1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মামলায় জয়ী খুনি ব্রাইভিক!

২১ এপ্রিল ২০১৬

নরওয়ের ৭৭ জন মানুষ হত্যাকারী ব্রাইভিক তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলা জিতেছেন৷ নরওয়ে সরকারকে ব্রাইভিকের মামলার খরচ পরিশোধের আদেশও দিয়েছে আদালত৷ রায় নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই৷

আদালতে আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিক
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Aserud

২০১১ সালে নরওয়েতে বোমা হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে ৭৭ জনকে হত্যা করেন আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিক৷ নির্বিচারে এত মানুষ হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ নরওয়ের আইনে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তিই ২১ বছরের কারাদণ্ড৷ সে দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই৷

বুধবার ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া ব্রাইভিককের পক্ষেই রায় দিয়েছে অসলোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট৷ আদালত বলেছে, তার সঙ্গে কারাকর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ করেছে বলে ব্রাইভিক যে অভিযোগ করেছিলেন সে অভিযোগটি সত্য৷

মামলার রায়ে বলা হয়, ব্রাইভিককে কারাকর্তৃপক্ষ দিনে ২২ থেকে ২৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বদ্ধ ঘরে একা থাকতে বাধ্য করেছে৷ তাকে অন্য আসামীদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি৷ কোনো কোনো দিন প্রতি এক ঘণ্টা পর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও রায়ে জানানো হয়৷ বিচারক হেলেন আন্ডেনায়েস সেকুলিচ বলেন, যে কোনো আসামীর সঙ্গেই এমন আচরণ ইউরোপীয় কনভেশনে উল্লেখিত মানবাধিকারের পরিপন্থি৷

এদিকে ব্রাইভিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা জেতায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ কেউ কেউ নরওয়ে সরকারকে ব্রাইভিকের মানবাধিকার লঙ্ঘন মামলার খরচ হিসেবে ৩৬ হাজার ইউরো পরিশোধ করার আদেশ নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷ তাদের প্রশ্ন – যে ৭৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে তাঁদের মানবাধিকারের কী হলো?

২০১১ সালের ২২ জুলাইয়ের সেই বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের পরিবার-পরিজনও অসলোর আদালতের রায়ে হতাশ৷ উটোয়া দ্বীপের হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন বলেছেন, ‘‘(রায় শুনে) প্রথমে খুব অবাক হয়েছি৷ তারপর ভীষন রাগান্বিত ও হতাশ হয়ে পড়ি৷ সত্যি বলছি, এক অপরাধীর এমন একটি জয় আমার কাছে তলপেটে ভীষণ জোরে আঘাত করার মতো৷''

২০১১ সালের ২২ জুলাই নরওয়ের রাজধানী অসলোর এক সরকারি ভবনের সামনে বোমা হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যা করা হয়৷ এর কিছুক্ষণ পরই উটোয়া দ্বীপে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৬৯ জনকে৷ ঐ দু'টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্রাইভিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷

বিচার চলার সময় ব্রাইভিক নিজেও হত্যার দায় স্বীকার করেছেন৷ ব্রাইভিক দাবি করেন, নরওয়েকে ‘মুসলিম দখলদারিত্বের' আশঙ্কা থেকে বাঁচানোর জন্যই তিনি এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ আদালতে দাঁড়িয়ে তখন বহু সংস্কৃতির মিলন তত্ত্ব আর তার অনুসারীদের বিরোধীতাও করেছিলেন ব্রাইভিক৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)

ব্রাইভিক কি সত্যিই নির্দোষ? আপনার কী মনে হয়? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ