1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাধ্যাকর্ষণহীনতার স্বাদ

৮ মে ২০১৭

মহাকাশচারীদের শূন্যে ভাসতে দেখলে মনে কার না ঈর্ষা হয়! কিন্তু পৃথিবীতে থেকেই সেই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলে কেমন হয়? বিশেষ বিমানে চড়লে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাধ্যাকর্ষণহীন হওয়া সম্ভব বৈকি৷

Operation ESA/DLR Zero Gravity
ছবি: DW/J. Ospina-Valencia/DLR

ওড়ার স্বপ্ন কার না থাকে? কিছু সময় ধরে মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে যাত্রীরা সেই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলেন৷ বিমানের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টান থেকে মুক্তি পাওয়া গেল৷ সেই অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ সত্যি ভোলার নয়৷

‘রিডিউসড গ্র্যাভিটি এয়ারক্রাফট’ সেই অসাধ্য সাধন করতে পারে৷ যেমন এই এয়ারবাস এ থ্রিহান্ড্রেড-জিরো-জি বিমানটি৷ গতি ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়, তার ফলে বেশিরভাগ যাত্রীর বমি হবার উপক্রম হয়৷ কিন্তু তার পরেই আনন্দে মনটা ভরে যায়, অনেকটা রোলার কোস্টারে চাপার মতো অভিজ্ঞতা৷ প্রকল্পের প্রধান উলরিকে ফ্রিডরিশ-এরও এমনটা মনে হয়েছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘২০০৩ সালে প্রথম বার রিডিউসড গ্র্যাভিটি এয়ারক্রাফট চড়েছিলাম৷ প্রকল্পের প্রধান হিসেবে সেই অভিজ্ঞতার অবশ্যই প্রয়োজন ছিল৷ তবে সেবার সাদা ঠোঙায় বমি করতে হয়েছিল৷ মাধ্যাকর্ষণহীনতার সেই অভিজ্ঞতা, মুক্তির স্বাদ, যে কোনো দিকে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল অনবদ্য৷ ফলে এভাবে বার বার ওড়ার লোভ সামলাতে পারি নি৷’’

বিমানে চড়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়৷ গা গুলানো বন্ধ করতে একটা ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়৷ মাধ্যাকর্ষণহীনতার সংক্ষিপ্ত সময়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার কাজে মন দেওয়া বেশি জরুরি৷

যেমন মাধ্যাকর্ষণহীনতার অবস্থায় মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, তা পরীক্ষা করা হয়৷ যে সব মহাকাশচারী দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটান, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি৷ এতকালের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা গেছে, এই অবস্থায় মস্তিষ্কের সমন্বয়ের ক্ষমতার ক্ষতি হয়৷ অর্থাৎ পেশি ও মস্তিষ্কের মধ্যে সম্পর্কের ছন্দ বদলে যায়৷

বিমানের মধ্যে তোলপাড় কাণ্ড শুরু হতে চলেছে৷ এয়ারবাস বিমানটি এমন এক অঞ্চলে উড়ছে, যেখানে বেসামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ৷ গবেষক ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা সেই মাধ্যাকর্ষণহীনতার প্রথম পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন৷ এবার শান্ত থাকা জরুরি৷

৬,০০০ মিটার উচ্চতা ও ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার গতিবেগে এসে বিমান তার কেরামতি শুরু করলো৷ আরও উপরে ওঠার সময় প্যারাবোলা বা অধিবৃত্ত অনুযায়ী উড়তে লাগলো সেটি৷ গ্রেডিয়েন্ট অ্যাঙ্গেল বা ঢালের মাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি হতেই বিমানটি শরীর ছেড়ে দিয়ে আকাশ থেকে নীচে পড়তে শুরু করলো৷ সেই মুহূর্তে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আর কার্যকর হলো না৷ প্রায় ২০ সেকেন্ড পর পাইলট আবার বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া পর্যন্ত এমন অবস্থা বজায় থাকলো৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ