1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশযান

৬ আগস্ট ২০১২

ভূমি থেকে ৩৮৬ কিলোমিটার উপরের আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র, আইএসএস ছাড়িয়ে নাসার দৃষ্টি এখন আরও উপরে৷ তাইতো আইএসএস’এ যাওয়ার দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হচ্ছে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে৷

Es sieht aus wie ein Space-Shuttle im Mini- Format, ist gerade mal 8,80 Meter lang mit einer Flügel-Spannbreite von rund 4,60 Metern (undatiertes Computerbild). Es hat eine kleine Ladebucht, wiegt 5 Tonnen und fliegt unbemannt. Viel mehr weiß die Öffentlichkeit nicht über das Raumflugzeug X-37B: Es gehört zu den sorgfältig gehüteten Geheimnissen der US Air Force. In der Nacht zum Freitag (23.04.2010, MESZ) sollte das Space Plane vom militärischen Teil des Weltraumbahnhofs Cape Canaveral (Florida) zu seinem ersten Testflug aufbrechen. Die Dauer des Fluges? Unbekannt. Nur so viel steht fest: Es können bis zu neun Monate sein. Denn dieser mysteriöse Vogel ist so gebaut, dass er 270 Tage lang im Orbit bleiben kann. Foto: NASA/MSFC (zu dpa 0800) +++(c) dpa - Bildfunk+++ dpa 18427443
ছবি: picture-alliance/dpa

আইএসএস'এ যাওয়ার জন্য নাসা গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিকে ‘শাটল কর্মসূচি' শুরু করে৷ এর আওতায় পাঁচটি মহাকাশযানে করে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ কেন্দ্রে যাতায়াত করেন৷ এই যানগুলো হলো কলোম্বিয়া, চ্যালেঞ্জার, ডিসকভারি, অ্যাটলান্টিস ও এন্ডেভার৷

তবে গত বছর এই কর্মসূচি সমাপ্ত করে মহাকাশযানগুলোকে অ্যামেরিকার বিভিন্ন জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয় নাসা৷ সেসময় বলা হয়েছিল, এখন থেকে আইএসএস এর জন্য মহাকাশযান বানাবে বেসরকারি কোম্পানি৷ কেননা শাটলের যানগুলো পরিচালনার জন্য যে অর্থ ব্যয় হচ্ছিল নাসার কাছে সেটা অপচয় মনে হচ্ছিল৷ তাইতো নাসা কর্তৃপক্ষ, আইএসএস'এর কাজ বেসরকারি কোম্পানিকে দেয়ার মাধ্যমে যে টাকাটা বাঁচবে সেটা অন্য কাজে লাগাতে চেয়েছে৷ যেমন আইএসএস থেকে আরও উঁচুতে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ, এমনকি মঙ্গলগ্রহে অভিযানের জন্য বেশি বেশি অর্থ খরচ করতে চেয়েছে৷

তবে বেসরকারি কোম্পানিগুলো যেন ঠিকঠাক মতো মহাকাশযান বানাতে পারে সেজন্য অর্থ সাহায্য দেয়ার একটি কর্মসূচি চালু করেছে নাসা৷ এর আওতায় ইতিমধ্যে সাতটি কোম্পানিকে একদফা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএসছবি: NASA/dapd

এর মধ্যে গবেষণায় অনেকখানি এগিয়ে যাওয়া তিনটি কোম্পানিকে আবারও বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছে নাসা৷ এগুলো হলো বোয়িং, স্পেসএক্স ও সিয়েরা নেভেদা কর্পোরেশন৷ এর মধ্যে স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি একটি মহাকাশযান গত মে মাসে সফলভাবে আইএসএস'এ কিছু রসদ পৌঁছে দিয়েছে৷ তবে ঐ যানে কোনো মানুষ ছিল না৷

তিনটি কোম্পানিকে নাসা আগামী ২১ মাসের জন্য মোট ১১১ কোটি ডলার দেবে৷ এর মধ্যে বোয়িং কোম্পানি পাবে সর্বোচ্চ ৪৬ কোটি ডলার৷ তারা যে যান তৈরির চেষ্টা করছে তার নাম ‘সিএসটি-১০০' ক্যাপসুল৷ ‘অ্যাটলাস ৫' রকেটের মাধ্যমে এটি উড়বে৷ মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন ও বোয়িং এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত কোম্পানি ‘ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স' এর রকেট এটি৷

এরপর ৪৪ কোটি ডলার পাবে স্পেসএক্স৷ এই টাকা দিয়ে তারা তাদের ‘ড্রাগন' কার্গো ক্যাপসুলটির মান উন্নয়ন করবে৷ এই ড্রাগনই গত মে মাসে ‘ফ্যালকন ৯' রকেটের সহায়তায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ঘুরে এসেছে৷

নাসার বরাদ্দের বাকি অংশ একুশ কোটি ডলার পাবে সিয়েরা নেভেদা কর্পোরেশন৷ এটা দিয়ে তারা তাদের পাখাওয়ালা ‘ড্রিম চেজার' যান তৈরির কাজ শেষ করবে৷ এটিও অ্যাটলাস ৫ রকেটের সাহায্যে উড়বে৷

নাসার এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলছেন, কোম্পানিগুলোও এ কাজে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে৷ এবং এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে যাবে৷

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে নাসার বিজ্ঞানীরা বেসরকারি কোম্পানির তৈরি মহাকাশযান ভাড়া নিয়ে আইএসএস'এ যেতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এই সময়টায় রাশিয়ার তৈরি ‘সোয়ুজ' যানে করে মহাকাশে যাতায়াত করবেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা৷ এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে৷ সোয়ুজের একেকটা আসনের জন্য নাসাকে গুনতে হচ্ছে ছয় কোটি ডলার৷

নতুন অর্থ পাওয়া তিন কোম্পানির মধ্যে বোয়িং অনেকদিন ধরে নাসার সঙ্গে কাজ করছে৷ যাত্রীবাহী বিমান তৈরিতে বোয়িং একটি বিখ্যাত নাম৷ বোয়িং আশা করছে, ২০১৬ সালে তারা তাদের মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষণ ফ্লাইট শুরু করতে পারবে৷ নাসার বিজ্ঞানীদের জন্য তারা কত টাকা ভাড়া নির্ধারণ করবে সেটা না জানালেও অর্থটা সোয়ুজের চেয়ে অনেক কম বলেই নিশ্চিত করেছে বোয়িং৷

অন্য কোম্পানি স্পেসএক্স এর মালিক পেপাল এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান টেলসা মোটরস এর প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মুস্ক৷ ২০১৫ সালে তারা প্রথম পরীক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করবে৷ স্পেসএক্স এর যান ড্রাগনে সাতজন যাত্রীর স্থান থাকবে৷ একেকটি আসনের জন্য নাসার কাছ থেকে দুই কোটি ডলার নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি৷

আর সিয়েরা নেভেদা কোম্পানিটি মহাকাশ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় রয়েছে ২৫ বছর ধরে৷

শুরুতে নাসা সাতটি কোম্পানিকে অর্থ দিলেও এবার দিল তিনটি কোম্পানিকে৷ নাসা বলছে, বাকি চারটি কোম্পানি তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে৷ হয়তো ভবিষ্যতে তাদের তৈরি মহাকাশযানও ব্যবহার করতে পারে নাসা৷

জেডএইচ/আরআই (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ