তারক বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গের একজন ব্লগার৷ কিন্তু সম্প্রতি তাঁর একটি আপত্তিকর ফেসবুক পোস্টের জেরে ভারতে আবারো ঘনিয়ে উঠেছে অসহিষ্ণুতা বিতর্ক৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেন রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সেই প্রশ্নও উঠেছে৷
বিজ্ঞাপন
ব্লগার তারক বিশ্বাস স্বঘোষিত নাস্তিক৷ তিনি তাঁর লেখায় প্রায়ই ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করে লেখেন৷ বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলতে চান, যাতে মৌলিক ভাবনার জায়গায় নাড়া পড়ে৷ কিছুদিন আগে সেরকমই একটি লেখা তারক বিশ্বাস নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করেছিলেন, যা স্পষ্টতই হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বিরোধিতা করে লেখা৷ লেখাটা দেখে এক তৃণমূল নেতা সেটা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বলে চিহ্নিত করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন৷ শুধু তাই নয়, পাঁচশ'রও বেশি মুসলমান, তারক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তাঁদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার অভিযোগ এনে পুলিশের কাছে যান৷ এ সব অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তারক বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে এবং বিচারকের নির্দেশে তাঁকে সাতদিনের পুলিস হেপাজতে পাঠানো হয়৷ শোনা যাচ্ছে, ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন ‘এপিডিআর' তারকের হয়ে উকিল দাঁড় করিয়েছে, করা হয়েছে জামিনের আবেদনও৷ ২৯ সেপ্টেম্বর সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা৷ এরই মধ্যে কলকাতায় অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে তারক বিশ্বাসের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে পথসভা, বিক্ষোভ হয়েছে৷ ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারকের সমর্থনে-বিরোধিতায় চলছে বিতর্কও৷ মূল ঘটনা হলো এটাই৷
তারক বিশ্বাস ঠিক কাজ করেছিলেন না ভুল, সে নিয়ে স্পষ্টতই দ্বিমত আছে৷ সেই বিভাজনটা কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয়, আদর্শগত৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাঁরা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন, তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম৷ তাঁরা মনে করছেন, তাঁদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে তারক অনুচিত কাজ করেছেন৷ পুলিশও নিশ্চিত একই কথা মনে করছে৷ কারণ সে কারণেই তারকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারা (ধর্মের অবমাননা) এবং ২৯৮ ধারায় (ধর্মীয় আবেগে আঘাত) মামলা দায়ের হয়েছে৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬, ৬৭ এবং ৬৭-এ ধারা, ইন্টারনেটে আপত্তিকর পোস্ট বা মেসেজ পাঠানোর মতো অপরাধের ক্ষেত্রে যা প্রযুক্ত হয়৷
রাজ্য সরকারের মনোভাব এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় – সামাজিক শান্তি বজায় রাখা৷ সেখানে সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা যে বা যারা করবে, তাদের শুরুতেই কড়া হাতে শাসন করা হবে৷ অন্যদিকে যুক্তিবাদীরা, নাস্তিকরা, বিজ্ঞানমনস্করা বা গণতান্ত্রিক অধিকারের সুরক্ষায় সতর্ক যাঁরা, তাঁরা তারক বিশ্বাসের হেনস্থার প্রতিবাদ করছেন৷ এঁদের মূল বক্তব্য দু'টো – এক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কী হবে, যা ভারতীয় সংবিধান-স্বীকৃত অধিকার? আর দুই, তারক বিশ্বাস এর আগেও অন্যান্য ধর্ম নিয়ে ‘আপত্তিকর' বা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন৷ তাছাড়া শুধু তারক বিশ্বাসই নন, অন্য অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এ রকম বলে বা লিখে থাকেন৷ তা তখন কেন তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে, হচ্ছে?
মহানবিকে নিয়ে চলচ্চিত্র, মুসলিম বিশ্বে আলোড়ন
ইরানে তৈরি হয়েছে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র৷ মুসলিম বিশ্বে এ ছবি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোড়ন৷ ইরানে খুব জনপ্রিয়তা পেলেও ইরানের বাইরে ছবির প্রচার বন্ধ করা, এমনকি হলেও ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে৷
ছবি: mohammadmovie.com
ব্যয়বহুল ছবি
৩৯ বছর আগে ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)- কে নিয়ে নির্মিত আরেকটি চলচ্চিত্র ইসলামি বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল৷ ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ছবির নাম ছিল, ‘মুহাম্মদ, মেসেঞ্জার অফ গড’৷ সিরীয়-অ্যামেরিকান পরিচালক মুস্তাফা আক্কাদ সেই ছবির জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিলেন তার ২০ গুন খরচ করে এবার নির্মাণ করা হয়েছে ‘মুহাম্মদ’৷ ১৭১ মিনিটের এ ছবির নির্মাণ ব্যয় ৩৬ মিলিয়ন ইউরো বা ৪০ মিলিয়ন ডলার!
ছবি: mohammadmovie.com
কেন এই ছবি?
ছবির পরিচালক ইরানের মাজিদ মাজিদি৷ মহানবিকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণ জানাতে গিয়ে এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘‘ কিছু লোকের কারণে ইসলাম ধর্মের এক ধরণের উগ্রতা, হিংস্রতা, সন্ত্রাসের ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু ইসলাম আসলে এমন নয়৷ ইসলামের নাম ব্যবহার করে যেসব জঙ্গি সংগঠন নৃশংসতা, বর্বরতা করছে, ইসলামের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই৷ আমি চেয়েছি ইসলাম যে শান্তি, বন্ধুত্ব, ভালোবাসার ধর্ম সেটা তুলে ধরতে৷’’
ছবি: picture-alliance/AP Photo/V. Salemi
ইরানের হলগুলোতে দর্শকের ঢল
তেহরানের রাস্তার পাশে দেখুন ‘মুহাম্মদ’ (সা.) ছবির কত বড় বিজ্ঞাপন! শুধু বিলবোর্ডে নয়, ইরানের অধিকাংশ দর্শকের হৃদয়েও স্থান করে নিয়েছে ৭ বছর সময় নিয়ে গড়ে তোলা এই চলচ্চিত্র৷ ইরানের বেশিরভাগ দর্শক প্রশংসাই করছেন ছবিটির৷ হলগুলো উপচে পড়ছে দর্শকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Mehri
আছে এ আর রহমানের সুরের জাদু
শুধু বড় বাজেটের ছবিই নয়, বড় বড় শিল্পী, কলা-কুশলীদের ছবিও ‘মুহাম্মদ’ (সা.)৷ পরিচালক মাজিদ মাজিদি সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনবারের অস্কার বিজয়ী সিনেমাটোগ্রাফার ভিত্তোরিও স্তোরারোকে৷ সংগীত পরিচালনার কাজটি করেছেন ভারতের এ আর রহমান৷ দুবারের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী রহমানের সংগীত দর্শকদের স্বপ্নাবিষ্ট করে রাখায় বড় ভূমিকা রাখছে৷
ছবি: AP
কী আছে ছবিতে?
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘটনাবহুল জীবন থেকে শুধু শৈশবের অংশটাকেই তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে৷ প্রথমে ইরানে মুক্তি পেলেও ছবিটি ইতিমধ্যে বাইরে দেখানোও শুরু হয়েছে৷ মন্ট্রিয়ল চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি৷ওপরে ছবির শুটিংয়ের একটি দৃশ্য৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Foghani
মহানবির মর্যাদা রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ
মুসলমানদের সবচেয়ে প্রিয় নবির মর্যাদা রক্ষার্থে ছবিটি ইরানের ‘ফজর উৎসব’-এর প্রতিযোগিতার অংশ হয়নি৷ প্রতিযোগিতার বাইরে রেখে দেখানো হয় ছবিটি৷
ছবি: mohammadmovie.com
সমালোচনা, নিষিদ্ধ করার দাবি
‘মুহাম্মদ’ শিয়া মুসলমানদের মাঝেই সমাদৃত হচ্ছে৷ সুন্নিরা এ ছবি নিষিদ্ধ করার দাবিও করেছেন৷ ‘‘শরিয়তে নবিদের যে কোনো ধরনের উপস্থাপন নিষিদ্ধ’’ -এই যুক্তিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়৷ তবে পরিচালক মাজিদ মাজিদির পরিকল্পনা জানিয়েছেন, এই ছবি আসলে তাঁর ‘ট্রিলজি’-র অংশ, অর্থাৎ মুসলমানদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আরো চলচ্চিত্র নির্মাণের ইচ্ছা আছে তাঁর৷
ছবি: mohammadmovie.com
7 ছবি1 | 7
দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর আগে দেওয়া যাক৷ তারক বিশ্বাস বা অন্য কেউ এর আগে যখন অন্য ধর্মের অবমাননা করে ‘পোস্ট' করেছিলেন, তখন কি কেউ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন? যদি করে থাকেন, তাহলে কি প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? নাকি নেয়নি? যদি এ রকম কোনো উদাহরণ থেকে থাকে, একমাত্র তা হলেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা যায় বা প্রশাসনকে অতি তৎপরতার দায়ে দোষী দাবি করা যায়৷ আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন সংবিধান-স্বীকৃত, তেমইন ধর্মীয় আবেগে আঘাতের বিরুদ্ধেও তো আইন আছে! পুলিশ, প্রশাসন এবং বিচারবিভাগের হাত-পা সেই আইনে বাঁধা৷ অর্থাৎ স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা পরোক্ষে বলা আছে, পাছে তা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশ্বাস কিংবা আবেগে আঘাত করে৷ যদি কেউ সেই স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে না পারেন, তা হলে বাধ্য হয়েই রাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ করতে হয়৷ অবশ্য শুধু ধর্মবিশ্বাসে আঘাত কেন, ব্যক্তিমানুষের মানহানিও তো দণ্ডনীয় অপরাধ! কারও অসম্মান করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দেওয়া যায় কি? যায় না৷ কারণ, আইন সেটাই বলছে৷ যদি এই ভাবনার বদল করতে হয়, তা হলে দেশের আইন বদলাতে হবে যেহেতু সরকার বা বিচারবিভাগকেও আইন মেনে চলতে হয়৷ আইনের নিজস্ব, অন্যতর ব্যাখ্যার সুযোগও সেখানে থাকে না৷
প্রশ্ন হলো, তাহলে কি ধর্ম নিয়ে, বিশ্বাস নিয়ে, আবেগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই? অবশ্যই আছে৷ তবে অকারণ আক্রমণ এড়িয়ে৷ নয়ত ব্যাপারটা বাতুলতা হয়ে যায়, নষ্ট হয় উদ্দেশ্যও৷ এক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছে৷ তারক বিশ্বাস ঠিক কী চেয়েছিলেন, সেটা এখনই তর্কসাপেক্ষ হয়ে উঠেছে৷ কারণ যুক্তিবাদীদেরই একাংশ এখন বলছেন, প্রসঙ্গহীনভাবে, কোনো নির্দিষ্ট রেফারেন্স বা তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বিতর্কিত মন্তব্য করাটা পদ্ধতিগত ভুল৷ ভুল ছিল তাঁর ভাষা আর প্রকাশভঙ্গীতেও৷ নাস্তিকরা যদি এটাকে নিজেদের মতাদর্শের প্রচার হিসেবেই দেখেন, তা হলে এই ধরনের হঠকারিতাও এড়িয়ে চলা উচিত, যাতে অযথা বিতর্ক ছড়ানো ছাড়া কিছুই হয় না৷ বরং চেষ্টাটাই ভুল রাস্তায় চলে যায়৷
যে দেশের গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই
না দেশটা বাংলাদেশ নয়৷ তবে বাংলাদেশের অবস্থা যে খুব একটা সুবিধাজনক তাও নয়৷ চলুন দেখে নেই, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী কোন দেশের গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন৷
ছবি: DW/D. Olmos
ইরিত্রিয়া
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রকাশিত ২০১৬ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী, যে দেশটিতে গণমাধ্যমের কোনোই স্বাধীনতা নেই, সেটি হচ্ছে ইরিত্রিয়া৷ গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসকের কবলে থাকে দেশটির কমপক্ষে ১৫ সাংবাদিক এই মুহূর্তে জেলে আছেন৷ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে সবার নীচে আছে ইরিত্রিয়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
উত্তর কোরিয়া
ইরিত্রিয়ার পরই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া৷ কিম জুন-উনের নেতৃত্বাধীন দেশটি গত ১৫ বছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একেবারে নীচের দিকে অবস্থান করছে৷ দেশটিতে বিদেশি সাংবাদিকদের ভিসা তেমন দেয়া হয় না, যদিও বা কেউ ভিসা পান, তাঁকে রাখা হয় কড়া নজরদারিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/Kcna
তুর্কমেনিস্তান
এই দেশটিকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম তথ্য কৃষ্ণ গহ্বর৷ স্বাধীনভাবে কোনো সাংবাদিক কাজ করতে চাইলে তাঁর জন্য মোটামুটি কারাভোগ এবং নির্যাতন নিশ্চিত দেশটিতে৷ ইনডেক্সে তাদের অবস্থান নীচের দিক থেকে তৃতীয়৷
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ফিনল্যান্ড
এবার যাওয়া যাক, তালিকার উপরের দিকের অবস্থা৷ গত পাঁচবছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের শীর্ষে অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড৷ দেশটির গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ তবে সেদেশের অধিকাংশ পত্রিকা দু’টি মিডিয়া গ্রুপের মালিকানায় রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/van Weel
নেদারল্যান্ডস
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গত একবছরে দু’ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে নেদারল্যান্ডস৷ দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আইনিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ছবি: Imago/SylviaxLederer
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে গতবছর চারজন ব্লগার এবং প্রকাশক খুন হওয়ার পরও প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটেছে৷ আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়ে দেশটির অবস্থান এখন ১৪৪তম, তবে গ্লোবাল স্কোর কমেছে মাইনাস ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ৷
ছবি: DW/A. Islam
6 ছবি1 | 6
ওদিকে তারক বিশ্বাসের জামিন নিয়ে ইতোমধ্যেই তৎপর হয়েছে একট হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী৷ তারা তাদের মতো করে বিষয়টার ব্যাখ্যা করছে৷ নিজেদের তরফ থেকে উকিল দিতে চাইছে তারাও, যাতে ‘দুর্গাপুজোর আগে' তারক জামিন পেয়ে ঘরে ফিরতে পারেন৷ ‘নাস্তিক' তারক বিশ্বাস কি সেটাই চেয়েছিলেন? সম্ভবত না৷