1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশে যাতায়াত এখনো জটিলতায় ভরা

১৬ নভেম্বর ২০২১

পৃথিবীর টান কাটিয়ে উপরে ওঠা এবং বহাল তবিয়তে আবার ঘরে ফেরা যে কতটা কঠিন, টেলিভিশনের পর্দায় মহাকাশযাত্রার দৃশ্য দেখে সেটা বোঝা কঠিন৷ একাধিক চ্যালেঞ্জ ও বিপদের আশঙ্কা আজও ঝুঁকির কারণ হয়ে রয়েছে৷

Symbolbild China Team Weltraumflug
ফাইল ফটোছবি: TINGSHU WANG/REUTERS

মহাকাশে মানুষ পাঠানো যত সহজ, তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা ততই কঠিন৷ এর কারণ কী?

বাস্তবে বিষয়টি অনেক জটিল৷ মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা ও সেখান থেকে ফেরার প্রক্রিয়ার সঙ্গে একেবারে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও বিপদ জড়িয়ে রয়েছে৷ পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করার সময় রকেটকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাঁধনমুক্ত হতে হয়৷ বিশাল পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে ‘রিকয়েল প্রিন্সিপল' কাজে লাগিয়ে রকেট সেই কাজ করে৷

রকেট আসলে অনেকটা বাতাস ছাড়তে থাকা বেলুনের মতো ধেয়ে যায়৷ তবে রকেটের কিন্তু  বেলুনের মতো শূন্যে বন বন করে ঘোরার অবকাশ নেই৷ নড়াচড়া করতে পারে এমন সুইভেলিং ইঞ্জিন এবং থ্রাস্টার রকেটকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যায়৷ বিশেষভাবে তৈরি এক ন্যাভিগেশন সিস্টেম দিকনির্ণয় করে৷ তা সত্ত্বেও বার বার দুর্ঘটনা ঘটে৷ যেমন ২০১৪ সালে উৎক্ষেপণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আন্তারেস নামের এক রকেটে আগুন ধরে যায়৷ ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রসদ পাঠানোর যানটিও ধ্বংস হয়ে যায়৷

জটিলতায় ভরা মহাকাশযাত্রা

03:24

This browser does not support the video element.

মহাকাশচারীদের ক্যাপসুল পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে গেলেও আইএসএস পর্যন্ত পৌঁছানো বড়  চ্যালেঞ্জ৷ বোর্ড কম্পিউটার ইঞ্জিন নিখুঁতভাবে চালু করে ক্যাপসুলটিকে সবার আগে আরও উচ্চতায় নিয়ে যায় এবং আইএসএস-র সঙ্গে যানটির গতির সামঞ্জস্য নিশ্চিত করে৷ সামান্য ত্রুটি হলেই সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকে৷ জরুরি অবস্থা দেখা দিলে মহাকাশচারীদের সরাসরি সেই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয়৷

এবার পৃথিবীতে ফেরার পালা৷ মহাকাশচারীদের নিয়ে স্পেস ক্যাপসুল আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর ঘণ্টায় ২৮,০০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে যায়৷ ফলে সবার আগে সেটির গতি কমাতে হয়৷ যথেষ্ট দূরত্ব থাকতে থাকতে গতি কমাতে ইঞ্জিন চালু করা হয়৷ এভাবে কক্ষপথ ত্যাগ করা যায়৷

ক্যাপসুলের অপ্রয়োজনীয় অংশ ফেলে দেওয়া হয়৷ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় আদর্শ গতি নিশ্চিত করতে হয়৷ সেইসঙ্গে সঠিক অ্যাঙ্গেলও জরুরি৷ ক্যাপসুলের গতি অত্যন্ত কম হলে এবং অ্যাঙ্গেল বেশি সমতল হলে যানটি পাথরের মতো সমুদ্রে আছড়ে পড়বে এবং আবার মহাকাশের দিকে ছিটকে যাবে৷

অন্যদিকে গতিবেগ খুব বেশি হলে এবং ওড়ার পথ বেশি খাড়া হলে মহাকাশ ক্যাপসুলের হিট শিল্ডের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ দেখা যাবে৷ ভেতরে মহাকাশচারীরা আগুনে পুড়ে যাবেন৷ কারণ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ক্যাপসুলটিকে জোরে ব্রেক করানো হয়৷ সেই ঘর্ষণের ফলে প্রবল উত্তাপ সৃষ্টি হয়৷ ২,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সামলাতে হয়৷ তারপর প্যারাশুট খুলে গেলে যানের গতি আরও কমতে থাকে৷

মাটির কাছাকাছি আসার ঠিক আগে রাশিয়ার স্পেস ক্যাপসুলের বিশেষ ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়৷ তখন ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার বেগে যানটি নিরাপদে ভূ-পৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারে৷

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাকে শেষ পর্যায়ে ব্রেকের বিষয়ে ভাবতে হয় না৷ কারণ মার্কিন স্পেস ক্যাপসুলগুলি পানির উপর নামে৷ ফলে সংঘাতের আশঙ্কা থাকে না৷

কনি বরমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ