1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশ থেকে অভিনন্দন!

ডেভ রাইস / আরাফাতুল ইসলাম১৫ জুলাই ২০১৪

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন আনন্দের বন্যায় ভাসছে জার্মানি৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে জার্মান দলকে৷ এমনকি মহাকাশ থেকেও এসেছে শুভেচ্ছা বার্তা৷

Fußball WM 2014 Fußballspieler Feier Sami Khedira und Lena Gercke
ছবি: picture-alliance/dpa

মারিও গোটৎসের গোলে ফাইনালে বিজয় নিশ্চিত করে জার্মানি৷ টানটান উত্তেজনার এই খেলায় আর্জেন্টিনা লড়াই করেছে শেষ অবধি৷ ফলে খেলাটা কখনোই একপেশে মনে হয়নি, যেমনটা হয়েছিল ব্রাজিলের বিপক্ষে জার্মানদের সেমিফাইনাল৷

সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে মারিও গোমেস লিখেছেন, ‘অভিনন্দন, হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে৷' জার্মানির এই খেলোয়াড় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাননি৷ সেই বেদনাও ফুটে উঠেছে তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সবকিছু হারানোর কষ্টটাও আবার অনুভব করছি৷''

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন জার্মান মহাকাশচারী আলেক্সান্ডার গ্যার্স্ট৷ খেলা তিনি দেখেছেন সেখানে বসেই৷ মহাকাশ থেকে গ্যার্স্ট টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন জার্মান দলকে৷ তিনি ফাইনালকে আখ্যা দিয়েছেন ‘গ্রেট গেম' হিসেবে৷

বর্তমান মার্কিন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের সদস্য ছিলেন৷ বর্তমান জার্মান দল গড়ায়ও তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, যা বিশ্বকাপ জয়ের পর স্বীকার করেছেন জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ ক্লিন্সমান তাঁর প্রিয় ‘ইওগি'কে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন:

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ব্রাজিল৷ খেলা শেষে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে তিনিও জার্মান দলের ড্রেসিং রুমে যান৷ সেসময় গাউক বলেন, ‘‘শ্বাসরুদ্ধকর খেলা ছিল৷ আমার উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছিল৷''

সংগীতশিল্পী রিহানা সম্প্রতি জার্মান ফুটবল দলের ভক্তদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন৷ রিও ডি জানিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছেন তিনি৷ রিহানার ভাষায় তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা এটি৷

এদিকে, বিশ্বকাপ শেষে জার্মান দলের পার্টির কিছু ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি'র ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত ছবিগুলোর মধ্যে বিশেষ নজর কেড়েছে এই ছবিটি:

ছবি: Reuters

জার্মান মিডিয়ার বিজয় উদযাপন

জার্মান গণমাধ্যম সংগত কারণেই জাতীয় দলের ব্যাপক প্রশংসা করেছে৷ ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং মূল শিরোনামে লিখেছে, ‘গোটৎসে রক্ষাকর্তা৷' প্রচার সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় পত্রিকা বিল্ডের শিরোনাম, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ২০১৪: কাপটা ওখানে৷'

স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকা একটু ভিন্নভাবে বিষয়টি প্রকাশ করেছে৷ পত্রিকাটি লিখেছে, ‘গোটৎসেডাংক৷' মূল জার্মান শব্দটি হচ্ছে ‘গৎসেডাংক' যার বাংলা ‘ধন্যবাদ খোদা' বা ইংরেজিতে ‘থ্যাংকস গড৷' এই শব্দটি একটু পরিবর্তন করে গোটৎসের নাম জুড়ে দিয়েছে পত্রিকাটি৷

আর ডেয়ার স্পিগেল পত্রিকা তাদের শিরোনামে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের সালগুলো তুলে এনেছে৷ পত্রিকাটি লিখেছে, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি: ১৯৫৪.১৯৭৪.১৯৯০.২০১৪!'

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভূয়সী প্রশংসা

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের খবর বিশেষ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়েছে৷ সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলোর মূল শিরোনাম, ‘২৪ বছর পর জার্মানি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন: মেসির স্বপ্ন ভেঙে জার্মান উৎসব৷' ফাইনালে একমাত্র গোল করা মারিও গোটৎসেকে নিয়ে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো৷ লেখার শিরোনাম, ‘ফাইনালের নায়ক গোটশে৷'

এছাড়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম লিখেছে, ‘মারাকানায় ইতিহাস জার্মানির৷' সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত এটি ছিল অনলাইন পত্রিকাটির সর্বাধিক পঠিত প্রতিবেদন৷ অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুটা অসন্তুষ্ট৷ কারণটা জানিয়েছে বিডিনিউজ৷ শিরোনাম, ‘মেসি গোল পেলে ‘খুশি হতেন' প্রধানমন্ত্রী৷'

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ