনকে বহু জায়গায় জয় পেতে সাহায্য করেছে।
ছবি: Andrew Chittock/StockTrek Images/IMAGO
ট্যাঙ্কের পরিমাণ
পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিক ইউক্রেনকে মোট ২৩০টি ট্যাঙ্ক দিয়েছে। টি-৭২এম১ ট্যাঙ্কের ওজন ৪৬ টন। তিনজন ভিতরে বসতে পারেন। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে এই ট্যাঙ্ক। আঘাত হানতে পারে চার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক এবং ইউক্রেনের পুরনো টি-৭২ ট্যাঙ্কও তাদের কাছে আছে।
ছবি: Inna Varenytsia/AP/picture alliance
ড্রোনের ব্যবহার
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রচুর ড্রোনের ব্যবহার হচ্ছে। ইউক্রেনকে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। যার সাহায্যে ইউক্রেন নজরদারি করছে, আবার আক্রমণও চালাচ্ছে। তুরস্কের বায়রাকটার টিবি-২ ড্রোন ২৫ হাজার ফুট পর্যন্ত উড়তে পারে। ৩০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে। ছুটতে পারে ২২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ৪এমএএম-এল লেজার গাইডেড বোমা নিয়ে যেতে পারে এই ড্রোন।
ছবি: PETRAS MALUKA/AFP/Getty Images
এয়ার ডিফেন্স
সম্প্রতি জার্মানি ইউক্রেনকে একটি আইআরআইএস-টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠিয়েছে। আরো তিনটি কিছুদিনের মধ্যেই পাঠানোর কথা। অত্যাধুনিক এই অস্ত্র রাশিয়ার হাতে নেই। এছাড়াও অ্যামেরিকার কাছ থেকে তারা এনএএসএএমএস সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম পেয়েছে। স্লোভাকিয়া এস-৩০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়েছে। এস-৩০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৯০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত কাজ করতে পারে। ২০০ কিলোমিটার দূরের মিসাইল ট্র্যাক করতে পারে।
ছবি: Diehl Defence
7 ছবি1 | 7
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি
ইউক্রেন জানিয়েছে, শীতের আগে তাদের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুবই সমস্যার মধ্যে আছে। দেশের উইন্ড মিলগুলির ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। সৌরবিদ্যুতের কাঠামো নষ্ট হয়েছে ৪০ শতাংশ। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভূত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। মানুষ হিটার জ্বালান। এবার সকলকেই সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিয়েভে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে বিদ্যুতের প্রধান সংস্থাটি জানিয়েছে। রাশিয়া কিছুদিন আগেই কিয়েভে নতুন করে বোমাবর্ষণ করেছিল। তাতে বিদ্যুৎব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা শীতে দেশের মানুষকে ঠান্ডায় মেরে ফেলতে চায়।
রাশিয়ার পরিকল্পনা
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চলগুলিতে প্রাইভেট সেনা মোতায়েন করতে চাইছে। একাজে তারা ওয়্যাগনার সেনাদের নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। গত সপ্তাহে ওয়্যাগনারের প্রধানের একটি মন্তব্য থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। সেখানে ওই ব্যক্তি বলেছেন, লুহানস্ক, দনেৎস্ক অঞ্চলে তিনি তার সেনার কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছেন। রাশিয়া থেকে ওই অঞ্চল পর্যন্ত একটি নিরাপদ রাস্তা তৈরি করবে তারা। একইসঙ্গে সেখানে নিজের যোদ্ধাদের মোতায়েন করার কথাও বলেছেন তিনি।