1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে আবর্জনা

১৯ জুন ২০১৭

অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে আর সেই সঙ্গে বাড়ছে ‘মহাকাশের আবর্জনা', ভাঙা, বাতিল ও অকেজো স্যাটেলাইট ও রকেটের টুকরো, যেগুলোকে মহাকাশ থেকে সরানো দরকার৷ কিন্তু কীভাবে?

ছবি: picture alliance/ESA/dpa

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস গত ১৪ বছর ধরে পৃথিবী পরিক্রমা করে চলেছে – ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায়, ঘণ্টায় ২৮,০০০ কিলোমিটার গতিতে৷ কেফলারের একটি আস্তরণ আইএসএসকে মাইক্রো-মেটেওরাইটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচাচ্ছে৷ কিন্তু যেসব নভোচররা মাসের পর মাস মহাকাশযানটিতে কাটান, তাঁদের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মহাকাশের ‘ডেব্রি(স)' বা ‘স্ক্র্যাপ', অর্থাৎ বাতিল বা অকেজো স্যাটেলাইটের টুকরো৷

আইএসএস তীব্র গতিতে মহাশূন্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, আবার ‘মহাকাশের আবর্জনা'র গতি রোধ করার জন্য বাতাসের প্রতিরোধ পর্যন্ত নেই৷ কাজেই ধাক্কা লাগলে যে কী ঘটতে পারে, তা সহজেই কল্পনীয়: অতি ক্ষুদ্র ধাতব টুকরোগুলোও মহাকাশযানের বহিরাবরণে বড় বড় বিপজ্জনক ফুটো করে দিতে পারে৷

অ্যাস্ট্রো-ফিজিসিস্ট ড. হাউকে ফিডলারের মতে, ‘‘রকেটের বিভিন্ন নিঃশেষিত পর্যায় অথবা অকেজো স্যাটেলাইটগুলোকে সরাতে না পারলে, কোনো-না-কোনো সময় এই ‘মহাকাশ আবর্জনার' পরিমাণ মারাত্মক রকম বেড়ে যাবে৷ আপাতত প্রায় ২৮,০০০ এ ধরণের ধাতুর টুকরো ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দাঁড়াতে পারে যে, স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে৷''

কৃত্রিম উপগ্রহগুলি একটা জালের মতো পৃথিবীকে জড়িয়ে রেখেছে – মাধ্যাকর্ষণের ফলে তাদের বা পৃথিবীর এ বাঁধন থেকে মুক্তি নেই৷ মোবাইল টেলিফোন থেকে শুরু করে জিপিএস বা টেলিভিশন– সব কিছু চলে এই স্যাটেলাইটগুলির কল্যাণে৷

‘মহাকাশ আবর্জনা' সরানোর পন্থা

একটি উপায় হলো বাতিল স্যাটেলাইটগুলোকে টেনে নিয়ে যাওয়া৷ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব অকেজো স্যাটেলাইট মহাকাশে অযথা ঘুরপাক খাচ্ছে, তাদের আবার কোনো এক দিকে ঠেলা বা চালানো যাবে৷ ড. ফিডলার জানালেন, ‘‘জিও-স্টেটশনারি স্যাটেলাইটটির নাকের ডগায় নল লাগিয়ে সেটিতে এমনভাবে জ্বালানি ভরা হবে যে, তাকে আবার চালানো সম্ভব হবে৷''

পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তা কাজ করে বলে দেখা গেছে৷ বিশেষ করে টেলিভিশনের স্যাটেলাইটগুলোকে নিয়ন্ত্রিতভাবে সরানো যাবে৷ লক্ষ্য হলো, স্যাটেলাইটগুলিকে আরো বেশ কয়েক বছর ধরে বহাল রাখা৷ আর কিছু করা সম্ভব না হলে, শুধু তখনই স্যাটেলাইটটিকে ভূপৃষ্ঠের দিকে টেনে নিয়ে আসা হবে৷

ড. ফিডলার বললেন, ‘‘আর যেটা করতে হবে, সেটা হলো, ‘ডেওস' অভিযানের জন্য একটা সাইমুলেশন৷ ডেওস হলো একটি টেন্ট্যাকল বা সাঁড়াশি৷ এই সাঁড়াশি হাত দিয়ে নড়বড়ে স্যাটেলাইটটিকে ধরে, আগে তাকে স্থিতিশীল করতে হবে – তারপর তার ভূপৃষ্ঠে পতনের ব্যবস্থা করতে হবে৷''

ষদি কোনো স্যাটেলাইট মহাকাশে দুর্ঘটনায় পড়ে, তবে তাকেও এভাবেধরা ও মেরামত করা যাবে কিংবা কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷ অর্থাৎ এ ধরণের স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ে বিপদ সৃষ্টি করতে পারবে না৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের মহাকাশচারীরাও আর কিছুটা স্বস্তির সঙ্গে কাজ করতে পারবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ