1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

মাক্রোঁর প্রস্তাবে দুই বিরোধী দলের 'না'

২২ জুন ২০২২

বিরোধীদের সঙ্গে মাক্রোঁর আলোচনা শুরু। কিন্তু মাক্রোঁর দলের সঙ্গে সরকারে যেতে রাজি নয় দুই বিরোধী দল।

রক্ষণশীল নেতা জেকবের সঙ্গে মাক্রোঁ।
রক্ষণশীল নেতা জেকবের সঙ্গে মাক্রোঁ। ছবি: Mohammed Badra/AFP /Getty Images

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তারপর সরকার গঠনের জন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন মাক্রোঁ। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর এলআর(দ্য রিপাবলিকান) নেতা জেকব বলেছেন, তারা বিরোধী আসনেই বসবেন। কারণ, জনগণ সেই রায় দিয়েছে। জেকব বলেছেন, প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে মাক্রোঁ ছিলেন খুবই উদ্ধত।

তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ''আমরা সংস্থাকে অচল করতে চাই না।'' এলআরের পছন্দের নীতি নিয়ে চললে সংখ্যালঘু সরকারের আনা কিছু বিলে তারা সমর্থন জানাতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জেকব। জেকবের দল এবার ৬১টি আসন পেয়েছে। ফলে তার সমর্থন পেলে বিল পাস করতে সরকারের আর কোনো অসুবিধা হবে না। কিন্তু জেকবের শর্ত হলো, তার দলের পছন্দের নীতি নিয়ে সরকারকে চলতে হবে।

বামপন্থিদের নেতৃত্বে নুপেস জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও মাক্রোঁর কথা হয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বামপন্থি জোটের নীতি মেনে পদক্ষেপ নিলে মাক্রোঁর দলের নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন করতে তাদের কোনো অসুবিধে নেই। যেমন, বামপন্থি জোটের দাবি, মাসিক ভাতা এক হাজার তিনশ ইউরো থেকে বাড়িয়ে এক হাজার পাঁচশ ইউরো করতে হবে। এই পদক্ষেপ নিলে বামপন্থি জোট সমর্থন করবে।

প্রশ্ন হলো, তাহলে কি মাক্রোঁ সংখ্যালঘু সরকার চালাবার কথা ভাবছেন বা ওইদিকেই যেতে চাইছেন? সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিল নিয়ে সরকারকে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাদের সমর্থন পেতে হবে। মাক্রোঁ এবার অতি-দক্ষিণপন্থি নেতা ল্য পেনের সঙ্গে কথা বলবেন। আর মাক্রোঁ যদি বিরোধীদের সমর্থন না পান, তার সংস্কার কর্মসূচিতে বিরোধীরা সায় না দেন, তাহলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেবে। সেক্ষেত্রে মাক্রোঁকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ