মহারাষ্ট্রের বিরারে হাসপাতালে আগুন। আইসিইউতে থাকা ১৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু। দিল্লির হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে কাজ করছে না ভেন্টিলেটার।
বিজ্ঞাপন
মহারাষ্ট্রে আবার ভয়ংকর ঘটনা। মুম্বই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে বিরারে বিজয় বল্লভ হাসপাতালে আগুন লেগে যায়। শর্ট সার্কিটের জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ এই আগুন লাগে। আগুন প্রথমে লাগে আইসিইউ-তে। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। ততক্ষণে আইসিইউ-তে থাকা ১৩ জন রোগাী মারা গেছেন। একদিন আগেই মহারাষ্ট্রের নাসিকে হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার লিক হয়ে ২২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
তবে ২১ জন সংকটাপন্ন রোগীকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালে মোট ৯০ জন রোগী ছিলেন। আগুন লাগার পর রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
দুই ঘণ্টার অক্সিজেন আছে
দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে আর মাত্র দুই ঘণ্টার মতো অক্সিজেন আছে। অবিলম্বে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়ার জন্য এসওএস পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ডিরেক্টর একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ''গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন অসুস্থ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর দুই ঘণ্টা মতো অক্সিজেন আছে। এমারজেন্সি ও আইসিইউ-তে ভেন্টিলেটার ও বাইপ্যাপ ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে ম্যানুয়ালি তা করা হচ্ছে। ভয়ংকর সংকট। আরো ৬০ জন অত্যন্ত অসুস্থ মানুষের জীবন বাঁচানো দরকার। তাই অবিলম্বে হস্তক্ষেপ দরকার।''
গঙ্গারামে ৫১০ জন করোনা রোগী আছেন। তার মধ্যে ১৪২ জনের অক্সিজেন দরকার। একদিন আগেও গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছিল। গভীর রাতে দুই বার সেখানে অক্সিজেন পাঠানো হয়। তখনই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, এতে এক থেকে দুই দিন চলবে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি, নিউজ ১৮)
ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ, দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখ ছাড়ালো
ভারতে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হলো। আক্রান্তের সংখ্যা দিনে তিন লাখ ছাড়ালো। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। গোরস্থান, শ্মশানে লম্বা লাইন।
ছবি: Niharika Kulkarini/REUTERS
তিন লাখ ছাড়ালো
ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ালো। এই প্রথমবার এত মানুষ একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন দুই হাজার একশর বেশি মানুষ। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। দিল্লিতে আক্রান্ত ২৪ হাজারের বেশি। উপরের ছবিটি দিল্লির একটি হাসপাতালের।
ছবি: Anushree Fadnavis/REUTERS
দিল্লির পরিস্থিতি
দিল্লির শ্মশানঘাট ও কবরস্থানে লম্বা লাইন। আইটিও-র কবরস্থানে দেখা গিয়েছে সমানে মাটি খোড়ার কাজ চলছে। এরকম চলতে থাকলে স্থানাভাব দেখা দেবে। নিগমবোধ সহ অন্য শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে লম্বা লাইন পড়ছে। অন্ততপক্ষে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ছবি: Danish Siddiqui/REUTERS
হাসপাতালে চাপ
দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। হাসপাতাল ভর্তি। অক্সিজেনের সংকট তীব্র। সরকার অবিলম্বে বেড বাড়াবার কথা বলছে। রাজধানীতে এখন লকডাউন চলছে। তারপরেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। ছবিতে করোনায় মৃত একজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কবরস্থানে।
ছবি: Danish Siddiqui/REUTERS
মহারাষ্ট্রে কার্যত লকডাউন
মহারাষ্ট্রে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সব কাজ বাড়ি থেকে করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রাস্তাঘাটে মানুষ নেই। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার ছবি।
ছবি: Niharika Kulkarini/REUTERS
সরকারের নির্দেশ
মহারাষ্ট্রে যে সব দোকান খোলা থাকছে, যারা সেখানে যাচ্ছেন, তারা কোভিড-বিধি পালন করছে কি না, তা দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কেউ বিধি ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রাতের শুনশান মুম্বইয়ের ছবি।
ছবি: Niharika Kulkarini/REUTERS
রাজস্থানে লকডাউন
করোনা বাড়তে থাকায় রাজস্থানে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপরের ছবিটি জয়পুরে স্বাভাবিক সময়ের।
ছবি: Vishal Bhatnagar/NurPhoto/picture alliance
একদিনে ৩৩ লাখ ভ্যাকসিন
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ভ্যাকসিন দেয়া হলো ১১ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে।
ছবি: Amit Dave/REUTERS
ভোটের লাইন
করোনার এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে ভোট চলছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রতিটি বুথে লম্বা লাইন। সেখানে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর প্রদেশেও পুরভোটে লম্বা লাইন পড়েছে।
ছবি: IANS
পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে
পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ব্যস্ত ভোট নিয়ে ও নানা অনুষ্ঠান পালনে। পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারের কাছে। কলকাতায় এক হাজার ৬০০ জন করোনায় আক্রান্ত। কবি ও প্রাবন্ধিক শঙ্খ ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত।