1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশ যাত্রা

১১ জুন ২০১২

নিজের তৈরি মহাকাশ স্টেশন তৈরির কাজ এগিয়ে নিতে চীন এবার তিনজন নভোচারীকে মহাশূন্যে পাঠাবে৷ তার মধ্যে প্রথমবারের মতো নারী নভোচারীও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷

A Long March 2F (CZ-2F) carrier rocket carrying the Shenzhou VIII spacecraft is being moved to the launch pad at the Jiuquan Satellite Launch Center near Jiuquan city, northwest Chinas Gansu province, 26 October 2011. China will launch the Shenzhou VIII (Shenzhou-8) spacecraft in early November at the Jiuquan Satellite Launch Center in northwest China. The spacecraft is expected to perform Chinas first space docking with Tiangong-1, or Heavenly Palace-1, a space lab module that was launched in September from the same launch center.
ছবি: picture-alliance/dpa

বেশ কয়েক বছর আগের কথা, ইউরোপ অ্যামেরিকার ১৬ টি দেশ সিদ্ধান্ত নিল তারা মহাকাশে একটি স্থায়ী স্টেশন তৈরি করবে৷ তার ফলশ্রুতিতে শুরু হলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএস'এর কাজ৷ বিশাল এই উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদেরও সংশ্লিষ্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করলো চীন৷ জানালো, তারাও এই মহাকাশ গবেষণায় ইউরোপ-অ্যামেরিকার সঙ্গে কাজ করতে চায়৷ কিন্তু বাধ সাধলো যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন আপত্তির কারণে সেদিন মহাকাশ স্টেশন তৈরির কাজ থেকে চীনকে বাদ দেওয়া হয়৷ আজ সেই চীনই নিজের প্রযুক্তিতে আলাদা মহাকাশ স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে৷

ইতিমধ্যে তাতে তারা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে৷ মহাকাশে তাদের নিজস্ব নির্মাণাধীন স্টেশনের নাম তিয়ানগং৷ সেই স্টেশন তৈরির জন্য তারা একের পর এক নভোযান পাঠাচ্ছে৷ এখনও পর্যন্ত মোট তিনবার নভোচারী পাঠিয়েছে চীন৷ বিগত ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চীন তৃতীয় দেশ হিসেবে মহাশূন্যে নভোচারী পাঠায়৷ তাদের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই মাসের মাঝামাঝি নাগাদ তারা আবারও নভোচারী পাঠাতে চায় মহাশূন্যে৷ আর এজন্য তাদের নভোযান শেনঝু-৯'কে ইতিমধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টারে৷ সেখানে আরও পাঠানো হয়েছে রকেট লং মার্চ টু এফ-কেও৷ জিকুয়ান স্যাটেলাইট সেন্টার থেকেই উৎক্ষেপিত হবে রকেট লং মার্চ আর তাতে লাগানো থাকবে নভোযান শেনঝু-৯৷

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া আরও জানিয়েছে, এবারের অভিযানে তিনজন নভোচারী থাকছেন৷ আর এবার প্রথমবারের মতো একজন নারী নভোচারীরও থাকার কথা শোনা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, দুই বছর আগে চীনা সরকার জানিয়েছিল যে, নভোচারীদের প্রশিক্ষণে তারা বিমান বাহিনীর দুই নারী পাইলটকে অন্তর্ভুক্ত করেছে৷ নভোচারীদের ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ নিউ হোংগুয়াং-ও আভাস দিয়েছেন যে পরবর্তী নভোচারীদের দলে একজন নারী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷

শেনঝু নভোযান তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে ডক করছেছবি: Xinhua/dapd

এদিকে পরবর্তী অভিযানের মধ্য দিয়ে আরও একটি নতুন পর্ব শুরু করতে যাচ্ছে চীনা বিজ্ঞানীরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এবারের মিশন হবে শেনঝু-৯'কে মানুষের সাহায্যেই তিয়ানগং'এর সঙ্গে ডকিং করানো৷ মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের অন্যতম জটিল কাজ হচ্ছে এই ডকিং৷ অর্থাৎ দুটি নভোযানকে একসঙ্গে জোড়া লাগানো৷ এর আগে  ভূপৃষ্ঠ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নভোযান শেনঝু-৮'কে তিয়ানগং'এর সঙ্গে জোড়া লাগানো হয়েছিলো৷ প্রসঙ্গত, কক্ষপথে প্রচণ্ড গতিতে চলতে থাকা দু'টি নভোযানকে জোড়া লাগানোর জন্য প্রয়োজন অত্যন্ত জটিল প্রযুক্তি৷ আর সেটি যদি হাতে হাতে করতে হয় তাহলে প্রয়োজন নভোচারীদের দক্ষতা৷ এবারের অভিযানে সেটাই করে দেখাতে চায় চীন৷ চীনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শেনঝু-৯ কে তিয়ানগং'এর সঙ্গে যুক্ত করার সময় দু'জন নভোচারী সেটার ভেতর ঢুকবেন৷ আর একজন থেকে যাবেন নভোযান শেনঝু-৯'এর ভেতর, যাতে করে প্রয়োজনে তিনি সহায়তা দিতে পারেন৷

উল্লেখ্য, এর আগে গত নভেম্বর মাসে মহাকাশে কাজ শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে আসে শেনঝু-৮৷ আর এবার শেনঝু-৯'তে করে নভোচারীরা যাচ্ছেন৷ তারা সেখানে তিয়ানগং'এর নির্মাণ কাজ আরও এগিয়ে নেওয়ার কাজ চালাবেন৷ তাদের লক্ষ্য এমন একটি স্টেশন তৈরি করা যেখানে নভোচারীরা কয়েক মাস অবস্থান করতে পারবেন৷ যেমনটি রুশ নভোযান মির'এর ছিল এবং এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস'এর রয়েছে৷ গত ডিসেম্বর মাসে চীন জানিয়েছিল যে তারা চাঁদেও মানুষ পাঠাতে চায়৷ এছাড়া মঙ্গল গ্রহেও নভোযান পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে চীনের৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (এএফপি, এপি)

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ