এসপিডিকে নিয়ে মহাজোট গঠনে এরইমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ এখন দলটিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আসলেই তারা জোট গঠন করবে, নাকি তারা এ থেকে সরে আসার জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি হবে, তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত?
বিজ্ঞাপন
১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির জনপ্রিয়তা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছেছিল৷ অথচ বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজারে৷ তবে সংখ্যাটা কমে গেলেও এই সদস্যরাই কিন্তু জার্মানির ভবিষ্যত সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ, খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এবং এসপিডি স্থানীয় সময় রবিবার পর্যন্ত জোট গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ করার সময় ঠিক করেছিল৷ যদিও দলীয় নেতারা নিজেদের কিছু মতপার্থক্য দূর করতে দু'দিন অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে বলেই ধরে নিয়েছিলেন৷
কী চায় জার্মানির এসপিডি দল?
ছোট শরিক হয়েও জার্মানির বিদায়ী মহাজোট সরকারে যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে অনেক দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পেরেছে এসপিডি দল৷ তবে ভোটাররা তার স্বীকৃতি দেয়নি৷ আবার মহাজোটে যোগ দিলে অনেকগুলি শর্ত চাপাতে চায় এসপিডি৷
ছবি: picture-alliance/U. Baumgarten
‘আরও ইউরোপ’
বর্তমান সংকটগুলির সমাধানের লক্ষ্যে ব্রেক্সিটের পথে না গিয়ে ইইউ-কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চায় জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷ ইউরোপীয় স্তরে ন্যূনতম মজুরি, তরুণদের বেকারত্বের মোকাবিলা, কোম্পানিগুলির উপর অভিন্ন কর চাপানো এবং ‘কর ফাঁকির মরুদ্যান’ বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন দলের নেতা মার্টিন শুলৎস৷ ২০২৫ সালের মধ্যে ‘ইউরোপীয় যুক্তরাষ্ট্র’ স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রাক্তন স্পিকার৷
ছবি: Getty Images/AFP/F. Florin
শ্রমিকদের আরও অধিকার
জার্মানিতে শ্রমিক-কর্মীদের অধিকার বাড়াতে চিরকাল উদ্যোগ নিয়ে এসেছে সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷ তবে সাম্প্রতিক কিছু সংস্কারের ফলে সেই ভাবমূর্তি বেশ ক্ষুণ্ণ হয়েছে৷ এবার বেতন ও মজুরি কাঠামো কার্যকর করা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার দাবি জানাচ্ছে এসপিডি৷ তাছাড়া যারা পার্ট টাইম বা খন্ডকালীন কাজ করছে, তাদের ফুল টাইম বা পূর্ণ কাজের কাঠামোয় ফিরে যাবার অধিকারের স্বীকৃতি চায় এসপিডি৷
ছবি: picture-alliance/Ulrich Baumgarten
অবসর ভাতার আমূল পরিবর্তন
সমাজে সংহতির ভিত্তিতে জার্মানির অবসর ভাতা কাঠামোর আমূল পরিবর্তন চায় সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷ বিশেষ করে সারা জীবন কাজ করেও শেষ বয়সে দারিদ্র্যের ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চায় এসপিডি৷ অতএব সংহতির স্বার্থে অবসর ভাতার বিচ্ছিন্ন সব কাঠামোগুলিকে একত্র করার চেষ্টা চালাতে চায় তারা৷ অত্যন্ত জটিল এই ব্যবস্থার রাতারাতি পরিবর্তন যে কঠিন হবে, সে বিষয়ে অবশ্য তেমন সংশয় নেই৷
ছবি: picture-alliance/S. Gollnow
বিনামূল্যে শিক্ষা
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থার একটা বড় অংশই সরকারি ভরতুকিতে চলে৷ তবে অবকাঠামোর কিছু দুর্বলতার ফলে সমস্যা রয়েছে৷ বিশেষ করে শিক্ষা রাজ্য সরকারগুলির এক্তিয়ারে থাকায় এ ক্ষেত্রে সার্বিক উদ্যোগ নেওয়া কঠিন৷ এসপিডি দলের দাবি, সারা দেশে বিনামূল্যে কিন্ডারগার্টেন ও সেখানে সারাদিন বাচ্চা রাখার সুযোগকে অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে৷ এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আধুনিকীকরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ চাই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini
স্বাস্থ্যবিমা ব্যবস্থার সংস্কার
বর্তমানে জার্মানিতে সার্বজনীন ও বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা চালু রয়েছে৷ ডাক্তারখানা ও হাসপাতালে বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমাকারীদের বিশেষ খাতির করা হয়, অন্যদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়৷ এই বিভাজন ঘুঁচিয়ে সবাইকে নিয়ে এক ‘নাগরিক স্বাস্থবিমা’ চালু করতে চায় সামাজিক গণতন্ত্রীরা৷ তবে এই প্রস্তাবের জোরালো বিরোধিতা করছে বেশ কিছু মহল৷ তাদের আশঙ্কা, এর ফলে স্বাস্থ্য অবকাঠামোর মানের ক্ষতি হবে৷
ছবি: Colourbox
শরণার্থী নীতি
২০১৫ সালে বিশাল সংখ্যক শরণার্থীর ঢলের কারণে জার্মানির রাজনীতি জগত উত্তাল হয়ে উঠেছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল তাঁর উদার মনোভাবের জন্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ এসপিডি গোটা অভিবাসন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের দাবি জানাচ্ছে, যাতে আইনি পথে বিদেশিরা জার্মানিতে এসে কাজের সুযোগ পায়৷ তবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অধিকার সঙ্কুচিত করার বিরোধী এই দল৷ আশ্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধসীমাও মানতে নারাজ তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সন্ত্রাসী হামলা ও অপরাধ দমন করতে প্রায়ই হিমশিম খায় জার্মানির পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ ফলে মানুষের মনে অসন্তোষ দেখা যায়৷ এই সমস্যার মোকাবিলা করতে এসপিডি দল আরও পুলিশকর্মী নিয়োগের দাবি জানাচ্ছে৷ সেইসঙ্গে অপরাধ প্রতিরোধ করার জোরালো উদ্যোগ চায় তারা৷ তাদের মতে, দাগী অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে গোটা ব্যবস্থায় আরও দক্ষতার ছাপ আনতে হবে৷
ছবি: Picture-Alliance/dpa/B. Marks
পরিবেশ সংরক্ষণ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে এককালে জার্মানি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে৷ বিকল্প জ্বালানির বিকাশের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্যও এসেছে৷ কিন্তু কয়লার লাগাতার ব্যবহার, ডিজেল গাড়ি নিয়ে বিতর্কের মতো কারণে এ ক্ষেত্রে জার্মানির ভাবমূর্তি বেশ ধাক্কা খাচ্ছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে এসপিডি বিকল্প জ্বালানির আরও ব্যবহারের উপর জোর দিতে চায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নারী-পুরুষের সমানাধিকার
শিল্পোন্নত দেশগুলিতেও কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য বাস্তব সমস্যা৷ এই তালিকায় জার্মানির অবস্থান ভালো নয়৷ একাধিক সরকার এই বৈষম্য দূর করতে শিল্প-বাণিজ্য জগতের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে৷ এবার এসপিডি দল চায়, আলাপ-আলোচনার বদলে আইন করে তাদের এই বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করা হোক৷
ছবি: Colourbox
9 ছবি1 | 9
কিন্তু মোদ্দা কথা হলো আলোচনা যাই হোক না কেন, এসপিডি দলের সদস্যদের মতামত ছাড়া জার্মানিতে এবার সরকার গঠন বা মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা নেই৷ জোট গঠনের আলোচনা শেষ হলে জোটের চুক্তির একটি খসড়া এসপিডির প্রতিটি সদস্যের কাছে পাঠানো হবে, তাঁদের মতামত জানার জন্য৷ অর্থাৎ তাঁদের কেবল ‘হ্যাঁ' অথবা ‘না'-এর মাধ্যমে মতামত জানাতে হবে৷ এছাড়া ৬ই ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত যাঁরা সদস্য হয়েছেন , তাঁরাও এই হ্যাঁ/না ভোটে মতামত দিতে পারবেন৷ জানুয়ারিতে দলের সম্মেলনে মহাজোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা শুরুর ভোটে খুব কম ব্যবধানে সবুজ সংকেত পেয়েছিল এসপিডি৷ আর তরুণ সদস্যরাও মোটেও জোট গঠনের পক্ষে নন৷ এসপিডির অনেক সদস্য এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন, তাঁদের অনেক দাবি-দাওয়াই এই চুক্তিতে মানা হবে না৷ যেমন: শরণার্থীদের নিজ নিজ পরিবারবর্গকে জার্মানিতে নিয়ে আসার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা৷
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবির পরও এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস ঠিক করেছিলেন, পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবেই প্রবেশ করবেন৷ এখন তিনি মহাজোটের অংশ হিসেবে পার্লামেন্টে বসার উদ্যোগ নিচ্ছেন, সিডিইউ, সিএসইউ-এর পর তৃতীয় দল হিসেবে৷ সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে এসপিডি এবং তার দলনেতার সমর্থন রেকর্ড হারে কমে গেছে, যা আগে কখনো হয়নি৷
মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা ভেস্তে গেলে কী হবে?
মহাজোট গঠন সম্ভব না হলে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে৷ সংবিধান অনুযায়ী, নতুন করে নির্বাচন ডাকতে হলে জার্মান প্রেসিডেন্টকে আগে চ্যান্সেলরের নাম প্রস্তাব করতে হবে৷ যেহেতু সেপ্টেম্বরে ম্যার্কেল বেশি ভোট পেয়েছেন, তাই তাঁকে প্রথমে সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে৷ অথবা প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
একটা সেলফি যেভাবে তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে
আপনি কি সেলফির প্রতি আসক্ত? কিংবা আপনি কি একে হাস্যকর মনে করেন? আনাস মোডামানির কিন্তু ভাগ্য বদলে গেছে এক সেলফির কারণে৷ দেখুন কিভাবে:
ছবি: Anas Modamani
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ
বার্লিনে এক শরণার্থী শিবিরে থাকার সময় আনাস মোডামানি একদিন শুনলেন যে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাদের দেখতে আসবেন এবং তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন৷ ১৯ বছর বয়সি সিরিয়ান তরুণ, যিনি কিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক ভক্ত, সুযোগটা হাতছাড়া করেননি৷ তিনি তখন ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে ম্যার্কেলের সঙ্গে একটি সেলফি তোলেন৷
ছবি: Anas Modamani
ইউরোপে পালিয়ে আসা
দামেস্কে যখন তাঁদের বাড়ির উপর বোমা পড়ে, তখন মোডামানি এবং তাঁর বাবাম ও ভাইবোনেরা গরিয়া নামক একটি ছোট্ট শহরে চলে যান৷ সেখান থেকে ইউরোপের পথে যাত্রা করেন তিনি৷ প্রথমে লেবানন, এরপর তুরস্ক হয়ে গ্রিসে৷
ছবি: Anas Modamani
বিপজ্জনক যাত্রা
মোডামানি যাত্রাপথে প্রায় মরতে বসেছিলেন৷ আরো অনেক শরণার্থীর মতো, একটা রাবার বোটে করে তুরস্ক থেকে গ্রিস আসতে হয়েছিল তাঁকে৷ মোডামানি জানান, নৌকাটি অতিরিক্ত বোঝাই ছিল এবং এক পর্যায়ে সমুদ্রে তলিয়ে যায়৷ তিনিও প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান৷
ছবি: Anas Modamani
পাঁচ সপ্তাহ পায়ে হাঁটা
গ্রিস থেকে পায়ে হাঁটা পথে মেসিডোনিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মোডামানি৷ হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়ায় তিনি হেঁটেছেন অনেকটা পথ৷ এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পৌঁছান তাঁর চূড়ান্ত গন্তব্য মিউনিখে৷ জার্মানিতে আসার পর তিনি বার্লিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ তখন থেকেই তিনি বার্লিনেই আছেন৷
ছবি: Anas Modamani
রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আশায়
বার্লিনে পৌঁছানোর পর মোডামানি বেশ ক’টা দিন কাটিয়েছেন লাগেসো শরণার্থী কেন্দ্রের সামনে৷ তিনি জানান, সেখানকার অবস্থা বেশ জটিল, বিশেষ করে শীতের সময়৷ এক পর্যায়ে তাঁকে বার্লিনের স্পানডাও অঞ্চলের শরণার্থী কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷ তিনি শরণার্থী হিসেবে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন৷ আর ম্যার্কেলের সঙ্গে সেলফি তাঁকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে৷
ছবি: Anas Modamani
অবশেষে এক পরিবারের সন্ধান
মোডামানি জানিয়েছেন, চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে তোলা সেলফি জীবন বদলে দিয়েছে৷ সেই ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশের পর গণমাধ্যমের নজর পড়ে তাঁর দিকে এবং একটি জার্মান পরিবার তাঁকে আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্তে নেয়৷ গত দু’মাস ধরে জার্মান পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি৷ আর সেই পরিবার তাঁকে পরিবারের সদস্যদের মতোই সহায়তা করছে৷
ছবি: Anas Modamani
বাড়ির কথা মনে পড়ে
জার্মান পরিবারের সঙ্গে বসবাসের পর থেকে বেশ ভালোই আছেন মোডামানি৷ জার্মান ভাষা শিখছেন এখন৷ তাঁর বেশ কিছু বন্ধুও হয়েছে৷ জার্মানিতে পড়াশোনা করতে চান তিনি৷ তবে তাঁর আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া৷ কেননা তাহলে নিজের পরিবারকে জার্মানি নিয়ে আসা সহজ হবে তাঁর জন্য৷
ছবি: Anas Modamani
শরণার্থীদের সম্পর্কে নেতিবাচক মানসিকতা
জার্মানিতে একটি উন্নত ও নিরাপদ জীবনের আশা মোডামানি৷ তবে শরণার্থীদের সম্পর্কে জার্মানির বর্তমান মনোভাব নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত তিনি৷ তাঁর আশঙ্কা, শরণার্থীদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে৷ সেক্ষেত্রে তা শরণার্থী বিষয়ক আইনের উপর প্রভাব ফেলবে৷ ফলে তাঁর আবেদন হয়ত বাতিল হবে৷ আর নিজ পরিবারকে জার্মানিতে আনার স্বপ্ন হয়ত স্বপ্নই থেকে যাবে৷