রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান৷ ২০১২ সালে হঠাত্ করেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ ক্লাস-পরীক্ষা সবই বন্ধ হয়ে যায়৷ পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তার সমস্যাটা বুঝতে পারেনি৷
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের পরামর্শে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান রতনের কাছে যান৷ দীর্ঘ চিকিত্সার পর এখন তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন৷ ক্লাস-পরীক্ষায়ও অংশ নিচ্ছেন৷
ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাত্কার দিলে কে কী বলে - এমন সংশয় থেকে তিনি নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি৷ তাই সাইদুর রহমান তাঁর ছদ্মনাম৷ সাক্ষাত্কারে তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া, চিকিত্সা, কারা-কীভাবে তাকে সহযোগিতা করেছে সবকিছুই উঠে এসেছে৷
ডয়চে ভেলে: হঠাত্ করেই কি আপনার মানসিক অসুস্থতা ধরা পড়ে?
সাইদুর রহমান: হ্যাঁ৷
যখন বুঝতে পারলেন, আপনি কি করলেন?
পাবনার ‘পাগলা গারদের’ কিছু দুর্লভ ছবি
পাবনার মানসিক হাসপাতালকে অনেকে বলে ‘পাগলা গারদ’৷ সেখানকার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ অনেক৷ তবে এখানে থাকছে হাসপাতালটির কিছু দুর্লভ ছবি, যা ১৯৯৪ সালে তুলেছিলেন এক আলোকচিত্রী৷
ছবি: imago/UIG
প্রথম মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশের প্রথম মানসিক হাসপাতালের অবস্থান পাবনায়৷ ১৯৫৭ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল একটি বাড়িতে৷ পরে ১৯৫৯ সালে হাসপাতালটি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়৷ শুরুতে মানসিক হাসপাতালটি ছিল ৬০ শয্যাবিশিষ্ট৷ পরবর্তীতে তা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়৷
ছবি: imago/UIG
প্রায় দেড়কোটি মানসিক রোগী
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি, ২০১১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে এ কথা৷ এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য বলতে গেলে মূল সরকারি হাসপাতাল একটাই, পাবনায়৷ ছবিটি ১৯৯৪ সালে তোলা এক নারীর, যিনি ভারতের মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন এবং পাবনায় হাসপাতালটির শুরু থেকেই রোগী হিসেবে ছিলেন৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগী সম্পর্কে ভুল ধারণা
বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের ‘পাগল’ বলা হয়, যা অনেকক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ দেশটিতে মানসিক রোগীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে৷ মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যা এক অন্তরায়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছবিতে ১৯৯৪ সালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের রান্নাঘর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্য নয়
১৯৯৪ সালে যখন এ সব ছবি তোলা হয়, তখন মানসিক হাসপাতালে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ভর্তি করা হতো না৷ এখনও সেই নিয়ম চালু আছে কিনা জানা যায়নি৷
ছবি: imago/UIG
পুরুষ ওয়ার্ড
ছবিতে পাবনার মানসিক হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা না করার প্রবণতা রয়েছে, মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগীদের প্রার্থনা
মুসলমান পুরুষ রোগীরা প্রার্থনা করছেন৷ মানসিক হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ড থেকে ছবিটি তোলা হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, মানসিক রোগীদের পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়৷ বরং তাদের পরিবারের সংস্পর্শে রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত৷ বাংলাদেশে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন৷ পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের আত্মীয়রা সচরাচর তাদের আর খোঁজ নিতে আসেন না৷
ছবি: imago/UIG
হিংসাত্মক প্রবণতা আছে যাদের
হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে প্রবার প্রবণতা আছে এমন রোগীদের রাখা হয় আলাদা ওয়ার্ডে৷ ১৯৯৪ সালে তোলা ছবিতে সেই ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
চঞ্চল রোগীরা
মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের অনেকে অত্যাধিক চঞ্চল থাকেন৷ তারা প্রায়ই গলা ছেড়ে গান গান এবং নাচানাচি করেন৷ ছবিতে সেরকম কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের সমাজ এদের ‘পাগল’ বলে এবং প্রকাশের তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এক স্বাভাবিক ব্যাপার৷
ছবি: imago/UIG
বদলায়নি পরিস্থিতি
পাবনা মানসিক হাসপাতালে ১৯৯৪ সালে তোলা এসব ছবির সঙ্গে বর্তমানের পরিস্থিতির ফাঁরাক খুব একটা দেখা যায় না৷ হাসপাতালের পরিধি বাড়েনি, এখনো সেটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল৷ গত বছর তোলা হাসপাতালটির কিছু ছবি পেতে ক্লিক করুন ‘আরো’ বোতামে৷
ছবি: imago/UIG
9 ছবি1 | 9
আসলে আমরা সমস্যাটা ছিল অ্যাংজাইটি অর্থাৎ দুশ্চিন্তা৷ এ কারণে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে পারছিলাম না৷ আমার একজন শিক্ষকের পরামর্শে মানসিক চিকিত্সকের কাছে যাই৷
কার কাছে গেলেন?
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান রতনের কাছে যাই৷
এটা কতদিন আগে?
২০১২ সালে৷
চিকিত্সার প্রক্রিয়া কেমন ছিল?
দুই ধরনের৷ একটা ওষুধ ও অন্যটি সিভিক জীবন৷ সিভিক জীবনটা হল, যেখানে আপনার সমস্যা হচ্ছে, সেটা বার বার করা৷ যেমন, আপনি পরীক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছেন, তারপরও আপনাকে বার বার পরীক্ষার হলে বসতে হবে৷ যাতে ভয়টা কেটে যায়৷ এক সময় মনে হবে হ্যাঁ আমি তো পারছি৷
সেখানে আপনি কতদিন চিকিত্সা নিয়েছেন?
২০১২ সাল থেকে৷ এখনো চলছে৷
চিকিত্সাতে কি আপনি অস্বস্তিকর কিছু উপলব্ধি করেছেন?
না, সেরকম অস্বস্তিকর কিছু মনে হয়নি৷ তবে ভয়টা ফেস করা সবসময় অস্বস্তিকর৷ এটা চিকিত্সার জন্য না৷ রোগের জন্য৷ বিশেষ করে যাদের অ্যাংজাইটি থাকে, তাদের অ্যাংজাইটি ফেস করে দিন পার করা আসলেই অস্বস্তিকর৷
এখানে চিকিত্সা করতে আপনাকে কি হাসপাতালে থাকতে হয়েছে?
না, বাসাতে থেকেই চিকিত্সা করাতে পেরেছি৷
আপনার এই সমস্যাটা কি আপনার পরিবারের সদস্যরা জানেন?
হ্যাঁ জানেন৷
[No title]
প্রথম যখন রোগটি ধরা পড়ে তখন পরিবারের সদস্যদের আচরণ কেমন ছিল?
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বিষয়টা বুঝতে পারেনি৷ তারা আমার উপর কিছুটা রাগ করেছিল৷ তারা মনে করেছে, আমি মনে হয় ইচ্ছে করে এমন করছি, পড়াশোনা করতে চাচ্ছি না৷ এটা একেবারে প্রথম দিকে অল্প কিছুদিনের জন্য৷ পরে যখন মানসিক চিকিত্সক তাদের বোঝালো তখন তারা বুঝতে পারেন৷ তখন তাদের ভূমিকা ছিল সহযোগিতামূলক৷
এখন তো ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা হচ্ছে না?
না, কোন সমস্যা হচ্ছে না৷
আপনার সহপাঠীরা কি কখনও বুঝতে পেরেছে যে আপনার মানসিক রোগ আছে?
যারা খুবই ক্লোজ তারা বুঝতে পেরেছে৷ তবে সবাই না৷
তখন তাদের আচরণ কেমন ছিল?
ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ভূমিকা ছিল সহযোগিতামূলক৷ তবে অন্যরা যারা আমাকে চেনেন, কিন্তু অতটা ক্লোজ না তারা আমার সমস্যাটা বুঝতে পারতো না৷ তারা মনে করত, আমি মনে হয় সিরিয়াস হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷ তবে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী আমাকে সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করেছে৷
জার্মানিতে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সমস্যা
কিশোর-কিশোরীরা ভোগেন নানা মানসিক সমস্যায়৷বড়রা ওদের দিকে একটু খেয়াল রাখলেই হয়তো বেচে যেতে পারে ফুলের মতো সুন্দর অনেক জীবন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কেমন আছে নিজের সন্তান ?
অনেক মা-বাবা প্রায়ই জানেন না যে তাদের আদরের সন্তান কেমন আছে৷ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ দুর্ঘটনা আর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আত্মহত্যা৷ জার্মানিতে প্রায় প্রতিদিনই দু’একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে৷
ছবি: fotolia/Mikael Damkier
শেষ চিঠি
লেনার মা সুজানে বলেন, তাঁর মেয়ে ১৬ বছর বয়সে ব্লেড এবং ছুরি দিয়ে কয়েকবারই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো৷ প্রথমদিকে বাবা-মা বা স্কুলের শিক্ষক কেউ সেটা খেয়ালই করেনি৷ চিঠির বাক্সে লেনার লেখা বিদায়ী চিঠি পেয়ে বুঝেছেন, যে তাঁর মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছে, জরুরি সাহায্য বা চিকিৎসার প্রয়োজন৷
ছবি: DW/Janine Albrecht
অনুভূতির প্রকাশ
হাইডেলব্যার্গ ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের প্রফেসার ড. রমুয়াল্ড ব্রুনার বলেন, যদি কেউ নিজের হাত বা পায়ের রগ কেটে ফেলে বা এ ধরনের কিছু একটা করে বসে, তাহলে বুঝতে হবে এটা ওদের রাগ, দুঃখ বা হতাশার প্রকাশ মাত্র৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিজেকে কষ্ট দেওয়া
১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয় এবং সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়৷ সমীক্ষার ফলাফলে ছেলেদের মধ্যে ৮ জন এবং মেয়েদের মধ্যে ১৮ জন স্বীকার করেছে, তাদের এই ছোট্ট জীবনে অন্তত তিনবার হাত পা কেটেছে, নিজেদের কষ্ট দিয়েছে, তাদের জীবনের দুঃখ, কষ্ট বা হতাশা ভুলে যাবার জন্য৷
ছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb
ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল
আজকের আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই যোগাযোগের জন্য বেছে নেয় কৃত্রিম মাধ্যম ইন্টারনেট, ফেসবুক৷ তাদের মধ্যে অনেকেই ইন্টারনেট নেশাগ্রস্ত৷ এদের অনেকের মতে, মোবাইল ছাড়া জীবন চলাই সম্ভব নয়৷
ছবি: Fotolia/Konstantin Yuganov
আসল বন্ধু পাওয়া যায়না
একথা ঠিক, যে আজকের দিনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে এবং ব্যবহারও হচ্ছে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব যোগাযোগ আসল বন্ধু পেতে কোনো কাজে আসেনা৷ বরং এসব বিষণ্ণতার দিকেই ঠেলে নিয়ে যায় এবং ভয় ও আত্মহত্যার চিন্তা করতে সহায়তা করে৷
ছবি: picture-alliance/ZB
বসঃসন্ধিকাল
ছেলে মেয়েদের বসঃসন্ধির সময় ওদের আত্মসম্মানবোধ, অকারণেই মন খারাপ হওয়া বা ঘুমের সমস্যা দেখা দেওয়া প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে থাকে৷ তবে এ সব সমস্যা যদি ঘনঘন দেখা দেয় বা বাড়াবাড়ি হয়, তাহলে সেটা মানসিক অসুস্থতা বলেই ধরতে হবে এবং চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে, বলেন ড.ব্রুনার৷
ছবি: Fotolia/Alliance
শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে
কিশোর-কিশোরীদের এই ধরনের সমস্যায় স্কুলের শিক্ষকদের আরো বেশি এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আলোচনা করতে হবে
মানসিক সমস্যায় শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক, ছোট-বড় অনেকেই ভোগে এবং আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়৷ এ ধরনের সমস্যাগুলোর শুরুতেই গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা৷
ছবি: Fotolia/JenKedCo
শরীর চর্চা
রাগ, দুঃখ বা হতাশা থেকে সহজে বের হওয়ার উপায় শারীরিকভাবে বা অন্য কোনোভাবে ব্যস্ত থাকা৷ কোনো কাজে যুক্ত হওয়া৷ হতে পারে খেলাধুলা বা যে কোনো ধরনের শরীরচর্চা৷ হতে পারে বাগানের কাজে কাউকে সাহায্য করা, যে কাজ সত্যিকার অর্থেই মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
একজন শিক্ষকের পরামর্শে তো আপনি চিকিত্সকের কাছে গেলেন, অন্য শিক্ষকদের ভূমিকা কেমন ছিল?
শিক্ষকরা যখন জেনেছেন এমন সমস্যা হচ্ছে তখন কোনো কোনো শিক্ষক আমাকে বলেছেন, ঠিকমতো ক্লাসে আসো৷ আবার অনেক শিক্ষক বিষয়টা বুঝতে পারেনি৷ আসলে কোনো কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে ভালো সহযোগিতা পেয়েছি৷ আবার কোনো কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলেও যেটা আমার দরকার ছিল ততটা পাইনি৷
আপনার আত্মীয়-স্বজন কি আপনার সমস্যার কথা জানেন?
হ্যাঁ, অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজনই জানেন৷
তাঁদের কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল?
অধিকাংশের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক৷ তবে অনেকে সমস্যার লেভেলটা বুঝতে পারেন না৷ ফলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করেন না৷
যারা অ্যাংজাইটিতে ভুগছে, তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?
একজন মানুষ যখন বুঝতে পারবেন দুশ্চিন্তা তার নিয়ন্ত্রণে আসছে না, দুশ্চিন্তা তো জীবনের একটা পার্ট৷ এই পার্টটাকে ক্যারি করতে যাদের সমস্যা হচ্ছে তাদের উচিত দ্রুততার সঙ্গে মানসিক চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া৷
এই রোগটা নিজে থেকেই বোঝা যায়?
মানসিক রোগ হল দুই ধরনের৷ একটা নিউরোসিস ও অন্যটি সাইক্রোসিস৷ নিউরোসিস হল মৃদু মানসিক রোগ৷ এক্ষেত্রে রোগী নিজেই বুঝতে পারেন৷ আর সাইক্রোসিস হল রোগী গায়েবি নির্দেশ শুনতে পান৷ সে বাস্তব জগতে নেই৷ এটা হলো জটিল মানসিক রোগ৷ যেমন ধরেন গায়েবি নির্দেশে তিনি নিজের সন্তানকে হত্যা করে ফেললেন৷ এক্ষেত্রে রোগী নিজে কিছু বুঝতে পারেন না৷ তার আশপাশের লোকের দায়িত্ব তাঁকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া৷
সাক্ষাৎকার: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক
আপনার পরিচিত এমন কারও কথা জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...