পেটের সমস্যা অনেকেরই আছে৷ কিন্তু পেটের সঙ্গে মাথার যোগাযোগের কথা জানতেন কি? বিজ্ঞানীরা আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন৷ ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে এই খবর জানা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
খোশমেজাজ নাকি মনমেজাজ ভালো নেই? নিশ্চিন্তে রয়েছেন, নাকি উদ্বেগে ভুগছেন? খিদে মিটছে না, ফলে মোটা হয়ে যাচ্ছেন? নাকি বেশ রোগাপাতলা হয়ে গেছেন?
এ সবের জন্য আমাদের আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া দায়ী হতে পারে৷ আমাদের জীবনের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ কতটা, গবেষকরা ধীরে ধীরে তা জানতে পারছেন৷ চিকিৎসক হিসেবে প্রো. মিশায়েলা আক্সট-গাডেরমান মনে করিয়ে দেন, ‘‘আমাদের অন্ত্রের মধ্যে ১০০ ট্রিলিয়ন, অর্থাৎ ১ কোটি কোটি জীবাণু রয়েছে, শরীরে কোষের সংখ্যার তুলনায় যা ১০ গুণ বেশি৷ সেই জীবাণুর নিজস্ব চরিত্র মোটেই ভালো বা খারাপ হয় না৷ আমাদের স্বাস্থ্য ও ভালো থাকার জন্য এই জীবাণু অত্যন্ত জরুরি৷ জীবনধারা ও খাদ্যের মাধ্যমে আমরাই বরং তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করি৷''
অন্ত্রের মধ্যে এই জীবাণু এমনকি আমাদের মস্তিষ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করে৷ মিশায়েলা আক্সট-গাডেরমান তা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ সবার আগে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ কিছু ইঁদুরকে এমন খাবার দেওয়া হয়েছে, যাতে ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া মেশানো রয়েছে৷ বাকিদের স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়েছে৷ কিছুক্ষণ পর এক গোলকধাঁধার মধ্যে সব ইঁদুর ছেড়ে দিয়ে সেগুলির আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷
বিস্ময়কর ঘটনা হলো, দুই দলের আচরণের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা গেছে৷ প্রো. আক্সট-গাডেরমান বলেন, ‘‘অত্যন্ত ভিতু প্রজাতির ইঁদুরকে নির্দিষ্ট জীবাণু, অর্থাৎ ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া খাইয়ে দেখা গেছে, যে তাদের সাহস অনেক বেড়ে গেছে৷ অর্থাৎ আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া যোগ করে ইঁদুরের আচরণের উপর প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব৷''
কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইঁদুরের উপর পরীক্ষার ফলাফল কি মানুষের ক্ষেত্রেও খাটবে? আমরা ভিতু না সাহসি, তা কি ভালো বা খারাপ খাবারের উপর নির্ভর করে? অবশ্যই সেটা সত্য নয়৷ তবে ইঁদুর ও মানুষের অন্ত্রের গঠন ও কার্যপ্রণালীর মধ্যে অনেক মিল রয়েছে৷ এটাও ঠিক, যে আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া দুই প্রাণীর ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য, ওজন ও আচরণের উপর প্রভাব রাখে৷
সেটা কীভাবে ঘটে, নিউরোপ্যাথোলজিস্ট হিসেবে প্রোফেসর মার্কো প্রিনৎস তা নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মস্তিষ্ক ও অন্ত্রের পরস্পরকে প্রয়োজন হয়৷ তাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগও থাকে৷ তবে মস্তিষ্ক যে সরাসরি অন্ত্রের কাছ থেকে সংকেত পায়, তা জেনে আমাদের অবাক লাগছে৷ মস্তিষ্ক বিচ্ছিন্ন এক প্রণালী বলেই আমরা চিরকাল জানতাম৷ আমাদের গবেষণার ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে, যে অন্ত্রের সংকেত অবশ্যই মস্তিষ্কে পৌঁছয়৷''
অন্ত্র এবং আত্মার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ
সারা বিশ্বের শতকরা ১১ ভাগ মানুষই পেটের কোনো-না-কোনো সমস্যায় ভোগেন, যা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকে ব্যাহত করে৷ এ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ছবি: MDR
প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
জার্মানি এবং অ্যামেরিকার এক যৌথ গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের ভয় এবং মানসিক চাপ অন্ত্র বা পেটের সমস্যায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ এ সম্পর্কে জার্মান সোসাইটি ফর সাইকোসোমিক মেডিসিন অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইকোথেরাপির পরামর্শ, ডাইরিয়া, পেটফাঁপা, বদহজম বা পেটের অন্যান্য সমস্যায় দেহমন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন৷
খাবারের প্রভাব কতটা
অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ নানা দেশে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন, যা পেট হয়তো গ্রহণ করতে পারেনা৷ এক্ষেত্রে জার্মান গবেষণা কেন্দ্রের পরামর্শ, বেশকিছুদিন ধরে নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকুন এবং সব বিষয়ে জানান, তবেই রোগের আসল কারণ জেনে সুচিকিৎসা করা সম্ভব৷
ছবি: picture-alliance/CTK/digifoodstock
বয়স অবশ্যই একটা ব্যাপার
মানসিক চাপ এবং শারীরিক চাপ কতটা সেটাও বড় বিষয়৷ তাছাড়া বয়সের সাথে সাথে যে শরীরের গ্রহণক্ষমতা কমে যায়, সেটাও ভুলে গেলে চলবে না৷ তাই রোগীর বয়স বুঝে এবং সমস্যাকে ভালো করে গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত৷ একথা জানান হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের প্রধান ব্যার্ন্ড ল্যোভে৷
ছবি: Colourbox
ইতিহাস জানা
পেটের সমস্যা ও মানসিক চাপ একই সাথে শুরু হয়েছে কিনা, কিংবা আগে থেকেই আছে কিনা, এসব ইতিহাস জানা খুবই জরুরি৷ এসব জানলেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে মানসিক চাপ এবং ভয় বা আতঙ্কের সম্পর্ক কতটা তা বোঝা সম্ভব৷
ছবি: picture alliance/dpa Themendienst
ডায়রিয়া
ডায়রিয়ার ব্যাপারে মানসিক চাপের ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ এক্ষেত্রে রোগী নারী না পুরুষ সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তাছাড়া কখনো কখনো অন্যান্য ইনফেকশনের কারণে ডায়রিয়ার মাধ্যমেও পেটের সমস্যা জটিল হয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্য ওষুধের প্রভাব
একই সাথে অন্য কোনো ওষুধ সেবনের কারণেও ডাইরিয়া মারাত্মক আকার নিতে পারে৷ তবে এ রকমটা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে৷ এমনটাই বেরিয়ে এসেছে গবেষণায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Klose
মানসিক চাপে পুরুষরা তাড়াতাড়ি কাবু
অন্যদিকে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়৷ মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের এই প্রবণতা বেশি, অর্থাৎ মানসিক চাপে পুরুষরা তাড়াতাড়ি কাবু হয়৷ কাজেই পুরুষরা সতর্ক থাকুন !
ছবি: Colourbox/S. Tryapitsyn
শরীর থেকে মনে
যৌথ গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন যে, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ আর সে কারণেই শরীরের যে কোনো সমস্যায় মনের খোঁজ রাখতে হবে এবং এর উল্টোটাও একই রকম প্রয়োজন৷ অনেকের ক্ষেত্রে অনেকদিন কোনো মানসিক চাপে থাকার পর হঠাৎ করেই শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়৷ অন্যদিকে কেউ কেউ বহুদিন শারীরিক সমস্যায় থাকার কারণে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মানসিক চাপ দূরে রাখার উপায়
মানসিক চাপ থেকে সময়মতো বেরিয়ে আসা বা চাপ সত্ত্বেও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব৷ সেজন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা, ব্যায়াম, খেলাধুলা ইত্যাদি৷ বলেন, মনোবিজ্ঞানী হারাল্ড গ্যুন্ডেল৷
ছবি: Colourbox/D.Vietrov
শেষ কথা
শারীরিক এবং মানসিকভাবে যিনি সুস্থ, তাকেই কেবল বলা যায় ‘সুস্থ’ মানুষ৷ জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করতে সুস্থ থাকাটাও জরুরি৷
ছবি: drubig-photo - Fotolia
10 ছবি1 | 10
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে পেরেছেন, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে যে ইঁদুরের অন্ত্রে কোনো জীবাণু রাখা হয় নি, তার মস্তিষ্কে গুরুতর পরিবর্তন ঘটেছে৷
অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া না থাকায় মস্তিষ্কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে৷ মাইক্রোগলিয়া নামের বিশেষ ধরনের কোষ হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অথবা পুরোপুরি লোপ পেয়েছে৷ অথচ এই কোষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ সেগুলি বাইরে থেকে জোর করে প্রবেশ করা জীবাণু ও মৃত স্নায়ুকোষ দূর করে এবং সংক্রমণের মোকাবিলা করে৷ সারা জীবন ধরে মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রেও সেগুলির অবদান রয়েছে৷ প্রোফেসর মার্কো প্রিনৎস বলেন, ‘‘যে ইঁদুরের অন্ত্রে জীবাণু নেই এবং যার মাইক্রোগলিয়া কোষ নিষ্ক্রিয় রয়েছে, তাকে যদি একটি খাঁচার মধ্যে স্বাভাবিক ইঁদুরের সঙ্গে রাখা হয়, তাদের মাইক্রোগলিয়া কি আবার সক্রিয় ও বিকশিত হয়ে উঠে পারে – সেটাই ছিল প্রশ্ন৷''
বাস্তবে দেখা গেল, খাঁচায় চার সপ্তাহ সহাবস্থানের পর তাদের অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা এবং মস্তিষ্কে মাইক্রোগলিয়া কোষের সংখ্যা সত্যি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে৷
স্টেফানি ক্র্যুগার/এসবি
পেটের গোলমাল মানে সবই এলোমলো
রাতে পার্টি অথচ পেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা করছে, বার বার টয়লেটে যেতে হচ্ছে৷ ভুল বা বেশি খাওয়া, নাকি নার্ভাস বা উত্তেজনা? এ ধরণের সমস্যার কারণই বা কী? কী বা এর প্রতিকার? এ বিষয়েই বিস্তারিত পাবেন এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/ S. Bandopadhyay
সব আনন্দই মাটি
কোনো উৎসবে অতিরিক্ত খাওয়ার পর তা হজম করতে অসুবিধা হলে যে কিছুই ভালো লাগে না – সেটা আমরা কম বেশি সকলেই জানি৷ পেট মোচড়ানো, পেট ব্যথা, টয়লেটে যাওয়া এ সব কিছু যেন সব আনন্দ মাটি করে দেয়৷ সাধারণ পেট খারাপ বা ডাইরিয়ার পাশাপাশি এর কারণ কিন্তু পাকস্থলী বা অন্ত্রের অসুখও হতে পারে৷
ছবি: picture alliance/dpa Themendienst
বদহজমের নানা কারণ
নানা কারণে বদহজম হতে পারে৷ ভুল বা অতিরিক্ত বা অনেককিছু একসাথে মিশিয়ে খাওয়া, উত্তেজনা, নার্ভাসনেস বা হঠাৎ করে কোনো ভাইরাস থেকে পেটের সমস্যা হতে পারে৷ আর নিয়মিত অনিয়মে যা হয়ে উঠতে পারে ‘ক্রনিক’৷ পাকস্থলী বা পাকতন্ত্র পরিষ্কার না থাকলে তা কোনো ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারে না৷
ছবি: Fotolia/Gennadiy Poznyakov
সবচেয়ে বড় অঙ্গ
মানুষের শরীরে অন্ত্র নামের যন্ত্রটি প্রায় ৮ মিটার লম্বা এবং সে হিসেবে এটাই শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ৷ শরীর যে খাবারগুলো গ্রহণ করে, তার মধ্যে জটিল পুষ্টিকর বস্তু যেমন শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থকে ভেঙে সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে অন্ত্র৷ পাকস্থলী ও অন্ত্রের দেয়ালের মাধ্যমে শোষিত হয়ে এগুলো সমস্ত শরীরে যায়৷
ছবি: Fotolia/Sebastian Kaulitzki
সরাসরি কথা বলা প্রয়োজন
তাই পাকস্থলী এবং অন্ত্র – বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্র সব সময় পরিষ্কার রাখা জরুরি৷ কারণ অন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে শরীর দৈনন্দিন সব কাজ ঠিকমতো করতে পারে না৷ তবে কিছু নিয়ম-কানুন, অর্থাৎ নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটা-চলা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং হালকা কিছু ব্যায়াম করলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব৷ এর জন্য সংকোচ বোধ না করে কথা বলুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চাই স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য
সুস্থ অন্ত্রের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার৷ আর সেটা যে শুধু পেটের জন্যই ভালো তা নয়, একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে এগুলো বড় ভমিকা পালন করে৷ পাকস্থলী বা অন্ত্রের প্রয়োজন ‘সঠিক খাবার’, যাতে অন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে পারে৷ অথাৎ আঁশযুক্ত খাবার, ভুষিসহ রুটি, বিভিন্ন শষ্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাকসবজি, ফলমুল ইত্যাদি৷
ছবি: Fotolia
খুব সহজ উপায়
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকেু উঠেই এক গ্লাস কুসুম-কুসুম গরম জল পান করুন৷ তবে সেটা যেন ‘মিনারেল ওয়াটার’ না হয়৷ এটা অন্ত্রের জন্য উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে এবং টয়লেটে যেতে সাহায্য করবে৷ প্রতিদিন একই সময়ে নিয়ম করে টয়লেটে যাওয়ার অভ্যাস করলে স্বাভাবিকভাবেই পেট পরিষ্কার থাকবে৷
ছবি: Fotolia/Artusius
যে খাবার পাকস্থলীর জন্য ভালো
জার্মানির খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডিজিই-র হিসেব অনুয়ায়ী, দিনে কম করে হলেও ৩০ গ্রাম সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত৷ অর্থাৎ বিভিন্ন দানা, বিচি, সবজি ফল ইত্যাদির সাথে অবশ্যই যথেষ্ট পানি (কম করে দুই থেকে তিন লিটার) পান করতে হবে৷ তাছাড়া কফি, তেতো শাক-সবজি, শুকনো আলু বোখারা পাকস্থলীকে সক্রিয় রাখে, রক্ত চলাচল বাড়ায়৷
ছবি: picture alliance/chromorange
ডাক্তারের পরামর্শ
অবশ্য শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, মানুষের জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও পেট খারাপ, পেটকষা বা হজমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ অর্থাৎ কারণ খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন৷
ছবি: DW-TV
পেটকষা
পেটে ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়৷ হাত দিয়ে পেটে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে পারেন৷ তাছাড়া পেটে একটি গরম কাপড় বা ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’ কিছুক্ষণ ধরে রাখলে পেটে রক্তচলাচল ভালোভাবে হয়৷ এছাড়া রাতের খাবার বিছানায় যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত৷
ছবি: Fotolia/Picture-Factory
যে কারুরই হতে পারে
হঠাৎ করে যদি কারুর ‘অ্যানিমিয়া’ ধরা পড়ে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তাঁর পাকস্থলী বা অন্ত্রের কোনো অসুখ আছে৷ এই সমস্যা পুরুষদের তুলনার নারীদেরই বেশি হয়ে থাকে৷ তাই নারীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা অত্যন্ত আবশ্যক৷
ছবি: Fotolia/Alliance
ভ্রমনে সতর্কতা
ভ্রমনের সময় বা অন্য দেশ, অন্য খাবার, আবহাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে পেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়, যা ভ্রমণ বিলাসীরা ভালো করেই জানেন৷ তাই আগে থেকেই খাবারের ব্যাপারে কিছুটা সতর্ক হলে ভ্রমণ আরো আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে৷ ছবিতে দেখুন, ডেভিড ক্যামেরন ভারতে কলকাতার রাস্তায় দাড়িয়ে নিশ্চিন্তে ডালবড়া খাচ্ছেন৷