1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গর্ভাবস্থায় মানসিক অসুখ

৩১ আগস্ট ২০১৪

মন খারাপ আমার-আপনার সকলেরই হয়৷ কিন্তু এই মন খারাপ যখন একটি ‘ক্রনিক’ অসুখ বা মানসিক রোগে রূপ নেয়, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, তখন তা চিন্তার বিষয় বৈকি৷ সে অবস্থায় ওষুধ খেলে তা বাচ্চার জন্য হতে পারে ক্ষতিকারক৷

Eltern Streit Kind Familienstreit
ছবি: Fotolia

গর্ভাবস্থায় বিষন্নতা নতুন কিছু নয়৷ হরমোনগত পরিবর্তনের সঙ্গে গর্ভাবস্থায় মানসিক রোগ বা ‘ডিপ্রেশন' দেখা দিতেই পারে৷ এমনকি সন্তান জন্মের পর জন্মোত্তর বিষন্নতাও দেখা যায় কোনো কোনো মায়ের মধ্যে৷ এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনেক মা-ই শক্তিশালী ‘অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট'-এর দ্বারস্থ হন৷ আর সেখানেই দেখা দেয় সমস্যা৷

গর্ভকালীন সময়ে আপনি যদি নিয়মিত এ ধরনের ওষুধ খান, তাহলে আপনার শিশুর ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার' (এডিএইচডি), অর্থাৎ ‘মনোযোগের অভাব এবং অতি-সক্রিয়তা' হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ৷ অতীতে এডিএইচডি-র সঙ্গে মূলত জিনগত সম্পর্কের কথা বলা হলেও, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের ‘মলিকিউলার সাইকিয়াট্রি' বিভাগের অধ্যাপক রয় পেরলিস-এর গবেষণায় কিন্তু এমনটাই উঠে এসেছে৷

এডিএইচডি অসুখ হলে শিশুদের মধ্যে অন্যমনস্কতা, অতিরিক্ত চঞ্চলতা বা অতি আবেগের সমস্যা দেখা দেয়৷ এতে শিশুরা অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিদ্রা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা ইত্যাদি সমস্যায় ভোগে৷ অনেকক্ষেত্রে অন্যান্য আচরণগত সমস্যা, যেমন অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়৷ এমনকি কখনো সখনো এডিএইচডি-র ফলে তাদের শারীরিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

চিন্তার বিষয় এটাই যে, গর্ভধারণের পর কোনো মা যদি ‘অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট' জাতীয় ওষুধ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেন, তাহলে এ সমস্যা আরও বাড়তে পারে৷ তবে সাধারণ, নিত্য-নৈমিত্তিক মন খারাপের ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট'-এর প্রয়োজন হয় না৷ এ রকম ওষুধের প্রয়োজন হয় ‘ক্রনিক ডিপ্রেশন'-এর ক্ষেত্রে৷ মুশকিল হচ্ছে, মনের অসুখ, মন খারাপ বা গর্ভকালীন বিষন্নতা কখন যে মানসিক রোগের আকার ধারণ করে – সেটা বোঝাই সবচেয়ে কঠিন৷ তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের মধ্যে মানসিক অসুখের কোনোরকম লক্ষণ শনাক্ত করা গেলে, অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি৷

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এডিএইচডি যেন একটি সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে৷ দেশটিতে প্রতি বছর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের প্রায় ৯ শতাংশ শিশুর মধ্যে ধরা পড়ছে এ রোগ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে ৩-৫ ভাগ শিশুই এডিএইচডি-তে ভুগছে৷

‘রিটালিন' জাতীয় উত্তেজক ওষুধ ব্যবহারে শিশুদের আচরণে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও, এর ফল হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি – এমনটাই ধারণা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের৷

ডিজি/জেডএইচ (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ