1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহানগরীর নীচে জলাধার

৭ মার্চ ২০১৭

জার্মানির স্টুটগার্ট শহর, যেখানে মার্সিডিজ বেঞ্জ কোম্পানির অফিস৷ সেই ব্যস্তসমস্ত মহানগরীর মাটির তলায় কোটি কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জলের এক অফুরন্ত আধার রয়েছে, এ কথা ভাবতে পারেন?

Naturwunder in Deutschland- Scheidegger Wasserfällen im Allgäu
ছবি: Imago//imagebroker

যেন ব্রাজিলে অ্যামাজোন নদীর অববাহিকায় কোনো গহীন অরণ্য – অথচ এই জার্মানিতেই! স্টুটগার্টের মতো একটি বড় শহরের নীচে পশ্চিম ইউরোপের বৃহত্তম পানীয় জলের আধার লুকনো রয়েছে৷ শুধু যেখানে ফোয়ারাগুলো আছে, সেখান থেকে ঝরে এই অমৃল্য সম্পদ৷

১৯টি ঝরনা থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ২০ লাখ লিটারের বেশি পানি পাওয়া যায়৷ ভূতত্ত্ববিদ রাল্ফ লাট্যার্নজার এই পানি সম্পদের সুরক্ষাকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখানকার বিশেষত্ব হলো এই বিপুল পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি, যা গত পাঁচ লাখ বছর ধরে এখানে বয়ে চলেছে৷ আমরা এই পানিকে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করি, তবে এই পানির নাকি নানা ধরনের রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে৷''

স্বাস্থ্যকর

ঝরনার পানিতে এমন অনেক খনিজ ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা এই পানিকে বিশেষভাবে স্বাস্থ্যকর করেছে৷ নলের মাধ্যমে সেই ভূগর্ভস্থ পানি বিভিন্ন ফোয়ারা ও সুইমিং পুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে – সম্পূর্ণ প্রকৃতিদত্ত পানি, যা-তে কোনো ধরনের কৃত্রিম রাসায়নিক যোগ করা হয়নি৷ হাজার হাজার বছর ধরে এভাবে এই পানি রোগ লাঘব বা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷

ভূতত্ত্ববিদ রাল্ফ লাট্যার্নজার বললেন, ‘‘প্রস্তরযুগের মানুষ ও তার অনেক পরে রোমানরা এই সব ঝরনার কাছে তাদের বসতি স্থাপন করেছে ও ঝরনার জলে স্নান করেছে৷ আজ পর্যন্ত এটা এক অফুরন্ত সম্পদ৷ ''স্টুটগার্টের ঝরনাগুলো রোগ নিরাময়ের উৎস হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃত৷ রসায়নবিদরা নিয়মিতভাবে পানির নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন, পানিতে অপরিষ্কার কিছু আছে কিনা৷ বৃষ্টির সঙ্গে যে পানি ২০ বছর আগে মাটিতে পড়েছে, তা আজ কলের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে৷ রাল্ফ লাট্যার্নজার জানালেন, ‘‘নিয়মিতভাবে এই পানির নবায়ন হয়৷ তা সত্ত্বেও তা সুরক্ষা করা আবশ্যক, কেননা আগামী প্রজন্মের মানুষদেরও বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন পড়বে৷''

জলের নাম জীবন৷ এখানে সেই পানি নিজে থেকেই মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে, পৃথিবীর সর্বত্র যা হয় না৷ তাই তাকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ