1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে সাফল্যের চাবিকাঠি

সনিয়া আংগেলিকা ডিন / এসবি১৭ জানুয়ারি ২০১৫

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মার্ক ট্যুস্যাঁ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মহাকাশ কর্মসূচির ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেছেন৷ তাঁর মতে, কম ব্যয়ে পুনর্বব্যবহারযোগ্য রকেটই হবে তার চাবিকাঠি৷

Raumfahrt ESA Entwurf von Ariane 6 Rakete
ছবি: ESA–D. Ducros, 2014

গত বছর মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তার ‘ওরিয়ন' এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ‘এসা' তার রোসেটা অভিযানের মাধ্যমে সাফল্যের নতুন চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলো৷ চীনও চাঁদ প্রদক্ষিণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো৷ মহাকাশ কর্মসূচিতে বেসরকারি অংশগ্রহণও বেড়ে চলেছে৷ ‘স্পেস এক্স' প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতে সাজ-সরঞ্জাম ও মানুষ পরিবহণের কাজে প্রকৃত বিকল্প হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসা-র মার্ক ট্যুস্যাঁ-র মতে রকেট প্রযুক্তির উন্নতিই হবে ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের চাবিকাঠি৷ অথচ অ্যামেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, চীন, ভারত বা জাপান – সবাই এখনো গত শতাব্দীর ষাট বা সত্তরের দশকের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে৷ এমনকি ‘স্পেস এক্স'-ও প্রায় ৩০ বছরের পুরনো রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে৷ তবে তারা সেই রকেটের গতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য পেয়েছে৷ কিন্তু রকেট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সেটা সম্ভব হলে রকেট উৎক্ষেপণের পর প্রথম পর্যায়ের গতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে৷ জিপিএস প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই রকেটের অবস্থান নির্ণয় করা হবে৷ ‘স্পেস এক্স' প্রচলিত কিছু প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই পথে কিছুটা অগ্রসর হতে পেরেছে৷ আরও কিছু পরীক্ষার পর তাদের রকেট আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের আরও ‘ফাইন টিউনিং'-এর প্রয়োজন রয়েছে৷

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মার্ক ট্যুস্যাঁছবি: ESA

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা এতকাল তার ‘এরিয়ান ৫' রকেটের উপর নির্ভর করে এসেছে৷ মার্ক ট্যুস্যাঁ জানালেন, পর পর ৬৩ বার সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে৷ প্রতিটি অভিযানের পর এসা-র বিজ্ঞানীরা রকেটের যাত্রাপথ ও গতি-প্রকৃতি বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করেন৷ কোনো ত্রুটি দেখা গেলে তা দ্রুত দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ রকেটের উপকরণ এবং তার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উচ্চ মানদণ্ডই এই সাফল্যের রহস্য৷ ২০২০ সালে পরবর্তী প্রজন্মের ‘এরিয়ান ৬' রকেট চালু হবার কথা৷ উন্নত প্রযুক্তির ফলে তার ব্যয়ভার ‘এরিয়ান ৫' রকেটের থেকেও কম হবে৷ ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে এসা বাড়তি সুবিধা পাবে৷

মার্ক ট্যুস্যাঁ এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ‘স্পেস এক্স'-এর পরিকল্পনার কথা শুনে শুরুতে অনেকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ভবিষ্যতে রকেটের উন্নতির ক্ষেত্রে একে অপরের কাছ থেকে আরও শিখতে হবে বলে তিনি মনে করেন৷ প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে গেলে একই রকেট বার বার ব্যবহারের প্রযুক্তিও রপ্ত করতে হবে৷ অ্যামেরিকা, রাশিয়া ও চীন – এই তিন দেশই বড় ও শক্তিশালী রকেট তৈরির লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ফলে মহাকাশের আরও গভীরে মানুষ পাঠানোর দিন এগিয়ে আসছে৷ মহাকাশে পর্যটনও তখন সম্ভব হয়ে উঠবে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ