1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাঠের জন্য কান্না

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ মার্চ ২০১৪

ঢাকায় খেলার মাঠগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে৷ কোনটি দখল করছে ব্যক্তি আবার কোনটি ক্লাবের নামে দখল করে প্রভাবশালীরা সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দিচ্ছেনা৷ সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করে চালু করা হচ্ছে নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷

Proteste in Dhaka
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

যার সর্বশেষ শিকার ঢাকার ধানমণ্ডি মাঠ৷ ধানমণ্ডি মাঠ রক্ষার জন্য শুক্রবার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপাসহ ২৫টি পরিবেশ, সামাজিক এবং শিশু সংগঠন মাঠের সামনের সড়কে আয়োজন করে সমাবেশ ও মানববন্ধন৷ আর সেই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মাঠের জন্য কেঁদে ফেলে ধামন্ডিরই একটি স্কুলের শিক্ষার্থী তন্ময় (১২)৷ তার কথা ‘‘স্কুলে খেলার মাঠ নাই৷ আবার এই মাঠে খেলতে এলেও দারোয়ান ঢুকতে দেয়না৷ তারপরও ঢুকতে চাইলে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়৷ তাহলে আমরা কোথায় যাব, কোথায় খেলাধুলা করব? কতক্ষণ আর ঘরে বসে কম্পিউটারে গেমস খেলা যায়!'' তার একটিই কথা, ‘‘ভবন চাইনা, চাই খেলার মাঠ৷'' আর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাবরেজ বলেন, ‘‘স্কুল জীবনে ধানমণ্ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠ পাইনি৷ খেলার মাঠ বলতে এই ধানমণ্ডি মাঠকেই চিনি৷ কিন্তু ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে সেই মাঠ৷''

ধানমণ্ডি মাঠটি গত কয়েক বছর ধরে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব নামে একটি ক্লাবকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য৷ কিন্তু তারা মাঠটিতে এখন জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছে৷ বাপা-র সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, ‘‘আদালতের নির্দেশনা মানছেনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ৷ মাঠটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে আদালতের নির্দেশনা আছে৷''

শিক্ষাবিদ এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক আব্দু্ল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত ছোট ভাই শেখ জামালের নামে ‘শেখ জামাল ক্লাব'-এর কথা বলে একটি গোষ্ঠী মাঠ দখলের পাঁয়তারা করছে৷ তার এরইমধ্যে মাঠে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে৷ তাই আমরা এই মাঠ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করছি৷''

তবে ক্লাবের সভাপতি মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের অবশ্য ডয়চে ভেলে-র কাছে দাবি করেন, ‘‘তারা কোন স্থাপনা নির্মাণ করছেন না৷ মাঠটিকে সরকার একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রূপান্তর করছে৷ তারই অংশ হিসেবে মাঠের একাংশে ২টি টেনিস কোর্ট, ২টি ব্যাডমিন্টন কোর্ট এবং একটি বাস্কেটবল কোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে৷ আর মাঠের অপর অংশ খেলাধুলার জন্য মাঠ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে৷'' তিনি দাবি করেন, ‘‘এই মাঠে জনসাধারণকে প্রবেশে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না৷ আর সবাই এটা ব্যবহার করতে পারবেন৷'' তবে মাঠের মালিক ঢাকা সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, এখানে কোন ধরনের কোন নির্মাণ কাজের খবর তাদের জানা নেই৷

শিশুদের প্রশ্ন, তাহলে আমরা কোথায় যাব, কোথায় খেলাধুলা করব?ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

এদিকে বাপা-র যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলেকে জানান, শুধু ধানমণ্ডি মাঠ নয়, ঢাকার ছোট-বড় প্রায় শতাধিক খেলার মাঠ দখল হয়ে গেছে৷ আর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন জানায়, তাদের হিসেবে তাদের ৫০টি মাঠ এখন অবৈধ দখলদারদের কব্জায় চলে গেছে৷ এর মধ্যে ১০টি মাঠ তার উদ্ধারে কাজ করছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ