চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর মানুষ এখনো মহাকাশের আরও গভীরে যেতে পারেনি৷ ইউরোপীয় এটিভি মহাকাশযানকে সেই লক্ষ্যেই আরও উন্নত করে তোলা হচ্ছে৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে হয়ত চাঁদেই এক ঘাঁটি তৈরি হবে৷
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় পরিবহন মহাকাশযানগুলি এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০ টন জিনিসপত্র আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠিয়েছে৷ ইউরোপে এখনো পর্যন্ত এটিভি-ই সবচেয়ে জটিল মহাকাশযান৷ এবার তার দিন ফুরিয়ে আসছে৷ তাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি নতুন কাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে৷
এটিভি-যানে উচ্চ প্রযুক্তির ন্যাভিগেশন সিস্টেম রয়েছে৷ এর সাহায্যে সে তার নিজস্ব গতিপথ স্থির করতে পারে৷ এমনকি আইএসএস-এর সঙ্গে ডকিং-এর জটিল প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা ও তা কার্যকরও করতে পারে৷ ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘এটিভি ৫-এ দুটি নতুন অপটিকাল সেন্সর রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে৷ শুধু স্পেস স্টেশনে ডকিং-এর জন্যই এর প্রয়োজন হবে না৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য বস্তুর কাছে বা তার সঙ্গে একতরফাভাবে যুক্ত হওয়া যাবে৷''
মহাশূ্ন্যে বানর পাঠিয়ে ধাপ্পাবাজি?
ইরানের নিজস্ব বিবৃতি অনুযায়ী, সেদেশ ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি বানরকে যাত্রী করে মহাশূন্যে রকেট পাঠিয়েছে এবং সেটিকে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে এসেছে৷ কিন্তু ব্যাপারটায় একটা গোলমাল আছে৷
ছবি: Isna
যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়
‘কাওয়শগর’ ক্যাপসুলটি একটি অপরিচিত স্থানে ভ্রাম্যমাণ লঞ্চ-প্যাডে দাঁড়িয়ে, যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়৷ যাত্রী হিসেবে একটি বানরের ভিতরে থাকার কথা৷
ছবি: Irna
চুপচাপ বসো...
যাত্রা শুরুর আগে বানরযাত্রীর ছবি৷ তার নাম রাখা হয়েছে আফতাব বা সূর্য৷
ছবি: Irna
এবার সামলে
নভোচারীর পোশাকে আফতাব৷ বেঁধেছেদে রাখায় তাকে খুব খুশি দেখানোর কথা নয়৷ ডান চোখের উপর আঁচিল কিংবা জরুলটা খেয়াল করবেন৷
বানরযাত্রীর কি অবস্থা?
২৮শে জানুয়ারি ইরানের সংবাদ সংস্থাগুলি মহাকাশযানের সফল যাত্রা শুরুর খবর দেয়৷
ছবি: Irna
বানর নভোচারীর ধরায় প্রত্যাবর্তন
মহাশূন্যে ১৬ মিনিটের যাত্রার পর আফতাব বহাল তবিয়তে ধরাধামে প্রত্যাবর্তন করেছে, বলে ইরানি সংবাদ সংস্থাগুলি জানায়৷ ইরানের মহাকাশ অভিযান কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন, যেখানে আফতাব নাকি সাংবাদিকদের হাসির খোরাক জুটিয়েছে, বলে সরকারি ইসনা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে৷
ছবি: Isna
ধকলের কোনো লক্ষণ নেই আফতাবের
অতো বড় মহাকাশযাত্রার পরেও আফতাব টপ ফর্মে, সেটা কি করে সম্ভব? বানর নভোচারীকে একটু ভালো করে দেখা দরকার...
ছবি: Isna
বদলে গেছে আফতাব!
সত্যিই, মহাকাশযাত্রার ফলে যেন আফতাবের বয়স কমে গেছে৷ ডানচোখের ওপর জরুলটা উধাও হয়েছে৷ গোঁফদাড়ি আগে সাদাটে ছিল, এখন ঘন বাদামি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এমন একটি ‘আশ্চর্য’ সাফল্য
ইরানের মহাকাশযাত্রা সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোহাম্মেদ ইব্রাহিমি (ডানদিকে; বাঁয়ে রয়েছেন হামিদ ফাজেলি, মহাকাশযাত্রা কর্তৃপক্ষের প্রধান) যেন নিজেই সেটা পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না...
ছবি: Isna
8 ছবি1 | 8
যেমন কক্ষপথ থেকে বিক্ষিপ্ত স্যাটেলাইট৷ মহাকাশে আবর্জনা এড়াতে এটিভি-৫ সেটির নিয়ন্ত্রিত পতন ঘটাতে পারবে৷ এটিভি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয়রা মহাকাশের গভীরে মানুষ পাঠাতে পারবে৷ তার ইঞ্জিন ও এভিয়নিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি করে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল-এর জন্য একটি মডিউল তৈরি করা হচ্ছে৷ অ্যামেরিকানরা অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুপুঞ্জে যেতে অথবা চাঁদে একটা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ মঙ্গলগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতির জন্য সেখানে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা চালানো যেতে পারে৷