1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকরা ‘চরিত্রহীন’

১১ আগস্ট ২০১৪

সাংবাদিকদের ‘খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলায় আবারো সমালোচনার মুখে পড়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী৷ বাংলা ব্লগ, ফেসবুক এবং টুইটারে এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ কেউ কেউ তাঁর প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন৷

Symbolbild Medien
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia

জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সামহয়্যার ইন ব্লগে মো. মাকসুদুর রহমানের লেখার শিরোনাম, ‘‘সমাজ**অ**কল্যাণমন্ত্রীকে *৫৫৫* অভিনন্দন!'' এই ব্লগার মহসিন আলীর বিতর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সাংবাদিকরা গতকালের (শনিবার) আলোচনা সভায় তাঁর দেয়া বক্তব্য পাঠকদের উদ্দেশে ভদ্রস্থভাবে তুলে ধরার জন্য সেন্সরড করছেন৷ সে জন্য আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ তবে একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী প্রকাশ্য কতটা অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করতে পারে তা দেখে সত্যিই আমরা লজ্জিত৷''

রহমান লিখেছেন, ‘‘গত ৮ মাসের কার্যক্রমে সৈয়দ মহসিন আলীকে আমরা কোনো ক্রমেই সমাজকল্যাণমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বশীল মন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারছি না৷ তাঁর দ্বারা ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অকল্যাণের বার্তা পৌছে গেছে৷ তবে সমাজের অকল্যাণ করার জন্য যা যা করা দরকার তা অবশ্য তিনি ইতিমধ্যেই সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন৷''

প্রসঙ্গত, সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে নিয়ে বাংলা ব্লগে বিভিন্ন সময় নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে৷ রেজা ঘটক জানুয়ারি মাসে আমার ব্লগে লেখেন, ‘‘বাংলায় কাণ্ডজ্ঞান বলে একটা কথা আছে৷ একজন মানুষের কাণ্ডজ্ঞান থাকাটা খুব জরুরি৷ আর একজন মন্ত্রীর তো এটা না থাকলে তাঁর মন্ত্রী হবার কোনো দরকার নাই৷ কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্ত্রী দিয়ে সমাজের কোনো লাভ হয় না৷''

মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এই বিষয়ে লিখেছেন, মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ হামিদুল্লাহ বাবু জানিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রতিবাদের কথা৷ তিনি এসংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন৷

এছাড়া টুইটারে বাংলা ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ এঁদের একজন ইশতিয়াক রাজিব মনে করেন, সব সাংবাদিক ‘খবিশ' নয়৷

মন্ত্রী মহসিন আলীর মন্তব্যের প্রতিবাদ ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেখা গেছে৷ সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব গোলাম মোর্তোজা তাঁর ব্যক্তিজীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন৷ বিশেষ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনীতিবিদরা যখন প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন, তখন কিছু সাংবাদিকদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরেন তিনি৷

বর্তমান সরকারের আমলে সেই রাজনীতিবিদরা সাংবাদিকদের নিয়ে যেসব কথা বলছেন তা মোর্তোজা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘‘আজ আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায় ‘সিঁধেল চোর'৷ শামীম ওসমানের ভাষায় ‘কুকুর'৷ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর ভাষায় ‘খবিশ' ‘চরিত্রহীন'৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনা ছিলেন কারাগারে৷ শামীম ওসমান ছিলেন পলাতক৷ কোথায় ছিলেন সৈয়দ মহসিন আলী?''

উল্লেখ্য, এর আগেও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চে বসেই ধূমপান এবং টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি উচ্ছেদের বিরোধিতাকারীদের নিয়ে কটূক্তি করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ