1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একটি সফরে সংগ্রাম বোঝা অসম্ভব

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সোমবার ঢাকায় এসেছেন জার্মানি আর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়৷ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতেই ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ও লোরঁ ফাবিউস-এর এই যৌথ সফর৷ দেশের পরিবেশবিদরা অবশ্য এ সফরের সমালোচনা করেছেন৷

Steinmeier und Fabius
ফাইল ফটোছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall

[No title]

This browser does not support the audio element.

আগামী ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের আগে এই সফরের গুরুত্ব অনেক৷ সে জন্যই হয়ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ইউরোপীয় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই যৌথ সফরকে ‘ঐতিহাসিক' ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইউরোপের দু-দু'জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর৷

ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ও ফাবিউস ঢাকায় এসে প্রথমেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে সাভারে বংশী নদীতে নৌকা-ভ্রমণ করেন৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে৷ পরে তাঁরা বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে৷ এবং একেবারে শেষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ এছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণের কয়েকটি এলাকায় জার্মানির অর্থ সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পও পরিদর্শন করেন তাঁরা৷

এরপর দুই মন্ত্রী উপস্থিত হন ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান' যৌথ দূতাবাস ভবনের ‘টপিং অফ' অনুষ্ঠানে৷ এই প্রথম ঢাকায় জার্মানি এবং ফ্রান্সের দূতাবাস তৈরি হচ্ছে একই ভবনে৷ উল্লেখ্য, এক সময়ের দুই বৈরী দেশ জার্মানি ও ফ্রান্স একজোট হয়েছিল ১৯৬৩ সালে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এলিসি চুক্তির মধ্য দিয়ে, যা ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান' বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত রূপরেখা ঠিক করে দেয়৷ চুক্তির ৪০ বছর পর ২০০৪ সালে জার্মানি ও ফ্রান্স ঢাকায় একটি যৌথ দূতাবাস প্রতিষ্ঠার সিদ্বান্ত নেয়৷ ২০১৩ সালে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল৷

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে তাঁরা এই একদিনের সফরে শুধুমাত্র একটা ধারণা নিতে চেষ্টা করেছেন৷ গত জুনে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জি ৭-এর বৈঠকে উন্নত দেশগুলো ‘বিশ্ব অর্থনীতিকে কার্বনমুক্ত করার' ব্যাপারে একমত হয়৷ তাদের মধ্যে জার্মানি এবং ফ্রান্স অন্যতম৷ বলা বাহুল্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমাতে রাজি হয়েছে৷

আগামী ডিসেম্বরে প্যারিস সম্মেলনে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় কী করবে, তা স্পষ্ট হবে৷ আর সেই সম্মেলনকে সামনে রেখেই ইউরোপের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসেন৷ জানা গেছে, ২০২০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার জোগাবে উন্নত বিশ্ব৷

তাঁদের এই সফরকে বাংলাদেশও খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে৷ তবে বাংলাদেশের পরিবেশবিদ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মুখপাত্র ইকবাল হাবিব ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুধু একটি সফর দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং এর জন্য এখানকার মানুষের সংগ্রাম বোঝা সম্ভব নয়৷ এর জন্য নিয়মিত তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন৷ আশা করি, এই সফরের মধ্য দিয়ে সেই উদ্যোগটি শুরু হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ