পূর্ব আফ্রিকার দু'টি দেশ বেনিন আর টোগোর মধ্যেকার মোনো নদী৷ সেই নদীর মোহনা প্রকৃতির একটি স্বর্গরাজ্য, যাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন সিলভ্যাঁ দাভো'র মতো পরিবেশ সংরক্ষণকারীরা৷
বিজ্ঞাপন
স্বর্গরাজ্য বাঁচাচ্ছে মর্ত্যের মানুষ
03:24
সাত ঘণ্টা ধরে মাছ ধরেছেন এঁরা৷ এবার প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা ড্র্যাগনেট, অর্থাৎ টানা জালটিকে সমুদ্র থেকে টেনে বার করছেন৷ তবে মাছগুলো একেবারেই ছোট৷ অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের অনেক জায়গাতেই অত্যধিক মাছ ধরার ফলে মাছ প্রায় উধাও৷
সিলভ্যাঁ দাভো একটি পরিবেশ সুরক্ষা সংগঠনের হয়ে কাজ করেন৷ সিলভ্যাঁ চান যে, নদীর মোহনার এই অংশটায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হোক, যাতে মাছেরা ডিম পাড়ার সুযোগ পায়৷ ইকো-বেনিন সংস্থার সিলভ্যাঁ দাভো জানালেন, ‘‘আমাদের প্রস্তাব হলো, নদীর মোহনার দুই কিলোমিটারের মধ্যে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হোক, যাতে মাছেরা মোনো নদী আর সাগরের মধ্যে যথেচ্ছ চলাফেরা করতে পারে৷ আপাতত আমরা জেলেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটা সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি৷''
বর্ষায় আরো সুন্দরী সুন্দরবন
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট’ বা শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন৷ এই বনের প্রধান গাছটির নাম সুন্দরী৷ আর তার থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ৷ ঋতুতে ঋতুতে এ বনের চরিত্র বদলায়৷ তবে সুন্দরবন সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বর্ষাকালে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দিলাম মেপে’
বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে সুন্দরবনে বর্ষা আসে মে মাসে আর সেই বর্ষাকাল চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ অবশ্য জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত এখানে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়৷ সুন্দরবন অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬৪০-২০০০ মিমি৷ তবে বনের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে বেশি৷
ছবি: DW/M. Mamun
দিনে দু’বার জোয়ার-ভাটা
প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হয় সুন্দরবনে, যা কিনা বাংলাদেশ ও ভারত – প্রতিবেশী এই দুই দেশের বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত৷ এখানে সবচেয়ে বড় জোয়ার হয় পূর্ণিমা ও অমাবস্যায়৷ তবে বর্ষাকালে জোয়ারের উচ্চতা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ এ সময় বনের বেশিরভাগ অংশই প্লাবিত হয়, ডুবে যায় সবকিছু৷
ছবি: DW/M. Mamun
খাবারের সন্ধানে হরিণসাবক
জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হলে হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাগুলোয় আশ্রয় নেয়৷ এরপর জোয়ারের পানি নেমে গেলে খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ে তারা৷ আর ঠিক সেই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বহু পর্যটক – বন্যপ্রাণী দেখবেন বলে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ষার জন্য বিশেষ ‘প্যাকেজ’
বর্ষায় সুন্দরবনে পর্যটকের আনাগোনা বেশ কম৷ এ বনে পর্যটনের মৌসুম মূলত নভেম্বর থেকে মার্চ৷ তবে বর্ষার সুন্দরবনকে দেখতে কিছু কিছু ভ্রমণপিয়াসী মানুষ এখানে আসেন বটে৷ আর সেই সব পর্যটকদের চাহিদার কারণেই সম্প্রতি দু-একটি বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থা বর্ষাকালে সুন্দরবন ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে, দিচ্ছে বিশেষ ‘প্যাকেজ’৷
ছবি: DW/M. Mamun
তারপরেও পরিত্যক্ত বহু এলাকা
বর্ষা মৌসুমে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের একটি পর্যটক ট্রেল৷ এ সময়ে পর্যটকের যাতায়াত না থাকায় এই হাঁটা পথের ওপরে জমা হয়েছে বিভিন্ন গাছের ফল৷ আসলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য হলেও, বেশ কিছু ফল গাছও আছে সুন্দরবনে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরী বন সুন্দরবন
জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ভেসে আসে এ বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী গাছের ফল৷ ভেসে যায় আশেপাশের কোনো এলাকায়৷ তবে সুন্দরী গাছের বন সুন্দরবনে এমন একটা দৃশ্যের দেখা পাওয়া যায় কেবলমাত্র বর্ষাকালে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জঙ্গলের বিস্তার, সুন্দরেরও
জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা সুন্দরী ফলের অংশ বিশেষ ভাটার সময় জঙ্গলে থেকে যায়৷ তারপর সেখান থেকেই অঙ্কুর গজায়, গাছ হয়, ফুল ফোটে, ফল দরে৷ এভাবেই বিস্তার ঘটে সুন্দরী গাছ এবং তার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনের৷ প্রকৃতির এ নিয়মেই বেড়ে উঠেছে সুন্দরবনের বেশিরভাগ বনাঞ্চল৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরবনের বানর
সুন্দরবনের অন্যতম বাসিন্দা বানর৷ ম্যানগ্রোভ বা শ্বাসমূলীয় এই বনে বেড়াতে গেলে তাই এদের চোখে পড়বেই৷ কখনও একা একা, আবার কখনও দঙ্গল বেধে ঘুরে বেড়ায় এরা৷ তবে বৃষ্টির সময় এদের গাছের ডালেই আশ্রয় নিতে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
চলে লুকোচুরির খেলা...
বর্ষাকালে সুন্দরবনে চলে রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরি৷ ঝকঝকে রোদের মধ্যে হঠাৎ করেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যায় এখানে৷ গাড় হয়ে ওঠে নদীর জল, বনের সবুজে পড়ে ছায়া৷ কখনো কখনো মেঘের ভেতর থেকেই সূর্য উঁকি মারে, অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হয় বনজুড়ে৷
ছবি: DW/M. Mamun
‘লাল-নীল-সবুজের মেলা বসেছে’
কখনও আবার তুমুল বৃষ্টিপাতের মধ্যে হঠাৎ করেই ঝকঝকে নীলাকাশ দেখা যায় সুন্দরবনে৷ বৃষ্টিধৌত বনে সূর্যের আলো তখন ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করে৷ ঝলমল করে ওঠে নদী, বনের গাছ৷ বৃষ্টি একটু ধরলে আস্তে আস্তে নদীর ধারে চড়তে আসে বানর, হরিণ, এমনকি বাঘ মামাও৷
ছবি: DW/M. Mamun
বর্ষার এক ভিন্ন চিত্র
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া বন্যপ্রাণী অভয়রাণ্যে বৃষ্টিস্নাত এক ‘গ্রেটার ইয়োলোনেইপ’ বা বড় হলদেসিঁথি কাঠঠোকরা৷ নানা রকম পাখির নিরাপদ আবাসস্থল এই সুন্দরবন৷ প্রায় ৪০০ প্রজাতির আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি রয়েছে সুন্দরী গাছের এ বনে৷
ছবি: DW/M. Mamun
সুন্দরবনের সুন্দরী হাঁস
সুন্দরবনের কটকা বনাঞ্চলের বড় কটকার খালে চোখে পড়ে ‘মাস্কড ফিনফুট’ বা সুন্দরী হাঁস৷ এর আরেক নাম কালোমুখ প্যারা পাখি৷ বাংলাদেশের সুন্দরবন ও মিয়ানমারে এ হাঁসের বিচরণ সবচেয়ে বেশি৷ সারা পৃথিবীতে বর্তমানে এ পাখির সংখ্যা এক হাজারেরও কম৷ লাজুক স্বভাবের সুন্দরী হাঁসের বৃহত্তম আবাসস্থলও সুন্দরবন৷
ছবি: DW/M. Mamun
জেলেদের জীবন
সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী জয়মনি জেলে পল্লীর পাশে পশুর নদীতে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করছেন জেলেরা৷ সুন্দরবনের পাশে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ এ জেলে পল্লীর জেলেরা সুন্দরবন ও তার আশেপাশে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন৷
ছবি: DW/M. Mamun
ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের পর...
সুন্দরবনের শেলা নদীতে চলছে তেলবাহী ট্যাংকার ও মালবাহী জাহাজ৷ গত ডিসেম্বরে প্রায় ৫৮ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে জাহাজ ডুবির পরও এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়নি৷ এছাড়া সাম্প্রতিক বাঘশুমারিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার কারণ হিসেবেও এই নৌ-রুটটিকে দায়ী করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
14 ছবি1 | 14
সৈকতভূমি আর তার পিছনের বালিয়াড়িগুলি এক ধরনের প্রাকৃতিক স্বর্গ – সামুদ্রিক কাছিমদের পক্ষেও৷ বেনিন ও টোগো, এই দু'টি প্রতিবেশি দেশে বহু বছর ধরে কাছিমরা সুরক্ষিত৷ ভবিষ্যতে স্থানটি একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে পরিণত করা হবে৷
বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ
মোনো নদীর মোহনার বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভটিকে ভালোভাবে দেখতে হলে আকাশে উঠতে হবে৷ বেনিন আর টোগো, দু'টিই খুব ছোট দেশ, দু'টি দেশ মিলিয়ে প্রস্থে ১০০ কিলোমিটারের বেশি নয়৷ মাঝখানে মোনো নদী৷ ন'টি স্থান মিলে জন্ম নেবে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ৷
শুরুতেই বেনিন-এর কুতুনু শহর, শহর তো নয়, মহানগরী, লক্ষ লক্ষ মানুষের বাস৷ ক্রমেই বসতি বেড়ে চলেছে, উপকূল পর্যন্ত৷ সৈকতের পরেই শুরু হয়ে যায় উপকূলের সুরক্ষিত অংশ৷ একটি অসাধারণ হ্যাবিটাট৷ যেখানে মোনো নদী সাগরে পড়ছে, সেখান থেকেই ম্যানগ্রোভের শুরু৷ সুন্দরবনের মতো৷
সিলভ্যাঁ দাভো ও তার পরিবেশ সুরক্ষা সংগঠন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বাঁচাতে সচেষ্ট৷ তারা ইতিমধ্যে ৪৫ হেক্টার নতুন ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছেন৷ এছাড়া স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে, মাছেদের ডিম পাড়ার এলাকাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন৷
আফ্রিকায় খরা: ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ভয়
বৃষ্টি নেই, ফসল নেই, আফ্রিকায় বহু দশকের মধ্যে চরম খরায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ বিপন্ন, বিশেষ করে ইথিওপিয়ায়৷
ছবি: Reuters/T. Negeri
বৃষ্টির অপেক্ষায়
ক্যানিস্টারগুলো খালি, অথচ চতুর্দিকে কোথাও এক ফোঁটা খাবার জল নেই৷ গত ৩০ বছরে ইথিওপিয়ায় এরকম খরা হয়নি৷ মাসের পর মাস বৃষ্টি নেই৷ জাতিসংঘ বলছে, এক কোটি মানুষের জন্য অবিলম্বে খাদ্য চাই, এমনকি ক্ষুধিতদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে৷ আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ৷
ছবি: Reuters/T. Negeri
মরছে পশু
ইথিওপিয়ার অধিকাংশ মানুষ চাষবাস করে খান৷ গরুবাছুর পুষে সারা পরিবারের পেট চলে৷ শেষবার নাকি বৃষ্টি হয়েছিল রমজানের সময়, জানালেন আফার অঞ্চলের এক খামারচাষি৷ কিন্তু রমজান তো ছিল জুলাই মাসে! ‘তখন থেকে কোনো বৃষ্টি হয়নি৷ পানি নেই, মাঠে ঘাস নেই৷ মরছে জন্তু-জানোয়ার৷’
ছবি: Reuters/T. Negeri
বাচ্চাদের বিভীষিকা
এবারকার খরা যেন ১৯৮৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যেবার ইথিওপিয়ায় দশ লাখ মানুষ প্রাণ হারান৷ এখন দেশে আবার খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, সবচেয়ে ছোটরাই যা-তে কষ্ট পাচ্ছে৷ ইথিওপিয়ার সরকার বলছেন, চার লক্ষ শিশু এমনভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে যে, তাদের ডাক্তার দেখানো দরকার৷
ছবি: Reuters/T. Negeri
এল নিনিও নির্মম
জিম্বাবুয়েতে ভুট্টার চাষে এবার শুধু কিছু শুকিয়ে যাওয়া ভুট্টার দানা পাওয়া গেছে – যার একটা কারণ হলো এল নিনিও-র প্রত্যাবর্তন৷ বিশ্বের অন্যত্র এই এল নিনিও-র কারণেই আবার বন্যা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/P. Bulawayo
অবোলা জীব
এই গরুটির আর দাঁড়িয়ে ওঠার ক্ষমতা নেই৷ জিম্বাবুয়ের মাসভিঙ্গো প্রদেশে খরার ছবি৷ খামারের লোকজন অর্ধমৃত জীবটির পায়ের ফাঁকে গাছের ডাল ঢুকিয়ে তাকে খাড়া করার চেষ্টা করছেন৷ ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়েতে বৃষ্টিপাত হয়েছে তার আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম৷ মাটি শুকনো, ফুটিফাটা৷
ছবি: Reuters/P. Bulawayo
নদী যখন শুকিয়ে যায়
এটা মাঠ নয়, ব্ল্যাক উম্ফোলোজি নদীর খাত৷ নদীটি দক্ষিণ আফ্রিকার ডার্বান শহরের উত্তরপূর্বে৷ সাধারণত নদীতে জল থাকে, কিন্তু এবার তা পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা নদীবক্ষে গর্ত খুঁড়ে চুঁইয়ে ওঠা পানি সংগ্রহ করছেন৷
ছবি: Reuters/R. Ward
বৃষ্টি নেই, ফসল নেই, তাই দাম বাড়ছে
মালাউয়ি ঠিক ইথিওপিয়া কিংবা জিম্বাবুয়ের মতোই খরার প্রকোপে৷ রাজধানী লিলংওয়ের বাজারে ভুট্টার দানার মতো খাদ্যশস্যের দাম চড়েছে অভূতপূর্বভাবে৷ ফসল খারাপ হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছে৷ দাম এমনভাবে বেড়েছে যে, স্থানীয় মানুষদের সামর্থ্যে কুলোচ্ছে না৷
ছবি: Reuters/M. Hutchings
7 ছবি1 | 7
সিলভ্যাঁ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে একটি টুরিস্ট হোস্টেল তৈরি করেছেন৷ এলাকার মহিলারাই সেই হোস্টেলে রান্নাবান্না করেন৷ সিলভা জানালেন, ‘‘এটা সেই ধরনের টুরিজম, যা পরিবেশকে শোষণ না করে, শ্রদ্ধা করে চলে৷ হোস্টেলটা স্থানীয় মালমশলা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ আমরা এই ম্যানগ্রোভ এলাকার ঐশ্বর্য ও অনন্যতা দেখাতে চাই, সেজন্য আমরা টুরিস্টদের জন্য গাইডেড টুরের ব্যবস্থা রেখেছি৷''
ইতিমধ্যেই টুরিস্টরা হোস্টেলে ঘর বুক করতে শুরু করেছেন৷ তার মধ্যে পড়বে জেলেদের সঙ্গে দেখা করা, আর বোটে করে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ঘুরে দেখা৷
এই স্বর্গরাজ্য দেখতে ইচ্ছে করছে বন্ধু? আপনার মতে পৃথিবীর স্বর্গরাজ্য কোনটি? জানান নীচে...