মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কার হওয়ায় পট্সডামের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা যে অত্যন্ত খুশি৷ যে বিজ্ঞানীর নামে প্রতিষ্ঠানটির নাম, তিনিই প্রথম মাধ্যকর্ষণ তরঙ্গের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন৷
বিজ্ঞাপন
তাছাড়া এ ঘটনার ১০০ বছর পর মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কারেও যে পট্সডামের ভূমিকা আছে৷
শহরের কোলে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটে অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ করেন ভিভিয়্যাঁ রেমঁ৷
এখানকার বিজ্ঞানীরা মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ শনাক্ত ও বিশ্লেষণ করার বিভিন্ন উন্নততর মডেল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন৷ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন প্রথম মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ নিরূপণ করা সম্ভব হয়, রেমঁ তখন তাঁর অফিসে ছিলেন৷ দিনটা তিনি কোনোদিন ভুলবেন না, বলেন রেমঁ৷ তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমবারের মতো একটা মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ পাওয়া একটা চমক ছিল, একটা ‘শক' ছিল....অনেক জোরালো! ডিটেক্টরটা চালু করতেই, খানিকটা ভাগ্যক্রমে আমরা সেটা পেয়ে যাই৷ ওটা যে সত্যিই বাস্তব, তা নিশ্চিত করতে আমাদের বেশ কিছুটা সময় লেগেছে৷''
বিজ্ঞান যাঁদের বিষয় নয়, তাঁদের কাছে যা শুধুমাত্র কিছু আঁকাবাঁকা রেখা বলে মনে হবে, বিজ্ঞানীদের কাছে তা এক নাটকীয় কাহিনি৷ দু'টি ব্ল্যাক হোল উচ্চগতিতে ঘুরপাক খেতে খেতে পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে৷
৪০ বছর ধরে মহাশূন্যে নাসার ভয়েজার
১৯৭৭ সালের ২০ আগস্ট ভয়েজার ২ মহাশূন্য ভ্রমণে যায়৷ ১৬ দিন পরে রওয়ানা হয় ভয়েজার ১৷ দুই মহাকাশযানই এতদিনে সৌরজগতের বাইরে পাড়ি দিয়েছে৷ ছায়াপথে নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে শুরু করেছে যাত্রা ৷
ছবি: NASA/Hulton Archive/Getty Images
দুই মহাকাশযান
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার যান ভয়েজার ২ যাত্রা শুরু করে ১৯৭৭ সালের ২০ আগস্ট৷ এ যাত্রা ৪০ বছর পর এখনও চলছে৷ হুবহু নকশায় তৈরি করা ভয়েজার ১ পিছু পিছু রওয়ানা হয় ৫ সেপ্টেম্বর৷ প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল তখনও প্রায় অজানা দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা৷ দীর্ঘস্থায়ী প্লুটোনাম ব্যাটিরির বদৌলতে দুই মহাকাশযানই এখনও চলছে৷
ছবি: REUTERS/NASA/JPL-Caltech
যোগাযোগব্যবস্থা
৮২৫ কেজি ওজনের (পৃথিবীতে) এই ভয়েজার যান দু’টি নাসার সবচেয়ে সফল মিশনগুলোর একটি৷ এখনও দুই মহাকাশযান নিয়মিত তথ্য ও ছবি পাঠিয়ে যাচ্ছে৷ প্রতিনিয়তই ক্রমাগত দূরে সরে গেলেও ২০৩০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে ভয়েজার৷
ছবি: public domain
সৌরজগতের বাইরে
২০১২ সালের ২৫ আগস্ট ভয়েজার ১ সৌরজগতের সীমানা ‘হেলিওপজ’ অতিক্রম করে৷ ওখান থেকেই শুরু আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ের আন্তনক্ষত্রীয় এলাকা৷ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মানবনির্মিত বস্তুর নাম এখন ভয়েজার ১৷ সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব যত, এই মুহূর্তে ভয়েজার তার চেয়ে ১৩৯ গুণ বেশি দূরে অবস্থান করছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যাত্রাপথ
সৌরজগতে বেশ কয়েকটি সীমানা আছে৷ প্রথম সীমানার নাম ‘টারমিনেশন শক’৷ এখান থেকে সৌর বায়ুর চাপ হঠাৎ করেই কমতে থাকে৷ তারপর হেলিওস্ফেয়ার অতিক্রম করে আসে ‘হেলিওপজ’৷ এখানে শেষ হয় সৌরজগতের প্রতিরক্ষা ব্যুহ যা আমাদের আন্তনক্ষত্রীয় বিকিরণ থেকে রক্ষা করে৷ নাসার হিসেবে হেলিওপজ অতিক্রম করার পর প্লাজমার ঘনত্ব বেড়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ গুণ৷
বড় গ্রহ, বেশি ছবি
মহাকাশযানটি সম্প্রতি বেশকিছু আবিষ্কার করেছে৷ বৃহস্পতির এই ছবিটি ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি পাঠায় ভয়েজার ১৷ বৃহস্পতি ও তার চার উপগ্রহের মোট ১৭,৪৭৭টি ছবি তুলেছে মহাকাশযানটি৷ এই ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেই বৃহস্পতির চারপাশে শনির মতোই গ্যাসের পাতলা রিং-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NASA
বিশদ বিবরণ
এই ছবির মতো গ্রহের পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্লেষণ করা যায়, এমন অনেক তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে ভয়েজার ১৷ বৃহস্পতিকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগুনোর সময় ভয়েজারের গতি ছিল সেকেন্ডে ১৬ কিলোমিটার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/NASA
সত্যিকারের রং
শনি গ্রহের এই ছবিটি পাঠিয়েছে ভয়েজার ২৷ ১৯৮১ সালে শনির কাছাকাছি পৌঁছায় ভয়েজার৷ মহাশূন্যের অনুপাতে এটি খুব কাছ থেকে তোলা একটি ছবি৷ এই ছবি তোলার সময় ভয়েজার ২ শনি গ্রহ থেকে মাত্র ২ কোটি ১ লাখ কিলোমিটার দূরে ছিল৷
ছবি: HO/AFP/Getty Images
সব ঠিকঠাক
যুক্তরাষ্ট্রের পাসাডোনিয়ায় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে যতদূর সম্ভব পরিচালনা করা হয় ভয়েজারের কর্মকাণ্ড৷ যেমনটি দেখা যাচ্ছে ১৯৮০ সালের এই ছবিটিতে৷ এখন যন্ত্রপাতি আরো অনেক আধুনিক হয়েছে৷ কিন্তু অবসরে গিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না ভয়েজার প্রস্তুত করা প্রকৌশলিরা৷ এখনও মাঝেমধ্যেই নবীনদের দিকে সহায়তার হাত বাড়াতে হয় তাদের৷
ছবি: NASA/Hulton Archive/Getty Images
অ্যালিয়েনের কানে পৃথিবীর ডাক
যাত্রাপথে যদি কখনও প্রাণের দেখে মেলে, সেজন্য আগে থেকেই দু’টো সোনার ডিস্ক ভরে দেখা হয়েছে ভয়েজারে৷ এই ডিস্কগুলোতে মানুষ, পশুপাখি এবং পৃথিবীর প্রাকৃতিক বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি ও শব্দ রেকর্ড করে দেয়া হয়েছে৷ অ্যালিয়েনরা যদি রেকর্ড প্লেয়ার না চালাতে পারে, সেজন্য কীভাবে রেকর্ড প্লেয়ার বানাতে হয়, তারও একটা নকশা দেয়া আছে ডিস্কের সাথে৷
ছবি: NASA/Hulton Archive/Getty Images
মহাকাশে শিল্প
দশকের পর দশক ধরে মহাকাশভক্তদের অভিভূত করে গেছে ভয়েজার৷ ভয়েজারের যাত্রায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন অনেক শিল্পীও৷ ১৯৭৭ সালে, ঠিক যাত্রা শুরুর আগে, ভয়েজারের শনিগ্রহ পাড়ি রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন এক মার্কিন শিল্পী৷
ছবি: NASA/Hulton Archive/Getty Images
10 ছবি1 | 10
গবেষকরা প্রথম যে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গগুলি সরাসরি শনাক্ত করতে পারেন, সেগুলি জ্যোতির্মণ্ডলের এই ঘটনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল৷
পরের প্রগতি আসে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে, যখন গবেষকরা প্রথমবারের মতো দু'টি ঘন নিউট্রন তারকার মরণপ্যাঁচ ‘দেখতে' পান৷ মহাশূন্যে ঠিক কোথায় এই নাটকীয় সংঘাত ঘটেছে, মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের ডিটেক্টর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তা-ও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়৷
এর ফলে সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ টেলিস্কোপ তারায় তারায় ধাক্কা লাগার ঐ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে পারে৷ ভিভিয়্যাঁ রেমঁ জানান, ‘‘মাল্টিমেসেঞ্জার অ্যাস্ট্রোনমির যুগ শুরু হয় ঐ আগস্ট মাসে৷ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মহাকাশ ও ব্রহ্মাণ্ডকে পর্যবেক্ষণ করার কাজ শুরু হয়৷''
আইনস্টাইন স্বয়ং নিশ্চয় খুব খুশি হতেন৷ ১০০ বছর আগে তিনি মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, কিন্তু সেই তরঙ্গের হদিশ পাওয়া কখনো সম্ভব হবে কিনা, সে ব্যাপারে তাঁর সন্দেহ ছিল৷ মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ সৃষ্টি করার মতো ভারী কোনো বস্তু আইনস্টাইনের আমলে পদার্থবিদদের জানা ছিল না – রেমঁ ব্যাখ্যা করলেন৷
২০১৫ সালে যে সব পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হয়, পট্সডামের এই অবজারভেটরি ছিল তাদের মধ্যে একটি৷ ঐ আবিষ্কারের জন্য দু'বছর পরে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়৷
তিনজন পথিকৃৎ গবেষক রে ওয়াইস, কিপ থর্ন ও ব্যারি ব্যারিশ যে কাজটির জন্য পুরস্কৃত হন, তা বস্তুত বহু দশকের গবেষণার ফল৷ রেমেঁর কথায়, ‘‘এত বছরের কঠিন পরিশ্রম, দীর্ঘদিন পরে এই আশ্চর্য স্বীকৃতি, এই সম্মান পাওয়াটা সত্যিই অকল্পনীয়!''
ডার্ক ম্যাটার খুঁজবে সার্ন
পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম বিস্ময় ‘ডার্ক ম্যাটার’৷ বিস্ময়কর এই পদার্থের সন্ধান পেতে বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখেননি৷ কিন্তু এখনো তার দেখা পাওয়া যায়নি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার কাছে বিস্ময়
পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম বিস্ময় ‘ডার্ক ম্যাটার’৷ বিস্ময়কর এই পদার্থের সন্ধান পেতে বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখেননি৷ কিন্তু এখনো তার দেখা পাওয়া যায়নি৷
ছবি: Reuters/NASA-JSC/Handout
সার্নে গবেষণা
গড পার্টিকল বলে পরিচিত হিগস কণার সন্ধান পাওয়া ইউরোপের সার্ন ল্যাবরেটরি ২০১৫ সালে ডার্ক ম্যাটারের খোঁজ করবে৷ এ জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে লার্জ হেডরন কোলাইডার বা এলএইচসি৷ ছবিতে এলএইচসি টানেলের ভেতরটা দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/F.Schmidt
হিগসের চেয়েও বড়
হিগস আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. লস্কর মোহাম্মদ কাশিফ৷ তিনি বলেন, ডার্ক ম্যাটারের সন্ধান পাওয়া গেলে সেটা হবে হিগস কণা আবিষ্কারের চেয়েও বড় সাফল্য৷ ছবিতে ড. কাশিফকে দেখা যাচ্ছে (বামে)৷
ছবি: Lashkar Kashif
সার্নে ড. কাশিফের কাজ
এলএইচসির সাতটি ডিটেক্টরের মধ্যে একটি অ্যাটলাস৷ হিগস আবিষ্কারের সঙ্গে যে দুটো ডিটেক্টর জড়িত ছিল এটি তার মধ্যে একটি৷ ছবিতে অ্যাটলাসের একটি কম্পোনেন্ট মিউয়ন চেম্বার দেখা যাচ্ছে৷ পিএইচডি করার সময় এসব ইনস্টল ও পরীক্ষা করে দেখার কাজ করেছেন ড. কাশিফ৷
ছবি: Lashkar Kashif
অ্যাটলাসের আকার
৪৬ মিটার দীর্ঘ, ২৫ মিটার ব্যাস ও সাত হাজার টন ওজনের অ্যাটলাস ডিটেক্টর ইনস্টল করার সময়কার ছবি এটি৷ খেয়াল করলে দেখবেন মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন৷ এর মাধ্যমে অ্যাটলাস ডিটেক্টর যে কত বড় তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে৷
ছবি: Lashkar Kashif
সার্নের বড় সাফল্য
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ বা সার্নের এখন পর্যন্ত বড় সাফল্য হলো হিগস কণার আবিষ্কার৷ ২০১২ সালে সার্ন এই কণার সন্ধান পাওয়ার ঘোষণা দেয়৷
ছবি: 1997 CERN
বহু দেশের বিজ্ঞানীর সমাগম
সার্ন ল্যাবরেটরিটা ইউরোপের হলেও সেখানে কাজ করেন বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানী৷ বাংলাদেশের ড. কাশিফ তাঁদের মধ্যে একজন৷ ছবিতে চতুর্থ সারিতে ডান থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তিটি হলেন তিনি৷
ছবি: Lashkar Kashif
বাংলাদেশ-সার্ন সহযোগিতা
এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন সার্নের মহাপরিচালক জার্মান কণা পদার্থবিদ অধ্যাপক রল্ফ-ডিটার হয়ার৷ সে সময় বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সার্নের সহযোগিতামূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়৷ এর প্রেক্ষিতে চলতি বছর সার্নের ‘সামার প্রোগ্রাম’এ অংশ নিচ্ছেন ঢাবির এক শিক্ষার্থী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
সারা বিশ্বের এক হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ এই বুনিয়াদি আবিষ্কারে তাঁদের অবদান রেখেছেন৷ পট্সডাম ইনস্টিটিউট যে সব কমপিউটার সিমিউলেশান সরবরাহ করেছে, তা থেকে পদার্থবিদরা জানতে পেরেছেন, তাদের হিসেবনিকেশে তারা ঠিক কোন ধরনের সংকেতের খোঁজ করবেন৷
ভিভিয়্যাঁ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আমার সত্যিই ভালো লাগে৷ বলতে কি, কাজটা আগেও খুব আকর্ষণীয় ছিল৷ কিন্তু এখন এই সব আবিষ্কারের পর, কাজটা দারুণ! মনে হয়, আমরা যেন রোজ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড খুঁজে বেড়াই, এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজি, আগে যে সব প্রশ্ন করার কথা আমরা ভাবতেই পারতাম না৷''
পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে তথাকথিত ‘ডার্ক ম্যাটার'-এর রহস্য ভেদ করা৷ ‘ডার্ক ম্যাটার' নক্ষত্রপুঞ্জগুলিকে ধরে রাখে বলে মনে করা হয়৷ এযাবৎ অদৃশ্য এই পদার্থটির উৎপত্তি ব্ল্যাক হোল থেকে হতে পারে৷ অপরদিকে তাঁদের মাধ্যকর্ষণ তরঙ্গের ফলে আজ ব্ল্যাক হোলগুলিকে শনাক্ত করা সম্ভব৷
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের সংকেতগুলিকে ধ্বনিতে পরিণত করা হয়৷ গবেষকরা আগামীতে নক্ষত্রপুঞ্জের এই সব ‘শ্রুতি' আরো বেশি শোনার আশায় রয়েছেন, যখন ডিটেক্টরগুলিতে নতুন প্রযুক্তি বসিয়ে নতুন আবিষ্কারের পথে পা রাখা যাবে৷