1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে মাওবাদী সংকট

২৩ এপ্রিল ২০১২

অপহরণ ও পণবন্দি নাটক যেন মাওবাদীদের দাবি আদায়ের হাতিয়ার হয়ে উঠছে৷ এটাকে মাওবাদীদের জনভিত্তি আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছে সুশীল সমাজ৷ ছত্তিসগড় রাজ্যের সুকুমা'র জেলাশাসক আলেক্স পল মেননকে এখনো মুক্তি দেয়নি মাওবাদীরা৷

ছবি: AP

ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার এলাকার সুকমা'র জেলাশাসক আলেক্স পল মেনন গত শনিবার মাওবাদীদের হাতে পণবন্দি হন৷ ছত্তিশগড় সরকার তাঁর মুক্তির জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও এখনো তাঁকে ছাড়ানো যায়নি৷ মুক্তির শর্ত, ৮জন মাওবাদীকে মুক্তি দিতে হবে এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘গ্রিন হান্ট' অভিযান সরকারকে বন্ধ রাখতে হবে৷ দাবি মানার চূড়ান্ত সময়সীমা আগামী পরশু৷

মুক্তি পাওয়া ইটালীয় পর্যটকছবি: AP

সুকমা'র জেলাশাসক হিসেবে আলেক্স মেনন প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়নে প্রশংসনীয় কাজের জন্য জনপ্রিয়৷ তাঁর অপহরণের প্রতিবাদে গতকাল সুকুমা'য় পালিত হয় সর্বাত্মক হরতাল৷ এতে মনে করা হচ্ছে, মাওবাদীদের দিক থেকে সাধারণ মানুষ ক্রমশই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে৷ বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মীনাক্ষী গাঙ্গুলি ডয়চে ভেলেকে সেকথাই বললেন৷ মাওবাদীরা নিজেদের মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন বলে জাহির করে৷ এখন তাঁদের কাজকর্ম অপরাধের পর্যায়ে চলে এসেছে৷ এখন তাঁরা প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করছেনা৷ পণবন্দি কোরে ব্ল্যাকমেল করছে৷ ‘নিজেদের লোকেদের ছেড়ে দাও৷ নিরাপত্তা বাহিনী হটাও'৷ বলছেনা ‘স্কুল কর, হাসপাতাল বানাও'৷

উল্লেখ্য, জেলাশাসক গ্রাম সুরজ অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দিতে মাওবাদী অধ্যুষিত এক গ্রামে গিয়েছিলেন৷ এই কর্মসূচির লক্ষ্য গ্রাম ও সরকারি প্রশাসনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়া৷

উল্লেখ্য, গতমাসে দুজন ইটালীয় পর্যটক এবং ওড়িশার শাসক দলের একজন বিধায়ককে পণবন্দি করে মাওবাদীরা৷ ইটালীয় নাগরিকরা ছাড়া পেলেও বিধায়ক এখনো পণবন্দি মাওবাদীদের হাতে৷ ঐ বিধায়কের মুক্তির শর্ত নিয়ে মাওবাদী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভাজন সামনে এসেছে৷ প্রথম আসে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতা কাণ্ডে৷ এক শাখা এর দায়িত্ব স্বীকার করে, অন্য শাখা তার সমালোচনা করেছিল৷ এক শাখার দাবির সঙ্গে অন্য শাখার মতপার্থক্য৷ সংগঠনের দিক থেকেও তারা পৃথক৷

হঠাৎ মাওবাদীদের হাতে পণবন্দি হবার ঘটনা বেড়ে যাবার কারণ কী? সমাজসেবীদের মতে, মাওবাদীদের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত না হয় ধরা পড়েছে৷ কার্যত তারা নোঙরহীন৷ তাই জেলবন্দি নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে আনতেই এই অপহরণ কৌশল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ