1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশের ছবিকে নান্দনিক করে তোলেন যে শিল্পী

৮ মার্চ ২০২১

জ্যোতির্বিদ্যা মানেই কি নিরস, জটিল তথ্য ও তত্ত্বের কচকচানি হতে হবে? বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলতে শিল্পকলাও কি সহায়ক হতে পারে? এক অসাধারণ উদ্যোগের মাধ্যমে এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটানো হচ্ছে৷

ছবি: Reuters/ESO/M. Kornmesser/L. Calcada

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে হাবল টেলিস্কোপ ও অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তোলেন লুইস কালসাদা৷ পেশায় তিনি ডেটা ভিশুয়ালাইজেশনস আর্টিস্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘এই স্তম্ভগুলি এতটাই বাস্তব মনে হয়, যে ছবির মধ্যে সেগুলির আকার-আয়তনও অনুভব করা যায়৷ থ্রিডি অ্যানিমেশনে রূপান্তরিত করলে সেগুলি আরও বাস্তব হয়ে ওঠে৷ মনে হবে, নক্ষত্রের আলো যেন এই স্তম্ভগুলি খোদাই করছে৷ বিভিন্ন স্তর এবং ব্যাকগ্রাউন্ড বা প্রেক্ষাপটও দেখা যায়৷ সামনের স্তরে নক্ষত্রগুলি দেখা যায়৷ মাঝে স্তম্ভগুলিও চোখে পড়ে৷ যাকে বলে একাবারে চোখ-ধাঁধানো ছবি৷’’

লুইস কালসাদা আরও জানালেন, যে ছোট কাঠামো, গ্যাসের মধ্যে ছোট আঙুলের মতো দেখতে অংশগুলি আসলে নক্ষত্রের জন্মের প্রক্রিয়ার দৃশ্য৷ আশেপাশের গ্যাসকে চূড়ান্ত রূপ দেবার কাজ চলছে৷ সৃষ্টির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ঈগল নেবুলা অসাধারণ দেখাচ্ছে৷ এমন সব ছবি একই সঙ্গে বিস্ময় ও সম্ভ্রম জাগিয়ে তোলে৷

জটিল তথ্য সহজে তুলে ধরার চেষ্টা

04:40

This browser does not support the video element.

মার্টিন কর্নমেসার ও লুইস কালসাদা এই প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন৷ বিজ্ঞান ও শিল্পকলার মধ্যে অসাধারণ এক মেলবন্ধন ঘটেছে৷ তারা কীভাবে এই অসাধ্যসাধন করেন লুইস কালসাদা তা বুঝিয়ে বললেন৷ তিনি মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘এই সব ক্যামেরা কিন্তু ফটোগ্রাফি জগতের প্রচলিত ক্যামেরা নয়৷ অর্থাৎ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সুন্দর ছবি তুললেই হবে না৷ হাবল টেলিস্কোপ তথ্য সংগ্রহ করে এই সব ফিল্টারের মাধ্যমে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে৷ ক্যামেরার সামনে যে ছোট লেন্স বসানো হয়, এই ফিল্টার সে রকম৷ সেই ফিল্টার শুধু নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা রং প্রবেশ করতে দেয়৷’’

সাধারণত গোটা মহাজাগতিক বস্তুটিকে পর্যবেক্ষণ করতে অসংখ্য ফিল্টার ব্যবহার করতে হয়৷ একের পর এক ফিল্টারের প্রয়োজন পড়ে৷ সেই সব ফিল্টারের সমন্বয়ে একটি রঙিন ছবি সৃষ্টি করা হয়৷ রংগুলি মূল ভৌত প্রক্রিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে যুক্ত৷ পরের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কালসাদা বলেন, ‘‘তারপর আমরা কিছুটা ফাইন টিউনিং করি৷ সে ক্ষেত্রে শিল্পকলার প্রয়োগ শুরু হয়৷ অবশ্যই আসল ডেটা বা তথ্যের সঙ্গে আমরা কিছুটা বাড়তি বৈশিষ্ট্য যোগ করি, কনট্রাস্ট ও এখানে-সেখানে কিছু সমন্বয় করি৷ অনেক সৃজনশীল স্বাধীনতার অবকাশ থাকে৷ রিয়েল ডেটার সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটানোর পর সেই চিত্র আরও নান্দনিকভাবে মনোরম করে তোলার কিছু উপায় থাকে৷

প্রায় নিরানব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহই মূল উদ্দেশ্য, সুন্দর ছবি তৈরি করা নয়৷ এটা অনেকটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মতো৷ লুইস কালসাদা মনে করেন, ‘‘কখনো এমন একটি ছবি ধারণ করার পর মনে হয়, এটা তো একটা স্থিরচিত্র৷ তবে সময়ের প্রচলিত মানদণ্ডের তুলনায় এই চিত্র কিছুটা ভিন্ন৷ দেখলে মনে হবে, সবকিছু যেন থমকে গেছে৷ কিন্তু না, প্রবল শক্তির সঙ্গে সেটি বদলে যাচ্ছে৷’’

মোনোসেরোটিস নামের নক্ষজ্ঞ সত্যি অভিনব৷ ১০-২০ বছরের মধ্যে আমরা আলোর অত্যন্ত সুন্দর প্রতিফলন দেখতে পাই৷ এমন বাইনারি নক্ষত্রের চারিপাশের গ্যাসের মধ্য দিয়ে সেই আলো চলে যায়৷ অনেকটা ফুটে ওঠা ফুলের মতো সেটি চকচক করে ওঠে৷

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বাইরে ভয়ংকর সব ক্রিয়ার কিছু ঝলক সত্যি দেখা যাচ্ছে৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ইতিহাসের সামান্য এক ঝলকের মধ্যে মানবজাতির অস্তিত্বের পুরো সময় সত্যি অসাধারণ৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ