1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

মাঝরাতে প্যারিসের আলো নিভিয়ে দেন যেসব ক্রীড়াবিদ

২০ জানুয়ারি ২০২৩

একই সঙ্গে শরীরচর্চা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ কি সম্ভব? প্যারিসের একদল ক্রীড়াবিদ এক ঢিলে দুই পাখি মারার পথ বেছে নিয়েছেন৷ জ্বালানির অপচয় কমাতে তাদের অভিযান এমনকি পৌর কর্তৃপক্ষেরও সমর্থন আদায় করছে৷

একই সঙ্গে শরীরচর্চা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ কি সম্ভব? প্যারিসের একদল ক্রীড়াবিদ এক ঢিলে দুই পাখি মারার পথ বেছে নিয়েছেন৷ জ্বালানির অপচয় কমাতে তাদের অভিযান এমনকি পৌর কর্তৃপক্ষেরও সমর্থন আদায় করছে৷
ছবি: Benoit Tessier/REUTERS

পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্যারিসের ‘অন দ্য স্পট' নামের সংঘের সাহস ও উদ্যমের শেষ নেই৷ পার্কুর ক্রীড়াবিদ হিসেবে সদস্যরা সহজেই রাতে দেওয়াল বেয়ে উঠে দোকানের শো-কেস ও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের বাতি নিভিয়ে দেন৷ পার্কুর ক্রীড়াবিদ হিসেবে এমেরিক কোত্যাঁ এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, ‘‘জ্বালানির অপচয় এড়াতেই আমরা এই কাজ করি৷ মনে রাখতে হবে, বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৭০০ কোটি৷ সবাই যদি ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে অনেক পরিবর্তন আনতে পারি৷ সেটাই আমাদের বার্তা৷ কাজটা করতেও ভালো লাগে৷ আমরা চ্যালেঞ্জ ভালোবাসি এবং সন্ধ্যাটা সুন্দর কাটে৷ সেটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি৷''

২০২০ সাল থেকে এই গোষ্ঠী রাত একটা নাগাদ প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে মিলিত হয়৷ তারপর আলোকিত শো-কেসের সন্ধানে শিকার অভিযান শুরু হয়৷ তবে সেই প্রক্রিয়ায় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়৷ ‘অন দ্য স্পট' উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা কেভিন হা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আমাদের অভিযান চলে৷ জানালার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, আমরা সে দিকে নজর রাখি৷ ল্যাম্পপোস্টের মতো নাগরিক পরিষেবা কাঠামোয় আমরা হাত দেই না৷ ওষুধের দোকান বা পুলিশ স্টেশন থেকেও দূরে থাকি৷ তাছাড়া নিজেদের চোট লাগতে পারে, এমন কোনো কাজ আমরা করি না৷''

সহজেই কয়েকটি আলোর সুইচের নাগাল পাওয়া যায়৷ তবে চার মিটার উঁচু পর্যন্ত সুইচ পর্যন্ত পৌঁছতে এই গোষ্ঠীর কোনো সমস্যা হয় না৷ ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিজেদের দক্ষতাই তাদের সম্বল৷ বিপদ এড়াতে বৃষ্টি বা বরফের সময় তাঁরা সেই কাজ করেন না৷ এমেরিক কোত্যাঁ বলেন, ‘‘পুলিশের সামনে পড়লে আমরা একটু আলোচনা করে বুঝিয়ে বলি, কেন এই কাজ করছি৷ কোনো কিছু নষ্ট করি না বলে সাধারণত আমাদের কোনো সমস্যা হয় না৷ এটা সদিচ্ছার প্রশ্ন এবং ভালো ও অর্থবহ কাজ৷''

প্যারিসের পরিবেশ সচেতন ক্রীড়াবিদেরা

04:23

This browser does not support the video element.

৩০ বছর বয়সি কেভিন হা এই গোষ্ঠীর আয়োজক৷ ২০০৭ সাল থেকে এই ইঞ্জিনিয়ার পার্কুর ক্রীড়া চর্চা করছেন৷ অনুশীলনের লক্ষ্যে দিনের বেলায় তিনি প্যারিসের এক বহুতল ভবনের উঠানে সমমনস্ক মানুষের সঙ্গে মিলিত হন৷ দিনে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা কসরৎ করেন তিনি৷ কেভিন হা বলেন, ‘‘সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রেরণা এবং এই ক্রীড়া আমাদের সংঘের ডিএনএ-ও বটে৷ ইকোলজির প্রতি আমাদের সবারই টান রয়েছে, এবং এই সমস্যা সবাইকেই প্রভাবিত করে৷ তবে ভুললে চলবে না যে আমরা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী নই৷ চরমপন্থি পরিবেশবাদীদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷ আমাদের কাছে ক্রীড়াই মূলমন্ত্র৷''

আজ রাতেও কেভিন হা-র নেতৃত্বে গোষ্ঠীর সদস্যরা মিলিত হচ্ছেন৷ হাতে বেশ কিছু কাজ রয়েছে৷ বেশিরভাগ পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা এই গোষ্ঠীর কাজকে সমর্থন করেন৷

প্যারিস প্রেম-ভালোবাসা ও আলোকসজ্জার শহর হিসেবে পরিচিত৷ ২০১৮ সালের এক বিধি অনুযায়ী রাত একটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত শো-কেসের আলোকসজ্জা ও হোর্ডিং-এর আলো বন্ধ রাখার কথা৷ সে কারণে প্যারিসের পৌর কর্তৃপক্ষও এই ক্রীড়াবিদদের কাজকে স্বাগত জানায়৷ পৌরসভার কাউন্সিলার আন্ সুইরি বলেন, ‘‘এটা ঠিক পুরোপুরি আইনি পথ না হলেও তারা তো কোনো কিছু নষ্ট করছে না৷ সচেতনতা বাড়ানোর ভালো উদ্যোগ৷ তাছাড়া আমরা নিজেরা পোস্টার ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলো জ্বালিয়ে রাখার সমস্যা সম্পর্কে বেশি কার্যকর হতে পারতাম না, যেমনটা এই অভিযান সম্ভব করছে৷''

জলবায়ু সংরক্ষণের জন্য ক্লাইম্বিং শখ হিসেবে আদর্শ৷ কেভিন হা ও তাঁর গোষ্ঠীর সদস্যরা ক্রীড়ার প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে এক মেহৎ উদ্দেশ্যের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন৷

ক্রিস্টিনে লেবার্ট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ