মহাসড়কে গতিসীমা নির্ধারণ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জার্মানি৷ কিন্তু জার্মান পুলিশ ইউনিয়ন বলছে, মহাসড়কে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়ার সময় এসেছে৷
বিজ্ঞাপন
জার্মান পুলিশ অফিসার্স ইউনিয়নের উপ-প্রধান মিশায়েল মেরটেনস শুক্রবার জার্মানির মহাসড়কে গাড়ির সাধারণ গতিসীমা নির্ধারণের উপর জোর দিয়েছেন৷ এ বিষয়ে জার্মান পত্রিকা স্যুডডয়চে সাইটুংকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ইউরোপের একমাত্র দেশ, যেখানে মহাসড়কে সাধারণ গতিসীমা নির্ধারণ করা নেই৷ এই দেশে কিছু মানুষ ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালায়, যা বৈধ৷ কিন্তু এই গতি বাস্তবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়৷ গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিলে সড়কে প্রতি চারটির মধ্যে একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু রোধ করা যাবে৷ এছাড়া গতিসীমা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার করা হলে ট্রাফিক দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে৷’’
জার্মানির ‘অটোবান’ বা মোটরওয়ের নিয়মকানুন
ফক্সভাগেন, আউডি, মার্সিডিজ, বিএমডাব্লিউ বা ওপেল গাড়ির দেশ জার্মানিতে মোটরওয়ে যে চোখ-ধাঁধানো হবে, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ তবে সেখানেও গাড়ি চালানোর নিয়মকানুন আছে৷
ছবি: Imago/Horst Galuschka
গতিসীমা নেই
জার্মান অটোবানে সাধারণভাবে কোনো গতিসীমা নেই৷ বলতে কি, গোটা ইউরোপের মধ্যে একমাত্র জার্মান মোটরওয়েতেই যত খুশি স্পিডে গাড়ি চালানো যায় – অবশ্য ট্র্যাফিকের আইনকানুন মেনে ও নিজের বা পরের জন্য কোনো বিপদ সৃষ্টি না করে৷ গাড়ি ও মোটরওয়ের দেশে মোটরচালকের কোনো অভাব নেই: ১৭ বছর বয়স হলেই, লাইসেন্স থাকলে কোনো প্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে গাড়ি চালানো যায়৷ বাধাহীন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় ১৮ বছর বয়স থেকে৷
ছবি: Imago/Horst Galuschka
যানজট
জার্মানির জাতীয় অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের নাম হলো – তার আদ্যক্ষর মিলিয়ে – এডিএসি৷ তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে তার আগের বছরের তুলনায় মোটরওয়েতে ১৫ শতাংশ বেশি যানজট ঘটেছে৷ প্রধানত চারটি কারণে: সাধারণভাবে গাড়ির সংখ্যা বাড়ার ফলে; একটি চ্যানেল অধিকাংশ সময় ট্রাক আর লরিতে ভর্তি থাকার কারণে; অটোবানের বিভিন্ন জায়গায় মেরামতির কাজ চলে বলে এবং চতুর্থত, কাছাকাছি কোনো বড় শহর আছে বলে৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সম্মুখে ঠেলিছে মোরে...
অটোবানের ‘ভিতরদিকের’, অর্থাৎ বাঁদিকের চ্যানেলগুলো হল দ্রুতগামী চ্যানেল; ওভারটেক করতে না হলে, ও ধরনের চ্যানেল আটকে গাড়ি না চালানোই ভালো – নয়ত দেখবেন, কোনো ব্যস্তবাগীশ হয়ত পেছন থেকে আপনার ঘাড়ে এসে পড়ে, হর্ন না বাজালেও, বাতি জ্বালিয়ে-নিভিয়ে তার ব্যস্ততা আর বিরক্তি প্রকাশ করছে৷ মনে রাখবেন, শশব্যস্ত হয়ে তাকে রাস্তা ছেড়ে দেবার কোনো তাড়া নেই: কেননা সে যা করছে, সেটাও রীতি ও নীতিবিরুদ্ধ!
ছবি: imago/Jochen Tack
ছবি তোলানোর দাম অনেক হতে পারে
স্পিড ক্যামেরা! জার্মানিতে মোটরওয়ের ধারে-ধোরে এ ধরনের বসানো বা মোবাইল স্পিড ক্যামেরা থাকাটা আজকাল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ পরে ডাকপিয়নের হাতে করে আসবে – ছবি সুদ্ধু – স্পিড লিমিট ছাড়ানোর সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শেষমেষ জরিমানার তলব৷ ছবিতে গাড়ির নাম্বারপ্লেটের সঙ্গে নিজের শ্রীমুখও স্পষ্ট দেখতে পাবেন, কাজেই পার পাবার কোনো উপায় নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Galuschka
গাড়িতে হাতে মুঠোফোন নিয়ে কথা বলা চলবে না
বিশেষ করে অটোবানে চলন্ত অবস্থায়৷ ধরা পড়লে ১০০ ইউরো জরিমানা আর সেই সঙ্গে ফ্লেন্সবুর্গে ‘গাড়ি পুলিশের’ কালো খাতায় একটি ঢেঁড়া বা পয়েন্ট৷ আর যদি কানে মোবাইল ফোন ধরে গাড়ি চালানোর সময় কোনো অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে, তবে তো রক্ষা নেই: জরিমানা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সও কিছুদিনের জন্য বাজেয়াপ্ত হতে পারে৷ এর চাইতে স্টিয়ারিং থেকে হাত না উঠিয়ে ফোন করার ব্যবস্থা রাখাই ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Klose
যানজট হলে অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের জন্য রাস্তা রাখবেন
অর্থাৎ পাশাপাশি দু’টি চ্যানেলের গাড়িকে ডানদিকে ও বাঁদিকে সরে গিয়ে সেই দু’সারি গাড়ির মাঝখানে অ্যাম্বুলেন্স বা পুলিশের গাড়ি যাবার জন্য জায়গা রাখতে হবে৷ কারণ? মোটরওয়েতে যানজট হবার একটা বড় কারণ হলো অ্যাক্সিডেন্ট৷ সেক্ষেত্রে আহতদের দেখাশোনা ও দুর্ঘটনার খুঁটিনাটি নথিবদ্ধ করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের অকুস্থল অবধি পৌঁছাতে পারা চাই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
আর যদি নিজের গাড়ির কিছু হয়?
ধরুন মোটরওয়েতে গাড়ি খারাপ হলে, মূল চ্যানেলগুলোর পাশে ‘অবস্থানের ’ চ্যানেলটিতে গাড়ি পার্ক করে, সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে ‘সতর্কতা ত্রিভুজ’ বসাতে হবে; নিজে গাড়ি থেকে নামলে ফ্লুওরেসেন্ট স্ট্রাইপ দেওয়া জ্যাকেট পরে নামতে হবে৷ অটোবানে গাড়ি চালাতে হলে এ সব সাজসরঞ্জাম ছাড়া গাড়িতে একটি ‘ফার্স্ট এইড কিট’ রাখাটা বাধ্যতামূলক৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর অনেক বিপদ
এক্ষেত্রে জার্মানি হলো ‘জিরো টলারেন্স’ বা কোনো-মাপ-নেই-এর দেশ৷ মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর সীমা হলো ০ দশমিক ৫ শতাংশ বিএসি বা রক্তে অ্যালকহলের পরিমাণ৷ মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর জরিমানাই শুরু হয় ৫০০ ইউরো দিয়ে; এছাড়া গাড়ি পুলিশের খাতায় ঢেঁড়া, এমনকি একমাসের জন্য লাইসেন্স বাতিল, এ সব তো আছেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শীতে ‘স্নো টায়ার’
জার্মানিতে শীতকাল মানে পথেঘাটে বরফ পড়ে থাকতে পারে, বৃষ্টির পানি চরম শীতে জমাট বেঁধে ‘কালো বরফ’ তৈরি হয়ে থাকতে পারে – যা খালি চোখে হঠাৎ খেয়াল করা যায় না, বিশেষ করে রাতের আঁধারে৷ কাজেই জার্মানিতে শীত এলে গাড়িতে শীতের টায়ারে লাগানো হলো কর্তব্য – নয়ত বীমা কোম্পানিরা গোঁসা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Kästle
9 ছবি1 | 9
সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকেও মহাসড়কে গতিসীমা নির্ধারণের ইঙ্গিত দেয়া হলে তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়৷ এছাড়া সরকারি কমিশন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গতিসীমা নির্ধারণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে৷ এর ফলে বায়ু দূষণ অনেক কমে যাবে বলে ধারণা তাঁদের৷
জার্মানির পরিবহন মন্ত্রী চলতি সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘‘গতিসীমা কত হবে তা নির্ধারণ করা মানুষের সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু এর বাইরে গেলেই ঘটে দুর্ঘটনা৷’’ তবে গ্রিনপার্টি সরকারি কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে৷
জার্মানিতে বেশিরভাগ মহাসড়কে গতিসীমা না থাকলেও কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ রয়েছে৷ যেমন: শহরের আশেপাশের রাস্তা এবং যেসব রাস্তায় কাজ চলছে৷ জার্মানির প্রতিবেশী রাষ্ট্র অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স এবং চেকপ্রজাতন্ত্রে মহাসড়কে নির্ধারিত গতিসীমা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার৷
সরকারি কমিশন গতিসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি নিয়ে পর্যালোচনা করার পর মার্চের শেষে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে৷
লুইস স্যান্ডার্স ফোর ফোর/এপিবি
জার্মানির গর্ব ‘অটোবান’
জার্মানি হলো দুনিয়ার একমাত্র দেশ, যেখানে মোটরওয়েতে কোনো স্পিড লিমিট নেই - যদি না আলাদা কোনো নির্দেশনা থাকে৷
ছবি: DW/Maksim Nelioubin
নাম ‘অটোবান’
অটোবানে শুধু গাড়ি চলতে পারে৷ অটোবানে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের নীচে গাড়ি চালানোর নিয়ম নেই (যদি না নির্দেশ দেওয়া থাকে)৷ অটোবানে সাইকেল, মোপেড বা ট্রাক্টর
চালানো নিষেধ৷ এবং স্বভাবতই অটোবানে কোনো ট্রাফিক লাইট থাকে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রথম অটোবান
কোলন আর বন শহরের মধ্যে ‘এ ৫৫৫’ অটোবানটি তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯২৯ সালে৷ কোলনের মেয়র কনরাড আডেনাউয়ার তা উদ্বোধন করেন ১৯৩২ সালে৷ ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় এসে দাবি করেন, অটোবান তৈরির পরিকল্পনা তাঁর মাথাতেই প্রথম এসেছিল৷
ছবি: DW/M. Nelioubin
কোনো গতিসীমা নেই
জার্মানি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানকার মোটরওয়ের একটা বড় অংশে কোনো গতিসীমা নেই৷ তবে সাধারণভাবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়৷ অটোবান মেরামতি, অটোবানে ঢোকা কিংবা বেরনোর রাস্তা, দুর্ঘটনা ঘটার বর্ধিত আশঙ্কা ইত্যাদি কারণে অবশ্য কিছুক্ষেত্রে গতিসীমা নির্ধারিতও থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Breloer
১৩,০০০ কিলোমিটার অটোবান
জার্মানির সব অটোবান জোড়া দিলে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগো থেকে জার্মানির হামবুর্গ অবধি রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে৷ জার্মানিতে ‘এ ৭’ অর্থাৎ সাত নম্বর অটোবানই সবচেয়ে দীর্ঘ, মোট ৯৬৩ কিলোমিটার৷
ছবি: Imago/J. Huebner
নামের আগে ‘এ’
‘এ’ হলো অটোবান কথাটির আদ্যক্ষর৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয় একটি সংখ্যা, এই দু’য়ে মিলে অটোবানের নাম, যেমন ‘এ ৮’৷ আন্তঃ-জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ অটোবানগুলির নম্বর ১ থেকে ৯-এর মধ্যে হয়; আঞ্চলিক অটোবানগুলি দুই সংখ্যার, যেমন বার্লিন আর হামবুর্গের মধ্যে ‘এ ২৪’৷ আরো ছোট অটোবানগুলি তিন সংখ্যারও হতে পারে৷ উত্তর-দক্ষিণ অটোবানগুলি সাধারণত বেজোড় আর পশ্চিম-পুবেরগুলি জোড় সংখ্যার হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Strauß
মোটরওয়ে, না রানওয়ে?
পরিভাষায় বলে হাইওয়ে স্ট্রিপ, অর্থাৎ দূরপাল্লার রাস্তার এমন একটা অংশ, যেখানে ছোটখাট বিমান অবতরণ করতে পারে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোবানকে এভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল; ঠাণ্ডা লড়াইয়ের আমলে উভয় জার্মানিতেই এ ধরনের অটোবান ল্যান্ডিং স্ট্রিপ প্রস্তুত করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Karmann
যানচলাচল বাড়া মানেই যানজট
জার্মান অটোমোবাইল ক্লাব এডিএসি’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে জার্মানির অটোবানগুলিতে ৫,৬৮,০০০ যানজট হয়, যার মোট দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১১ লাখ কিলোমিটার৷ জ্যামে আটকা পড়ে মানুষজনের ৩,৪১,০০০ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Friederichs
অটোবানে গাড়ি দুর্ঘটনা মানে...
...একাধিক গাড়ির পর পর এসে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা৷ এ ধরনের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে, যখন ঘন কুয়াশার মধ্যে ১৭০টি গাড়ির ‘পাইল-আপ’ হয়: প্রাণ হারান দশজন, আহত হন ১২৩ জন৷ ২০০৯ সালেও ২৫৯টি গাড়ির এভাবে একসঙ্গে ধাক্কা লাগে, কিন্তু আশ্চর্য, সেবার কেউ প্রাণে মারা যাননি৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Iwersen
টোল ট্যাক্স
২০০৫ সাল থেকে জার্মানিতে ভারী লরি ও ট্রাকের জন্য ‘টোল’ আদায় করা শুরু হয়েছে৷ ইউরোপের নানান দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ট্রাক জার্মানির অটোবান হয়ে ট্রানজিট করে, যার ফলে জার্মান অটোবানের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ে৷ সেটা উশুল করার জন্য ‘টোল’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেন জার্মান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অটোবানের সুবিধা
মুখ্য চ্যানেলগুলোর পাশে বিপদে-আপদে গাড়ি দাঁড় করানোর জায়গা থাকে৷ কয়েক কিলোমিটার পর পর থাকে এমার্জেন্সি টেলিফোন৷ প্রত্যেক ২০ থেকে ৪৫ মিনিট ড্রাইভের পর পাওয়া যায় (অটোবানের লাগোয়া) একটি পেট্রোল পাম্প, যেখানে টয়লেট, মোটেল ও রেস্টুরেন্টেরও ব্যবস্থা থাকে৷