মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ দাপ্তরিক ভাষায় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে তাকে৷
বিজ্ঞাপন
যার সরল মানে এইরকম যে, এই মুহূর্তে তার কোনো দায়িত্ব নেই৷ দায়িত্বশীল কাউকে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে সরিয়ে দেওয়া যে একরকম শাস্তি, এটা নিশ্চয়ই যে কেউ বুঝতে পারছেন৷
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কোন অপরাধের শাস্তি পেলেন, সাদিকুল ইসলাম? আমরা জানি না৷ কারণ, আমাদের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানাচ্ছে, সাদিকুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ আছে আর সাত মাস৷ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, ‘‘গতকাল ওএসডির চিঠি পেয়েছি৷ এখন আপাতত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করতে হবে৷’’
করোনা-মাস্ক নিয়েও শিল্প!
ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজকাল পথেঘাটে মাস্ক-পরা মানুষের অভাব নেই৷ শিল্পী ও ডিজাইনাররা মাস্ক সাজিয়ে তুলছেন নতুন সাজে৷ এমনই কিছু দৃষ্টান্তের দিকে নজর দেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/H. Yan
গ্রাফিটি-মাস্ক
আন্তর্জাতিক স্তরে স্ট্রিট-আর্ট শিল্পীরা বেশ কিছুকাল আগেই করোনা ভাইরাস ও সাদা মাস্ক নিয়ে সৃজনশীল কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ যেমন, ১৬ বছর বয়সি স্প্রে শিল্পী এসএফ এথেন্সে ছাদের উপর বিশাল এক ছবি এঁকেছেন৷ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে সেই মোটিফ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷
ছবি: picture-alliance/ANE
মাস্ক নিয়ে ফ্যাশন শো
মার্কিন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের তৈরি এই মাস্ক দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তবে মুখ খালি রাখার বদলে এমন কাপড়ের মাস্ক পরা ভালো৷ ২০২০ সালের শুরুতে নিউ ইয়র্ক শহরে এক ফ্যাশন শো-তে প্রদর্শিত এই মাস্ক মুখ ঢাকার শৌখিন আভরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল৷ অনেক ফ্যাশন-সচেতন মানুষ সাদামাটা মাস্কের বদলে রংচংয়ে, সুন্দর মাস্ক পরতে পছন্দ করেন৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
ডিজাইনার মাস্ক
জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের নামী ডিজাইনাররা করোনা-মাস্ক নিয়ে মন্দা কাটিয়ে ব্যবসার নতুন আইডিয়া পাচ্ছেন৷ বার্লিন, কোলোন ও মিউনিখ শহরের তরুণ ও অপরিচিত ডিজাইনাররাও এই প্রবণতায় গা ভাসাচ্ছেন৷ নাকমুখ ঢাকা দেবার এই আবরণ সম্ভবত ২০২০ সালের করোনা-ফ্যাশন হিসেবে মিউজিয়ামে স্থান পাবে৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
টাইয়ের সঙ্গে মানানসই মাস্ক
কেতাদূরস্ত মানুষ বেশ ফিটফাট থাকতে ভালোবাসেন৷ করোনা সংকটের সময়েও হালফ্যাশনের কোট-প্যান্ট-টাই না পরলে তাঁদের চলে না৷ বার্লিনের এক টাই কোম্পানি লম্বা অথবা বো টাইয়ের সঙ্গে মানানসই মাস্ক তৈরি করেছে৷ শুধু পুরুষদের জন্যই ভালো মানের রেশম দিয়ে তৈরি এই সব মাস্কের কয়েকটি সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
মাস্কের বৈচিত্র্যে সৃজনশীলতার ছোঁয়া
মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার কোনো সীমা নেই৷ শুধু ধুয়ে আবার ব্যবহার করতে পারলেই চলবে৷ তবে এমন সুন্দর কাজ করা ডিজাইনার মাস্ক বারবার ওয়াশিং মেশিনে ঢোকানোর প্রয়োজন না হলেই ভালো৷ ফুটন্ত পানি ঢেলে পরিস্কার করে ঠান্ডা হবার পর তোয়ালের মধ্যে বিছিয়ে সেটি গুটিয়ে ফেলতে হবে৷ শুকিয়ে গেলে আবার পরে ফেলা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Koall
সাত দিনে সাত মাস্ক
যারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের অনেকে আবার দিন অনুযায়ী আলাদা ডিজাইনার মাস্ক ব্যবহার করছেন৷ সেগুলি যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে সাপ্তাহিক চার্টের মতো মাস্ক ঝোলানোর ব্যবস্থা করেছেন একজন৷ যেমন শনিবার ফুটবলের দিন, তাই মাস্কেও হলের মোটিফ৷ পছন্দের ক্লাবের প্রতি সংহতি দেখাতে ফ্যান হিসেবে ক্লাবের লোগোসহ মাস্ক পরে টেলিভিশনের সামনে বসার অনুভূতিই আলাদা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Hörhager
পরিবেশবান্ধব মাস্ক
কেউ যদি ফ্যাশনদূরস্ত মাস্ক পছন্দ না করেন, তিনি অনায়াসে নাকমুখ ঢাকতে প্রাকৃতিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন৷ বড় একটা পাতা নিয়ে রাবারব্যান্ড দিয়ে এভাবে মাস্কের কাজ চালানো সম্ভব৷ এমনটা কীভাবে করা সম্ভব, গাজার এই ফিলিস্তিনি মেয়েটি তা দেখিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
করোনা সংকটের সময় শিল্পকলা
চারুকলার ক্ষেত্রেও করোনা মাস্কের মোটিফ প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে৷ কখনো চিত্রকলা বা পোস্টারে তা শোভা পাচ্ছে৷ কখনো বা কার্টুন হিসেবে মোনালিসা নাকমুখ ঢেকে রেখেছে৷ পোল্যান্ডের ভাস্কর ইগর মিতোরাই ক্রাকো শহরে প্রকাশ্যে বিশাল এক ভাস্কর্য সৃষ্টি করেন৷ এখন সেটির মুখও ঢেকে দিয়েছেন তিনি৷ হয়তো বর্তমান সংকটের স্মরণে এই আবরণ চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/B. Zawrzel
8 ছবি1 | 8
তাকে ওএসডি করার কারণ জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি৷
আমরা যা জানি তা হলো, ডা. ইসলাম যে হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন তা কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেওয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ প্রথম আলো পড়ে জানতে পারি, ১ এপ্রিল সাদিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি চিঠি দিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি সরবরাহ করা মাস্ক এন নাইনটি ফাইভ কিনা জানতে চেয়েছেন৷ বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আরেকটু বিশদ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করেছে, ‘‘এন-৯৫ লেখা আপনাদের বক্সে৷ কিন্তু ভিতরের যে জিনিসটা, সেটা সঠিক থাকে কিনা, এটা একটু আপনাদের দেখা দরকার৷’’
আমরা নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীকে ওই কথা বলতে শুনেছি৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, অনেককে খুশি হতে৷ কারণ, এবার কর্তাব্যক্তিরা ধরা খেয়েছে৷ যারা এই জালিয়াতি করেছে তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হবে৷
সরকারে থাকা আমার ঘনিষ্ঠ লোকের মারফতে শুনলাম, কেমন বুঝছি? শেখ হাসিনার সরকার, কাউকে মাফ করে না৷ আমি আশা করেছি, হতেও পারে৷ নিশ্চয়ই সাদিকুল ইসলামও এরকম কিছুই ভেবেছিলেন৷ জানি না, ওএসডি নির্দেশ করা চিঠিটা পেয়ে তার কেমন লেগেছিল? তিনি কি ভেবেছেন, মাস্কের বিষয়টা না তুললেই ভালো হতো? তিনি না ভাবলেও আরো অনেক সরকারি চাকুরে যে এরকম ভাবেন বা ভবিষ্যতে ভাববেন, তাতে কোনো আর সন্দেহ নাই৷
দুইদিন পরে আন্তর্জাতিক মুক্ত গণমাধ্যম দিবস৷ প্রায়ই শুনি, আমরা নিন্দা করে নাকি সরকারসহ সবাইকে বিপাকে ফেলি, ঠিক করে কাজ করতে দেই না৷ কয়েকদিন আগে দেখেছি, টকশোগুলোতে যেন সরকারের কার্যক্রমের নিন্দা না করা হয়৷ আমরা যেন ইতিবাচক খবর করে উৎসাহ দেই এত কষ্ট করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা সরকারকে৷ এক কথায় আমরা যেন আদর্শ মানি বিটিভিকে!
সরকারে থাকা নীতিনির্ধারকদের কারো চোখে পড়তে পারে এ আশায় বলি, কোনো বিপদ থেকে সাবধান করা সাংবাদিকদের কাজ৷ জালিয়াতচক্র আসলের বদলে নকল চিকিৎসা উপকরণ দিচ্ছে একথা বলার জন্য আপনি যদি কোনো ডাক্তারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন, তবে আপনার বা আপনাদের কথা জানি না, আমাদের সামনে বিপদ, মহাবিপদ৷
অবশ্য বিপদের কথা শুনতে না চাইলে আমাদের হাত, মুখ বেঁধে দিতে পারেন বা নিজেদের কানে দিতে পারেন তুলো অথবা হেডফোন, যেখানে হাই ভলিউমে বাজতে থাকবে আপনাদের নিয়ে রচিত অমর শংসাগীত৷
করোনায় রোজা, করণীয় কী?
মুসলিমদের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান এসেছে৷ কিন্তু করোনা মহামারি এবারের রমজানকে দিয়েছে অন্য এক রূপ৷ নিজে ও প্রিয়জনকে নিরাপদে রেখে কিভাবে পালন করা যাবে এ মাস?
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
করোনাকালে রমজান, কিছু পরামর্শ
রমজান মাসকে বিশ্বজুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা দেখে থাকেন দানশীলতা, সংযম, আত্মশুদ্ধি ও প্রার্থনার মাস হিসেবে৷ একসঙ্গে নামাজ পড়া ও সারাদিনের রোজা শেষে ইফতার ভাগাভাগি করে নেয়াকেও দেয়া হয় গুরুত্ব৷ কিন্তু চলমান করোনা মহামারি এবারের রমজানকে সবার সামনে হাজির করেছে একটু অন্যভাবে৷ সব দেশের জন্যই এ বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
রোজা রাখতে ঝুঁকি নেই
রোজা রাখলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, এমন কোনো তথ্য এখনও কোনো গবেষণায় পাওয়া যায়নি৷ ফলে স্বাভাবিক সময়ের মতোই রোজা রাখতে সুস্থ মানুষের কোনো বাধা নেই৷ কিন্তু ধর্মীয় বিধি অনুযায়ীও নানা রোগের ক্ষেত্রে রোজা রাখায় ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷ কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ সেক্ষেত্রে চিকিৎসক ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি
কোভিড-১৯ এর কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি৷ ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরই এখন পর্যন্ত ভরসা৷ তাই সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার ও সেহরিতে নানা ধরনের সুষম খাবারের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া গরমের ফলে পানিশূন্যতা দূর করতে ইফতার ও সেহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানিও পান করা খুব জরুরি৷
ছবি: Colourbox/Haivoronska_Y
শারীরিক কার্যক্রমে জোর
অন্যসময় রোজা রেখেও কাজকর্ম করার ফলে শরীরে রক্ত চলাচল ও অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকতো৷ কিন্তু করোনার কারণে মানুষের চলাচল সীমিত হওয়ায় কমেছে শারীরিক কার্যক্রমও৷ এজন্য বিজ্ঞানীরা জোর দিচ্ছেন বাসার মধ্য়েই নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করার জন্য৷ তা না হলে রোজায় শরীরে পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব৷
ছবি: Colourbox
শুভেচ্ছা ও সম্ভাষণ
কারো সঙ্গে দেখা হলে হাত মেলানোর রীতি থাকলেও, এবার শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সম্ভাষণ জানানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে৷ অনেক দেশে ধর্মীয় আচার ও সংস্কৃতি অনুযায়ী সালাম দেয়া, মাথা নাড়া বা বুকে হাত দিয়ে সম্ভাষণ জানানো হয়৷ এ বছর করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এমন সম্ভাষণকেই স্বাগত জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরাও৷
ছবি: DW/A. Ansari
ঝুঁকিতে থাকাদের বিশেষ ব্যবস্থা
নভেল করোনা ভাইরাস সব বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করলেও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা৷ এছাড়া যারা ডায়বেটিস, রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের রোগ, শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগে ভুগছেন, তারাও রয়েছেন কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে ঝুঁকিতে৷ ফলে রমজানের সময়টাতে এই ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: DW/M. M. Rahman
সামাজিক দূরত্ব
বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও তারাবিসহ অন্যান্য নামাজ মসজিদের বদলে বাসায় পড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিনসহ যাদের মসজিদে যেতেই হবে, তাদেরও নিজেদের মধ্যে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ এছাড়া ইফতার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য যারা দোকানে বা বাজারে যাবেন, তাদেরও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/H. Ur Rashid Swapan
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
প্রতিবার নামাজের আগে ওজুর ফলে এমনিতেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত হয়৷ কিন্তু এবার একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলছেন চিকিৎসকেরা৷ শুধু পানির বদলে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে সাবান ব্যবহারের৷ মসজিদেও পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম, টিস্যু, ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি প্রতিবার নামাজের আগে-পরে কার্পেটসহ মসজিদ ভবনের অন্যান্য ব্যবহার্য বস্তু পরিষ্কার করারও আহ্বান জানানো হচ্ছে৷
ছবি: Imago Images/allover-mev
যাকাত ও সদকা
রমজান মাসে মুসলিমদের দানশীলতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়৷ তবে যাকাত বা সদকা দেয়ার সময়ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে৷ যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো না হন, সেজন্য এলাকার সবাই মিলে বা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শৃঙ্খলাবদ্ধ উপায়ে পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
ছবি: DW/H.U.R. Swapan
মানসিক স্বাস্থ্য
লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ইত্যাদি মানতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য পড়ছে হুমকির মুখে৷ রমজানে ধর্মপ্রাণ মানুষ মসজিদে যেতে ও সামাজিক যোগাযোগ বেশি পছন্দ করেন৷ কিন্তু এ বছর তাদেরকে থাকতে হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও যে আত্মশুদ্ধি, প্রার্থনা, দান, সেবা, সবই করা সম্ভব তা প্রচার করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারে পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷