1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চাই জলবায়ুর স্থিতি’

মাটিয়াস ফন হাইন/এসি১০ ডিসেম্বর ২০১৫

স্বৈরাচারি একনায়ক আর তাদের গুণ্ডা-জল্লাদরাই যে শুধু মানবাধিকার ভঙ্গ করে, এমন নয়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও মানবাধিকার বিপন্ন হচ্ছে, বলে মাটিয়াস ফন হাইন মনে করেন৷

Äthiopien Dürre Kinder skelettierte Rinder
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Robine

প্যারিসের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ইতিহাস রচিত হচ্ছে, তবে সেটা সাফল্যের ইতিহাস না ব্যর্থতার, তা স্পষ্ট নয়৷ আজ থেকে ৬৭ বছর আগে ঠিক এই তারিখে এবং এই শহরেই ‘‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অফ হিউমান রাইটস'' বা মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণা বিজ্ঞপিত হয়েছিল৷ সে'যাবৎ দশই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷

এ বছরও প্রথমেই সমালোচনা করতে হবে চীন, ইরান অথবা সৌদি আরবের মতো দেশের, যেখানে ব্যাপক মৃত্যুদণ্ড প্রদান ও প্রয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এছাড়া থাকছে বিশ্বের বহু দেশে নির্যাতন, পুলিশি অত্যাচার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার ঘটনা৷

মানবাধিকার সংক্রান্ত ‘বিশ্বজনীন ঘোষণার'' তৃতীয় সূত্রটি হলো জীবনের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার৷ জলবায়ু পরিবর্তন কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু মানুষের জীবন ও জীবিকা নিচ্ছে৷ চরম আবহাওয়া ও দুর্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ জলবায়ু পরিবর্তন কী ও কেন, তা এখনও চূড়ান্তভাবে বলা সম্ভব না হলেও, ‘‘চরম আবহাওয়া'' যে বেড়ে চলেছে ও চলবে, তা গবেষকরা তাদের কম্পিউটার প্রোজেকশন থেকেই বলতে পারছেন৷

মাটিয়াস ফন হাইন, ডয়চে ভেলে

পরোক্ষ হন্তা

জলবায়ু পরিবর্তন বিভিন্ন রাষ্ট্রকে স্থিতিহীন করে তুলে মানুষের জীবননাশের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হবার আগে বেশ কয়েক বছর ধরে চরম খরা চলেছিল, যার ফলে ১৫ লাখ চাষি গ্রাম ছেড়ে শহরে পালাতে বাধ্য হন৷ ঠিক তখনই আবার ইরাক থেকে উদ্বাস্তুরা দলে দলে সিরিয়ায় আসছেন৷ সেই সঙ্গে ছিল আসাদ সরকারের অক্ষমতা ও বহির্বিশ্ব থেকে প্ররোচনা৷

চাড হ্রদের জল কমে যাওয়ার সঙ্গে বোকো হারাম সন্ত্রাস গোষ্ঠীর উত্থানের প্রত্যক্ষ সংযোগ আছে, বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ তিন কোটি চাষি ও মৎস্যশিকারীর জীবিকা অর্জনের মূল আধারটি যদি শুকিয়ে বিশ ভাগের এক ভাগ হয়ে যায়, তাহলে বিরোধ ও সংঘাত বাড়বে বৈকি৷ সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দারিদ্র্য ও হতাশা৷ কাজেই বোকো হারামের পক্ষে সদস্য সংগ্রহ করা সহজ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

স্বয়ং মার্কিন মিলিটারি জলবায়ু পরিবর্তনকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বলে স্বীকার করেছে৷ বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বাস্তুর স্রোত বাড়বে; পানীয় জলের মতো সম্পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি বাড়বে৷ আর সেই কাড়াকাড়ি সবসময়ে শান্তিপূর্ণ থাকবে না৷ বিশ্বে ক্ষুধাও বাড়বে৷ ইতিমধ্যেই প্রতি তিন সেকেন্ড অন্তর বিশ্বের কোথাও না কোথাও একজন মানুষ ক্ষুধায় প্রাণ হারাচ্ছে৷ প্যারিস সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মনে রাখতে হবে, পৃথিবী বাঁচানো নয়, আমাদের নিজেদের বাঁচাতে হবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে৷

আপনি কি মাটিয়াস ফন হাইনের সঙ্গে একমত? জানিয়ে দিন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ