1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশের অজানা রহস্য উন্মোচন করছেন বিজ্ঞানীরা

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি২৪ মে ২০১৪

পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা আমরা জানি৷ কিন্তু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অভিকর্ষ তরঙ্গের সাক্ষাৎ পরিচয় আইনস্টাইনও পাননি৷ প্রযুক্তির কল্যাণে তার অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ ফলে ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্ব যাচাইয়ের পথও খুলে যাচ্ছে৷

ছবি: X-ray: NASA/CXC/Wisconsin/D.Pooley & CfA/A.Zezas; Optical: NASA/ESA/CfA/A.Zezas; UV: NASA/JPL-Caltech/CfA/J.Huchra et al.; IR: NASA/JPL-Caltech/CfA

আনাড়িদের কাছে এটা একটা ডিজাইন মাত্র, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কাছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা৷ একে বলে কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড৷ এই ছবির উৎস নাকি অভিকর্ষ তরঙ্গ৷ কয়েক দশক ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন তরঙ্গের খোঁজ করছেন৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডিটার ব্রাইটশ্ভেয়ার্ট বলেন, ‘‘এখন যদি আমরা অভিকর্ষ-তরঙ্গ ভিত্তিক জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা করতে পারি, তাহলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে আমাদের হাতে বাড়তি একটা অস্ত্র এসে যাবে৷ তা কাজে লাগিয়ে আমরা হয়ত এমন সব জিনিস দেখতে পাবো, যা এতকাল আমাদের নজরের আড়ালে ছিল৷ শুধু অভিকর্ষ-তরঙ্গের মধ্যেই তার দেখা মেলে৷''

আলবার্ট আইনস্টাইন বেঁচে থাকলে খুবই রোমাঞ্চ অনুভব করতেন৷ তিনি তাঁর ‘থিওরি অফ রিলেটিভিটি'-তে অভিকর্ষ তরঙ্গের পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন৷ তবে সেটা যে কখনো দেখা যাবে, তিনি সেটা ভাবতে পারেননি৷

কোনো বস্তু পুকুরে পড়লে পানিতে যে ভাবে তরঙ্গ দেখা যায়, ঠিক সেভাবে ব্ল্যাক হোল-এর মতো কোনো মহাজাগতিক বস্তু ও ‘হাই এনার্জি' মহাকাশে তরঙ্গের সৃষ্টি করে৷ তখন প্রায় আলোর গতিতে অভিকর্ষ-তরঙ্গ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে৷ সদ্য আবিষ্কৃত তরঙ্গের উৎস এমন এক যুগের, যা বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

তখন আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বয়স ছিল সেকেন্ডের ক্ষুদ্র এক ভগ্নাংশ৷ অধ্যাপক ব্রাইটশ্ভেয়ার্ট বলেন, ‘‘শুরুতেই অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটেছিল৷ এই সময়ে যা ঘটেছিল, তা আমরা বুঝতে চাই৷ তাহলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তনের অনেক পর্যায়ও আমরা বুঝতে পারবো৷ এতটা পিছিয়ে না গেলে এই হেঁয়ালির সমাধান করতে পারবো না৷''

তত্ত্ব অনুযায়ী ‘বিগ ব্যাং' বিস্ফোরণের ঠিক পরে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল৷ গবেষকরা এই পর্যায়কে ‘ইনফ্লেশন' বলেন৷ এটা অনেকটা মাধ্যাকর্ষণের বিপরীত শক্তির মতো৷ এটি মহাকাশকে ঠেলে ফুলিয়ে দেয়৷ সেই সম্প্রসারণ এখনো চলছে৷ পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে এই ধারণা কিছুটা চমকপ্রদ হলেও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ‘বিগ ব্যাং' তত্ত্বের সঙ্গে বাস্তবের সামঞ্জস্য ঘটে৷

এই মডেল যদি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্মলগ্নের অভিকর্ষ তরঙ্গের হয়, তাহলে সেটা হবে এই তত্ত্বের সপক্ষে প্রমাণ, যে আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা ইনফ্লেশন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে গেছে৷ তথ্য বিশ্লেষণ করে এও জানা যাবে, সে সময় সম্প্রসারণের মাত্রা কতটা ছিল এবং কত দ্রুত ও কত সময় ধরে সেটা ঘটেছিল৷ অধ্যাপক ব্রাইটশ্ভেয়ার্ট বলেন, ‘‘এতে আবার প্রমাণ হচ্ছে, যে সত্যি এমনটাই ঘটেছিল৷ গত দুই দশকে জ্যোতির্বিদ্যার ক্ষেত্রে অনেক যুগান্তকারী পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে৷ এখন মনে হচ্ছে, এই প্রবণতা এখনো চলছে৷''

এগুলি অভিকর্ষ তরঙ্গই ছিল কিনা, তা জানতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে৷ তখন ইউরোপীয় এক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য প্রকাশিত হবে৷ সেটিও একই তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করছিলো৷ অতএব ফলাফলও একই হওয়ার কথা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ