1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বালিশ কেনে ছাত্রদল কর্মী, কে কী কেনে?

১৮ জুন ২০১৯

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেছেন, বালিশ কেনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ছাত্রদল করতেন৷ আমাদের প্রশ্ন, আপনি কি এই তথ্য বালিশকাহিনির পরে জানলেন? নাকি আগে থেকেই আপনার কাছে তথ্য ছিল?

Hotel-Zimmer Kopfkissen
ছবি: picture-alliance/PhotoAlto

 একজন অভিযুক্ত আগে কোন দল বা সংগঠন করতো, কোন রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল– এটা বলে আপনি কী প্রমাণ করতে চাইলেন?

সাড়ে দশ বছর ধরে আপনি ও আপনার দল ক্ষমতায়৷ এখনো ছাত্রদলের লোকেরা বালিশ কিনতে পারছে, আর কী কী কিনছে তা তো এখনো আমরা জানি না৷ ধরা না খেলে তো আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না যে, প্রশাসনে বা সরকারের উচ্চপদে ছাত্রদল বা বিএনপির আর কে কে আছে? স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা তো জানি যে, সরকারের উচ্চপদের বা গুরুত্বপূর্ণরা সবাই আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী বা অন্তত চরমভাবে আস্থাশীল৷

অবশ্য সরকারে, দলে বা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ নতুন নয়৷ বিভিন্ন ঘটনায় বা অন্যায়ের প্রেক্ষাপটে হাইব্রিড, ‘কাউয়া' এসব মনোহর শব্দ বা শব্দবন্ধ আমরা উপহার পেয়েছি৷ দেখে শুনে মনে হয় কেউ কোনো অপরাধ করতে পারে কিনা তার কষ্টিপাথর হলো সে এখন কোন দল করে বা একসময় বিএনপি বা ছাত্রদল করেছে কিনা৷

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনি এখনও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সমর্থক৷ কারণ, আপনি জানেন, আপনার দলের সদস্যরাও দল বদলে ফেলতে পারে সদস্যপদ হারানোর হুমকি না থাকলে৷ একাধিকবার আপনি বলেছেনও আপনার দলের লোকদেরও কেনা যায়! সংসদে দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে পরিবার বলতে আপনি বোঝেন– আপনি ও আপনার ছোট বোনের ছেলে-মেয়েদের পরিবার, ব্যাস৷

খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/A. Islam

আপনি যে বারবার বলেন, যে সন্ত্রাসী বা দুর্নীতিবাজ তা সে যে দলেরই হোক না কেন শাস্তি তাকে পেতে হবে৷ এটা দিয়ে আপনি আসলে কী বোঝাতে চান? অবস্থা দেখে তো মনে হয় আপনি বিশ্বাসই করেন না যে, আপনার দলে এরকম কেউ থাকেত পারেন৷ দেখুন বালিশ প্রকৌশলীর কথা বলতে গিয়ে আপনি বলছেন, ‘‘..এমন এমন লোক রয়ে গেছেন, জন্ম থেকেই তাদের চরিত্র দুর্নীতির৷'' হতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু আপনি বিশ্বাস করেন আপনার দলে, সরকারে, এমনকি খুব কাছেও খারাপ লোক আছে বা থাকতে পারে৷ তারা ধরাও কিন্তু পড়বে৷ তাদের সবাইকে আপনি বিএনপি বা ছাত্রদলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়তো বলতে পারবেন না৷ তাই তাদের সাবধান করুন৷ নিজেও সতর্ক হন৷  

খালেদ মুহিউদ্দীন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান।
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ