হাওড়ার রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা। প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা পাথর ছোঁড়েন।

হাওড়ায় পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। পুলিশের হাতে পাথর ঠেকানোর জন্য ঢাল ছিল। পুলিশও উত্তেজিত জনতাকে সরিয়ে দিতে চায়।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।

রাস্তাজুড়ে ইট-পাথর ছড়িয়ে। হাওড়ার ছবি। পুলিশ তাড়া করেছে জনতাকে। সপ্তাহান্তে এই ছবি হাওড়ায় বারবার দেখা গেছে।

পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় প্রশাসন ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছিল। যাতে গুজব না ছড়ায়। সোমবার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলে আবার ইন্টারনেট চালু হতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এভাবে বিক্ষোভ না দেখাতে। কলকাতার মসজিদের ইমামরাও শান্ত থাকতে বলেছিলেন। তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শান্তি বজায় রাখা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, অন্য রাজ্যে ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে পশ্চিমবঙ্গে কেন এইভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে। মমতার আবেদনে কাজ হয়নি।

মহানবী(সা:)-কে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নদিয়াতেও বিক্ষোভ। রোববার বেথুয়াডহরিতে রেল ও সড়ক অবরোধ হয়। এখানে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু বেথুয়াডহরিতেও পাথর ছোঁড়া হয়েছে। পাথরের আঘাতে গাড়ির কাচ ভেঙেছে।

বেথুয়াডহরিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ থামাতে চায়।

বিজেপি নেতারা ঘটনাস্থলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ বলে তাদের যেতে দেয়া হয়নি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। বেথুয়াডহরিতে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। বিক্ষোভকারীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তার ফলে যাত্রীদের হেনস্থা হয়েছে। তাছাড়া বেথুয়াডহরিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় ইটের আঘাতে গাড়ির কাচ ভেঙেছে।