1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

মাথাব্যথা সারাবার নানা পদ্ধতি

১ জানুয়ারি ২০১৮

মাথাব্যথা যার হয়, সে এই কষ্ট বোঝে৷ মাইগ্রেন হলে তো কথাই নেই৷ এমন ধারাবাহিক ব্যথা কমাতে মানুষ কী না করে! তবে ওষুধ অনেক ক্ষেত্রে উলটে ক্ষতি করতে পারে৷ জার্মানিতেও মাথাব্যথা কমাতে নানারকম পদ্ধতি রয়েছে৷

Symbolbild Kopfschmerzen Migräne
ছবি: Andrzej Wilusz/Fotolia

জার্মানিতে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ নানা রকম মাথাব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন৷ যেন মনে হয় মাথায় কেউ হাতুড়ি মারছে৷ কেউ পরীক্ষার সময়ই ঘনঘন মাথাব্যথা নিয়ে হতাশ৷ কেউ বলেন, সারাদিন ঠিকমতো পানি না খেলে সন্ধ্যায় মাথাব্যথা হয়৷ কেউ বা ট্যাবলেট খেয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে পড়েন৷

স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কে এক ধরনের শর্ট সার্কিট দেখা দেয়৷ তখন নিউরোট্রান্সমিটার বেরিয়ে এসে সেরিব্রাল মেমব্রেনের ধমনীতে সংক্রমণ ঘটায়৷ ধমনী ফুলে উঠে মাথা দপদপ করে৷ কখনো মনে হয়, যেন হাতুড়ি মারা হচ্ছে৷ মাথাব্যথার নানা ধরন রয়েছে৷ তবে মাইগ্রেন তার সবচেয়ে মারাত্মক রূপ৷

বারবারা লিন্ডেনটাল-সাক্স বহু বছর ধরে মাইগ্রেনে ভুগেছেন৷ ফলে তাঁর জীবনটাই বদলে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সবসময়ে মনে হতো, কঠিন রোগে ভূগছি, সাহায্যের প্রয়োজন৷ মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম৷'

' কয়েক বছর আগে তিনি জার্মানির ফ্রাইবুর্গ শহরের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ব্যথা নিরাময় কেন্দ্রে আসেন৷ উৎস সন্ধানের মাধ্যমেই মাথাব্যথার চিকিৎসার সূচনা হয়৷ সেখানকার চিকিৎসক পেটার বেয়েরেন্স বলেন, ‘‘স্ট্রেস এর স্পষ্ট কারণ, অর্থাৎ মনের মধ্যে বাড়তি চাপের অনুভূতি৷ নারীদের ক্ষেত্রে হরমোন পরিবর্তন ঘটলে এমনটা হয়৷ তাছাড়া ঘুম, জেগে থাকা ও খাবার সময়ের ছন্দ পরিবর্তনও এর কারণ হতে পারে৷''

ছবি: picture alliance/dpa/J. Kalaene

অনেক রোগী ওষুধের শরণাপন্ন হন৷ কিন্তু ঘনঘন ওষুধ খেলে সেই ট্যাবলেটই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে৷ বারবারা লিন্ডেনটাল-সাক্স মাইগ্রেন কমাতে অনেক রকম চেষ্টা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ওষুধ, হোমিওপ্যাথি, নেচারোপ্যাথি, যোগাসন, মনোযোগের প্রশিক্ষণ, নিয়মিত খেলাধুলা, বাটারবার, ম্যাগনেসিয়াম – সবকিছু মনেও নেই৷ একটা গোটা পাতাজুড়ে তালিকা রয়েছে৷''

তাহলে কী করা যায়? হালকা মাথাব্যথা হলে ট্যাবলেট বা মেন্থল তেল কাজে লাগতে পারে৷ কিন্তু মাইগ্রেন সামলাতে একেবারে অন্যভাবে এগোতে হয়৷ স্ট্রেস কমানো ও খেলাধুলা তার অঙ্গ৷ কয়েক বছর ধরে এমনকি বোটক্স প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ পেটার বেয়েরেন্স বলেন, ‘‘কঠিন এই রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে ফেললে সেটা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে বা অন্তত কমিয়ে ফেলতে হবে৷''

রোগীদের মধ্যে আদানপ্রদানও কিছুটা সাহায্য করে৷ হাইনৎস পস্টলেব এক সাপোর্ট গ্রুপ গঠন করেছেন৷ কয়েক বছর ধরে তিনি নিজে ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কী যে ছিল, কেউ জানে না৷ জানার দরকারও নেই, আমি তো আর মাইগ্রেনের অভাব বোধ করছি না৷ খুব ভালো আছি৷''

মাইগ্রেন বংশানুক্রমেও চলতে পারে৷ যেমন হাইনৎস পস্টলেব-এর সন্তান ও নাতিনাতনিরাও মাইগ্রেনে ভুগছে৷ 

আনেটে রোরার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ