1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাক্রোঁ, ট্রাম্পের দহরম-মহরম

১৪ জুলাই ২০১৭

উভয় প্রেসিডেন্ট তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছেন ও সিরিয়ায় একটি নতুন উদ্যোগের ব্যাপারে একমত হয়েছেন৷ ট্রাম্প এমন আভাসও দিয়েছেন যে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার মত বদলাতে পারে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Herman

১৪ই জুলাই ‘বাস্তিল ডে’, অর্থাৎ ফ্রান্সের জাতীয় দিবস৷ বাস্টিল ডে’র কুচকাওয়াজে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর অতিথি এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের দু' দিনের ফ্রান্স সফরের প্রথম দিনেই মাক্রোঁ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন যে, তিনি ইউরোপ ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চান৷

মাক্রোঁ ফ্রান্স ও অ্যামেরিকার সম্পর্কের সুদীর্ঘ ইতিহাস – বিশেষ করে ১০০ বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদানের কথা স্মরণ করেন৷ যুগপৎ তিনি একাধিক বিষয়ে, যেমন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির ক্ষেত্রে, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যের কথা উল্লেখ করেন বটে, কিন্তু তা যে বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর মনোভাব থেকে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন৷

জলবায়ু চুক্তি সম্পর্কে এই মতপার্থক্য আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার পন্থা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনার পথে বাধা সৃষ্টি করবে না বলে মাক্রোঁ আস্থা প্রকাশ করেন৷ অপরদিকে ট্রাম্পকে অপ্রত্যাশিতভাবে বলতে শোনা যায়, ‘‘প্যারিস চুক্তির ব্যাপারে কিছু একটা ঘটতে পারে’’ – ‘‘দেখা যাক কি ঘটে’’৷

বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ লক্ষ্যের’ কথা উল্লেখ করে মাক্রোঁ বলেন, ‘‘ইরাক-সিরিয়া প্রসঙ্গে আমরা পূর্বাপর একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে, বিশেষ করে যুদ্ধ পরবর্তী পর্যায়ের জন্য একটি রোডম্যাপ সৃষ্টি করার ব্যাপারে একমত৷’’ দৃশ্যত উভয় পক্ষের কূটনীতিকদের সক্রিয় হতে বলা হয়েছে, যাতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফ থেকে একটি ‘বাস্তব উদ্যোগ’ নেওয়া যেতে পারে৷

পরে মাক্রোঁকে বলতে শোনা যায় যে, তাঁর সরকার আগামী বছর থেকে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে শুরু করবে, যাতে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপি-র দুই শতাংশে পৌঁছায়৷ ট্রাম্প ন্যাটো সহযোগীদের কাছ থেকে ঠিক তা্-ই দাবি করে আসছেন৷

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়াকে প্যারিসের কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হয়, তার মধ্যে ছিল লেজাঁভালিদ৷ সেখানে সম্রাট নেপোলিয়নের সমাধি আছে৷

ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতি সত্ত্বেও মাক্রোঁ অতীতে বার বার বলে এসেছেন, ‘‘আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রয়োজন৷’’ বৃহস্পতিবার উয়েস্ত-ফ্রঁস পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে মাক্রোঁকে এ কথা আবার বলতে শোনা গেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও বৃহস্পতিবার প্যারিসে মাক্রোঁর সঙ্গে তাঁর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অনুরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন৷ ম্যার্কেল ফরাসি-জার্মান মন্ত্রীসভার ১৯তম যৌথ বৈঠক উপলক্ষ্যে প্যারিস যাত্রা করেছিলেন৷

এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

Presidents Macron hosts and President Trump

00:38

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ