1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশেমানিয়ে নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ

১৪ জুন ২০২২

আইএসএস-এ দীর্ঘ সময় কাটালেও মহাকাশচারীদের শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য আসে না৷ চোখ, নাক, পেট – অনেক কিছুই মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে অন্যভাবে কাজ করে৷ এমনকি পৃথিবীতে ফিরেও অনেকের সমস্যা থেকে যায়৷

Party in der Schwerelosigkeit
ছবি: picture alliance/dpa/Berlinièros PR

কঠিন পরিশ্রমের কারণে মহাকাশচারীরা সহজে বাইরে সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ পান না৷ সেইসঙ্গে নানা শারীরিক অস্বস্তিও রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে জার্মানির মহাকাশচারী মাটিয়াস মাউরার বলেন, ‘‘আশা করি, পৃথিবীতে ফেরার পর এসব আর থাকবে না৷ কয়েকজন মহাকাশচারী শুধু স্পেস স্টেশনেই পরিবর্তন লক্ষ্য করেন৷ অন্যরা ফেরার অনেক বছর পরেও চোখের উপর প্রভাব টের পান৷''

নাকের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে৷ অবশ্যই আইএসএস-এর পরিবেশে ঘ্রাণের ইন্দ্রীয় তেমন কাজে লাগে না৷ সেইসঙ্গে মাথা ও ঘ্রাণের স্নায়ুর উপরেও বেশি চাপ পড়ে৷ মাটিয়াস বলেন, ‘‘গন্ধের অনুভূতি অবশ্যই বদলে গেছে৷ আমার নাক বেশ লম্বা৷ মজা করে প্রায়ই বলি যে আমার লম্বা নাকের মধ্য দিয়ে গন্ধ মস্তিষ্কে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে৷ পৃথিবীর বুকেই গন্ধ ভালো পেতাম না৷ কিন্তু মহাকাশে সেই অনুভূতি আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ তরলের স্থানান্তরও এর অন্যতম কারণ বলে আমার মনে হয়৷ মাথায় বাড়তি তরল থাকলে সাইনাসগুলি ফুলে যায়৷ তখন কথা বললেই মনে হয় যেন সর্দি জমে আছে৷ হয়ত আমরা কম গন্ধ পাই৷ মুখে খাবারের স্বাদও সেই সঙ্গে কমে যায়৷''

সে কারণেও মহাকাশচারীদের খাদ্যে বাড়তি মসলা দেওয়া হয়৷ টিউব বা প্যাকেটের মাধ্যমে তাদের মুখে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হয়৷ পেটের মধ্যেও মাধ্যাকর্ষণহীনতা টের পাওয়া যায়৷ মাটিয়াস মাউরার পানি নিয়ে যে পরীক্ষা করেছেন, পেটেও সেই কাণ্ডই ঘটে৷ পাকস্থলীর অ্যাসিড নীচে থাকার বদলে পেটের প্রাচীরের সব জায়গায় ছড়িয়ে থাকে৷ ঠিক মাটিয়াসের হাতের পানির মতো দশা হয়৷

মহাকাশে বেঁচে থাকার লড়াই

03:36

This browser does not support the video element.

এর পেছনে ‘অ্যাডহেশন ফোর্স' কাজ করে৷ এর আওতায় পানির অণু হাতেই আটকে থাকে৷ পৃথিবীর বুকে পেটের উপরের অংশে গ্যাস জমা হয় এবং নীচে তরল ও কঠিন পদার্থ থাকে৷ মহাকাশে সে সব এলোমেলো হয়ে যায়৷

মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থায় ঢেঁকুর তুললে তাই তরল ও কঠিন পদার্থও বেরিয়ে আসার কথা, যা মোটেই সুখকর অনুভূতি হতে পারে না৷ সে কারণে সেখানে কোনো ধরনের স্পার্কিং বা কার্বনিক অ্যাসিড খাওয়া নিষিদ্ধ৷ মহাকাশচারী হিসেবে মাটিয়াস মাউরার বলেন, ‘‘এমন সব খুঁটিনাটি বিষয়ে কথা বলার জন্য দুঃখিত৷ কিন্তু মহাকাশে ঢেঁকুর তোলা হয় না৷ তাই শুধু পাদার মাধ্যমেই শরীর থেকে গ্যাস বের করা যায়৷ ফলে স্পেস স্টেশনে মানুষের সৃষ্টি করা গন্ধ রয়েছে৷ এমন অবস্থায় নাক দুর্বল থাকলে বরং সুবিধাই হয়৷''

পেটে চাপ এলে আইএসএস-এ টয়লেট রয়েছে বৈকি৷ তবে সেটি অনেকটা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো কাজ করে৷ কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকলে নীচে কিছুই পড়ার জো নেই৷

লেয়া আলব্রেশট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ