মস্কোয় হতে পারে লাদাখ নিয়ে বৈঠক
৪ সেপ্টেম্বর ২০২০মস্কোয় লাদাখ নিয়ে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ভারত এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। শুক্রবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, দুই পক্ষই আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্য দিকে, লাদাখে উত্তেজনা এখনো অব্যাহত। শুক্রবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান প্যাংগংয়ে। সেনা বাহিনীর যে ট্রুপের সঙ্গে চীনের সেনার সংঘাত হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সেনা প্রধান জানিয়েছেন, উত্তেজক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আরও সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তিন দিনের মস্কো সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে তাঁর। সেখানে অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে পাকিস্তানের প্রসঙ্গও উঠেছিল। রাশিয়া পাকিস্তানকে যাতে অস্ত্র বিক্রি না করে, সে বিষয়ে রাজনাথ আর্জি জানিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। মস্কোতেই রাজনাথের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে লাদাখ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বস্তুত, গত এক সপ্তাহে লাদাখ সীমান্ত নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২৯ এবং ৩১ অগাস্ট ফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে ভারত এবং চীনের কম্যান্ডার স্তরের সেনা অফিসারদের মধ্যে বৈঠক চলছে চুসুলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো সমাধানসূত্র বার হয়নি। সূত্র জানাচ্ছে, কোনো পক্ষই পিছু হঠতে রাজি হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার লাদাখ গিয়েছেন সেনা বাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে। শুক্রবার প্রকৃত সীমান্ত রেখার কাছে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, সেনা জওয়ানরা মানসিক ভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে তাঁর ধারণা, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। ভারতীয় সেনা অফিসারদের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ''আমাদের অফিসাররা পৃথিবীর যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সেনা অফিসারের সঙ্গে তুলনীয়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা তাঁদের আছে।''
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মস্কোয় দুই দেশের মন্ত্রীর আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তবে এখনই কোনও সমাধানসূত্র মিলবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। শীত পর্যন্ত সংকট থাকবে বলেই তাঁদের ধারণা। কারণ, চীন এবং ভারত কোনো পক্ষই অপর পক্ষের প্রস্তাব মানতে রাজি নয়। প্রস্তাব মানলে প্যাংগং এবং গোগরা অঞ্চলে তাদের নিজেদের জমি ছেড়ে পিছিয়ে আসতে হবে। তাতে কোনো পক্ষই রাজি হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)