1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিফ্রান্স

মাক্রোঁর যুক্তরাষ্ট্র সফর : ২১৯ বছরের বন্ধুত্ব ‘পুনরুদ্ধার'

৩০ নভেম্বর ২০২২

দু দেশের রয়েছে ২০০ বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে চলে আসা বন্ধুত্ব৷ কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছে৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কাঁটা হয়ে থাকা বিষয়গুলো দূর করতে এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ৷

এমানুয়েল মাক্রোঁ ও জো বাইডেন
এমানুয়েল মাক্রোঁ ও জো বাইডেনছবি: Susan Walsh/AP Photo/picture alliance

কী কী থাকছে মাক্রোঁর এই রাষ্ট্রীয় সফরের আলোচ্যসূচিতে? তার সরকারের পক্ষ থেকে এ  বিষয়ে এখনো খোলাখুলি কিছু জানানো হয়নি৷ তবে গত সপ্তাহে মাক্রোঁ সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সফর৷ এ সফরে অংশীদারিত্বের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে৷ তাছাড়া আমরা ফ্রাঙ্কো-জার্মান প্রকল্প এবং ইউরোপীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলবো৷''

জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন মাক্রোঁ৷

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সাক্ষাতে করোনা সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সসহ সারা ইউরোপে দেখা দেয়া অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেখানে সংকট নিরসনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ও গুরুত্ব পাবে৷ তবে প্যারিসকেন্দ্রিক ইকোল পলিটেকনিক-এর ট্র্যান্স-আটলান্টিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইভস বয়ার মনে করেন, বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার এ সুযোগে মাক্রোঁ এইউকেইউএস, বা অকাস চুক্তি অবসানের চেষ্টাও খুব জোরালোভাবে করবেন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘মাক্রোঁর এ সফর তথাকথিত অকাস চুক্তি নামের অস্বস্তিতে যবনিকা টানবে, যদিও এর মাধ্যমে বিষয়টি যে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে তা একেবারেই বলা যাবে না৷''

১৮০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লুজিয়ানা বিক্রি করেছিলেন নাপোলিয়ন বোনাপার্টে৷ সেই যে বন্ধুত্বের শুরু, গত বছর পর্যন্ত সেই সম্পর্ক পুরোপুরি অটুট ছিল৷

কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া ত্রিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি অকাস স্বাক্ষর করলে ফ্রান্স-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে চিড় ধরে৷ কারণ, অকাস চুক্তিতে বলা হয়, পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরি এবং মোতায়েনের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সার্বিক সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য৷ এর ফলে জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা ন্যাভাল গ্রুপের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার একটি চুক্তি কার্যত অকার্যকর হয়ে যায়৷ কারণ, সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল,অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে সার্বিক সহায়তা করবে ফ্রান্সের ন্যাভাল গ্রুপ৷ নাপোলিয়নের সময় থেকে চলে আসা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে পাশ কাটিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনকে ভালোভাবে নিতে পারেনি ফ্রান্স৷ ফ্রান্সের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইভস লা দ্রিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণকে ‘পেছন থেকে ছুরি মারা'র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন৷ ইভস বয়ার মনে করেন, মাক্রোঁর এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রকে অকাস চুক্তি থেকে সরিয়ে ২১৯ বছরের বন্ধুত্বে ফিরিয়ে আনবে৷

লিসা লুইস/ এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ