বাংলাদেশে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানসিক রোগী৷ দরিদ্রতা, পারিবারিক অশান্তি , কর্মসংস্থান ও ধমীয় শাসনের অভাবের মতো আরো বিষয়কে মনের অসুখ হওয়ার নানা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফেসবুক পাতায় আমাদের পাঠকরা৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আবদুল্লাহহেল ফরিদের মতে, এই বিশ্বের সবাই নাকি পাগল, কেউ কম আর কেউ বেশি৷ তবে তিনি মানসিক রোগীদের পাগল না বলে মানসিক ভারসাম্যহীন বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন৷ রাশেদ মোশারফ মনে করেন, মানসিক রোগ হওয়ার পেছনে পারিবারিক অশান্তি ও ধমীয় শাসনের অভাব মূলত দায়ী৷ তবে মাহবুবুর রহমান দরিদ্রতাকেই মানসিক রোগের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফেসবুকে৷
পাঠক আবদুল্লাহেল ফরিদ আরো লিখেছেন ‘‘চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বাংলাদেশে যারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হন, তাদের একটি অংশ আক্রান্ত হন বায়োলজিক্যাল এবং জেনেটিক কারণে৷ কিন্তু বড় একটি অংশ আক্রান্ত হন পারিবারিক এবং সামাজিক কারণে৷ নানা চাপ, দারিদ্র্য, সামাজিক এবং পারিবারিক অসঙ্গতি এর অন্যতম কারণ৷''
সন্তানের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখার কিছু উপায়
বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের চেয়ে মূল্যবান কি আরো কিছু আছে? এককথায় ‘না’৷ এ সম্পর্ক খারাপ হলে পরিবারে নানা জটিলতা আর অশান্তির সৃষ্টি হয়৷ সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু সহজ উপায় থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Colourbox
মায়ের সাথে সম্পর্ক
ছোটবেলায় শিশুরা বেশিরভাগ সময় যে মায়ের সাথেই থাকে – এ কথা ঠিক৷ তাই বলে যে মায়ের সাথে পরেও সম্পর্ক ভালো থাকবে এমন কোনো কথা নেই কিন্তু! সব সময় সম্পর্ক ভালো এবং সুন্দর সম্পর্ক রাখার জন্য অবশ্যই সে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে আর সেটা করতে হবে ছোটবেলা থেকেই৷ কিন্তু কিভাবে?
ছবি: Colourbox
সম্পর্ক তৈরি
দায়িত্ব পালন এক বিষয়, আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক সম্পূর্ণ অন্য একটা বিষয়৷ ছোটবেলা থেকেই শিশুর সাথে খেলাধুলা করুন, বই পড়ুন৷ শিশুর সাথে বসে টিভিতে শিশুদের অনুষ্ঠান দেখুন৷ শিশুকে অন্য শিশুর সাথে মিশতে, খেলতে দিন৷ এতেই বোঝা যাবে আপনার শিশুর পছন্দ, অপছন্দ, ভালো লাগা আর না লাগার কথা৷ শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিন তবে ওর পছন্দই যেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব না পায়৷
ছবি: Stadt Stuttgart/Kraufmann/Hörner
বাবার দায়িত্ব
সময়ের দাবির কারণে কিছুটা পরিবর্তন এলেও এখনো দেখা যায় যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সন্তানরা বেশিরভাগই মায়ের সাথে যতটা সহজ, বাবার সাথে তেমনটা নয়৷ তাই বাবাও সন্তানের জন্য কিছুটা সময় বের করে সন্তানের সাথে থাকুন৷ জার্মানিতে অনেক বাবাকেই দেখা যায় ছুটির দিনে সন্তানকে নিয়ে পার্কে, মিউজিয়ামে বা অন্য কোথাও ঘুরতে যেতে৷ এর মাধ্যমে বাবার সাথে সন্তানের গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা৷
ছবি: colourbox/S. Darsa
সমান দায়িত্ব
সন্তানদের সাথে ভালো এবং মধুর সম্পর্ক গড়া মা-বাবার সমান দায়িত্ব তাই দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে সব বিষয়ে কথা বলুন৷ এতে ছেলে-মেয়েরা সহজ হয়ে ওদের দুঃখ, কষ্ট ও সমস্যার কথা জানাতে দ্বিধা করবে না৷ শিশুদের ভয় দেখিয়ে কখনো কাছে আনা যায় না৷ওরা কোনো অপরাধ করলে তা নিয়ে সরসরি আলোচনা করতে হবে৷ ছোটবেলায় সন্তনকে ভয় দেখিয়ে কাজ হলেও, বড় বয়সে কিন্তু আর সে সম্পর্ক সুন্দর থাকে না৷ তাই সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে৷
ছবি: Getty Images/D. Silverman
সম্পর্কে দূরত্ব আনে প্রযুক্তির ব্যবহার
আজকাল প্রায়ই দেখা যায় একদিকে মা, একদিকে বাবা, আর অন্যদিকে সন্তান – যে যার মতো ব্যস্ত ফেসবুক, কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিয়ে৷ অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের ভেতর কথাবার্তা তেমন হচ্ছে না৷ তাই প্রয়োজন ছাড়া এই যন্ত্রগুলোকে সরিয়ে রেখে দিয়ে নিজেদের মধ্যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু-কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ গুন্ডুলা গ্যোবেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Tetra Images
সন্তানের সামনে ঝগড়া নয়!
বাবা-মায়ের নিয়মিত ঝগড়া সন্তানদের মনে ভীষণভাবে রেখাপাত করে, যা বড় বয়সেও তারা ভুলতে পারে না৷ শুধু তাই নয়, যারা খুব বেশি ঝগড়া করেন, তাঁদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি৷ এই তথ্য পাওয়া গেছে ডেনমার্কের কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের করা এক গবেষণার ফল থেকে৷ তাছাড়া বাবা-মা সারাক্ষণ ঝগড়া করলে সন্তানরা বিষণ্ণতায় ভোগে, যা পরবর্তিতে তাদের ভেতরে থেকে যায়৷
ছবি: Fotolia
আলোচনার বিকল্প নেই
পরিবারের সুখ-শান্তি রক্ষায় আলোচনার কোনো বিকল্প নেই৷ তাই ‘‘শিশুকে শিশু না ভেবে একজন সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গণ্য করে আলোচনায় ওকেও অংশ নিতে নিন৷ শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং ওকে বলার সুযোগ দিন৷ এর মধ্য দিয়ে আপনার সন্তানটিও বুঝবে যে সে পরিবারের একজন সদস্য এবং ওর মতামতেরও মূল্য আছে৷ এতে শিশুর দায়িত্ববোধ এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাও বাড়বে’’, বলেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture alliance/zb/Hans Wiedl
বকা বা ভয় দেখাবেন না!
আজকের যুগের জীবনযাত্রা মোটেই সহজ নয়, কিন্তু তারপরও মা-বাবা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের চাপ সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না৷ কারণ শিশুদের মন খুবই নরম, ওরা সব বাবা-মায়ের সব কথার উত্তর না দিলেও তা ওদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ভেলে, খুব সহজেই৷ দৈনন্দিন সমস্যার কথাও সন্তানদের সাথে শেয়ার করুন৷ হয়ত ওদের কাছে থেকেই পেয়ে যাবেন সমস্যার সমাধান৷বকাঝকা করে বা ভয় দেখিয়ে সন্তানদের কাছে আনা যায় না৷
ছবি: Sandy Schulze/Fotolia
স্বপ্ন আর বাস্তব – এক নয়!
প্রতিটি বাবা-মা চান তাঁদের সন্তান সব কিছুতেই ভালো করুক, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে, ‘স্বপ্ন আর বাস্তব’ – এক নয়৷ তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হয়নি বা অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় মনের মতো সাফল্য দেখাতে পারেনি বলে তাকে বকাঝকা না করে বরং আরও একটু বেশি যত্ন নিন, সাহস দিন আগামীবারের জন্য৷ তাছাড়া পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, কখনোই!
সন্তান এবং বাবা-মায়ের ভেতর এমন সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে যেন, একে-অপরকে নির্দ্বিধায় সব কথা বলতে এবং বুঝতে পারা যায়৷
ছবি: Colourbox
10 ছবি1 | 10
পাঠক নাসির উদ্দিন একটু ভিন্নভাবে দেখছেন৷ তাঁর মতে,‘‘আমরা ভাবি মানসিক রোগী মানেই পাগল৷ আসলে আমরা জানিনা কত ধরনের মানসিক রোগ আছে৷ যার কারণে অনেকে চিকিৎসা করান না বা সবার কাছ থেকে সেই সাহায্য পাননা৷ নাসির উদ্দিনের মতে, সবকিছুর আগে আগে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার৷''
আমাদের ফেসবুক বন্ধু তানভির আহমেদ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের একটি চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিস্থিতির কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমি ডয়চে ভেলেকে বাংলাদেশের একটি ডিজিটাল নির্যাতনের কথা জানাতে চাই৷ মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্র রিহ্যাব প্রতিষ্ঠানের কিছু নির্মমতার কথা বলছি৷ পারিবারিক কারণে একটি ছেলেকে রিহ্যাবে দিয়েছিল৷ সেই ছেলেটি রিহ্যাবে গিয়ে অন্যায়ভাবে চরম কারেন্টে শক্ এবং চরম মারধরের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল৷ একদিন আমি নিজে ছেলেটিকে দেখতে গেলে রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ ছেলেটি/আমার বন্ধুর সাথে দেখা করতে দেয়নি৷ তারপরে রিহ্যাব থেকে ফিরে আসা আর একটি ছেলের কাছে জানতে পারি বিনা কারণে রিহ্যাবে অনেক ছেলেকেই আটকে রেখেছে৷
ভালোবাসার যত্ন
‘ভালোবাসা’-র মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য প্রথমদিকে যেমন আবেগ, উৎসাহ আর আগ্রহ থাকে, ধীরে ধীরে তেমনই তা ম্লান হয়ে যায় যা খুবই স্বাভাবিক৷ তারপরও কীভাবে সম্পর্ককে মধুর, আনন্দময় রাখা যায় – সে বিষয়ে এই ছবিঘরে পাবেন কিছু ‘টিপস’৷
ছবি: Highlight
মিলেমিশে কাজ করা
প্রায়ই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনে একসাথে বাইরে থেকে ফিরলেন৷ কিন্তু খাবার তৈরি বা সংসারের অন্য কাজে লেগে গেলেন স্ত্রী৷ আর স্বামী টিভি চালিয়ে বসলেন সোফায়৷ এমনটা না করে বরং সংসারের কাজকর্ম দু’জনে মিলেমিশে শেষ করে, পরে একসাথে দু’জন মিলে টিভি দেখুন বা গল্প করুন৷ সারাদিন কে কী করলেন একে অপরেকে জানান৷
ছবি: Fotolia/Yuri Arcurs
ক্রুটি বড় করে না দেখা
একসাথে থাকতে গেলে অনেক সময় ছোটখাটো অভ্যাসগুলো অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ একজন হয়ত সব সময় মোজা খুলে বিছানায় রেখে দেন৷ অপরজন চুথপেস্টের ঢাকনা লাগাতে যান ভুলে৷ অনেক পরিবারে এ সব ছোটখানো বিষয় নিয়ে অযথা ঝগড়া শুরু হয়৷ তাই এই সব বিষয়গুলো এড়িয়ে চললে জীবন কিন্তু অনেক মধুর হতে পারে৷
ছবি: Fotolia/dkimages
স্বীকৃতি
সব মানুষই মাঝে মাঝে তাঁর কাজের স্বীকৃতি চায়, এমনকি সংসারের কাজের ক্ষেত্রেও৷ তাই মাঝে মধ্যে একে অপরকে সে কথা জানান৷ আরো রোম্যান্টিক হয়, যদি কথাটা জানানো যায় ছোট্ট একটি ‘নোট’ লিখে অথবা এসএমএস-এর মারফত৷ দেখবেন পরের দিন কাজের আগ্রহ তো বাড়বেই, তার সঙ্গে আপন মানুষটিকে মনে হবে আরো কাছের৷
ছবি: Fotolia/mars
প্রশংসা
অনেকদিন একসাথে থাকার ফলে সব কিছুই কেমন যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে যায়৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, নতুন পোশাক বা হেয়ার স্টাইলে আপনার সঙ্গিকে সুন্দর লাগছে – এ কথা বলতে একদম সংকোচ করবেন না৷ আসলে এমন ছোটখাটো প্রশংসার ‘এফেক্ট’ কিন্তু অনেক বড় হয়৷ অর্থাৎ ‘প্রশংসা ছোট তবে তার এফেক্ট বড়’৷
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
ভালোবাসার স্পর্শ
ভালোবাসা গাছের মতো, যত যত্ন করা যাবে ততই বাড়বে৷ ভালোবাসার স্পর্শে ডালপালা ফলে-ফুলে ভরে যায়, আর অযত্নে যায় শুকিয়ে৷ অনেক দম্পতি মনে করেন, ‘ভালোই তো আছি, আবার ভালোবাসা দেখাতে হবে কেন? অথচ ভালোবাসা দেখালে দাম্পত্য জীবন হতে পারে মধুময়৷ ঠিক গাছের মতোই যত্ন নিন৷ হঠাৎ করেই ফুল বা ছোটখাটো উপহার দিয়ে আপনার প্রিয়া বা প্রিয়তমকে দিন চমকে!
ছবি: Nelson Almeida/AFP/Getty Images
‘হবি’ বা সখ
মাঝে মাঝে কখনো নিজেরা একসাথে এমন কিছু করুন, যাতে অন্য ধরণের গল্প বা আলোচনা হতে পারে৷ একসাথে সাইকেল চালাতে বা হাঁটতে যেতে পারেন৷ খোলা আকাশের নীচে প্রাণ খুলে হাসুন বা কথা বলুন৷ একে অপরের সাথে সব কিছু ভাগাভাগি করার নামই যে বন্ধুত্ব, আর সেটাই তো দীর্ঘ ও সুখি দাম্পত্যের আসল কথা৷
ছবি: Foto: Ahrtal-Tourismus Bad Neuenahr-Ahrweiler e.V.
রাগ পুষে রাখতে নেই
রাগ, অভিমান ছাড়া কি দাম্পত্য জীবন মধুর হয়? রাগ, দুঃখ, অভিমান তো থাকবেই৷ কিন্তু তাই বলে রাগ যেন বেশিক্ষণ না থাকে৷ দিনের শেষে রাগ ভুলে অপরের কাছে এগিযে যান৷ রাগ বা মান ভাঙানোর উত্তম সময় সেটা৷ তা না হলে দু’জনকেই হয়ত না ঘুমিয়ে সারাটা রাত কাটাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে পরবর্তীতেও৷
ছবি: Fotolia/drubig-photo
কিছুটা দূরত্ব
মাঝে মধ্যে দাম্পত্য জীবনের সব কিছুই একঘেয়েমি মনে হতে পারে৷ তাই স্বামী তাঁর সহকর্মী বা পুরনো বন্ধুদের সাথে কখনো আড্ডায় যেতে পারেন৷ স্ত্রী তাঁর ছেলেবেলার বন্ধু-বান্ধবী বা কাছের কোনো মানুষের সাথে শপিং বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন৷ এতে নিজেদের অনেকটা হালকা মনে হবে৷ মাঝে মাঝে একটু দূরত্ব কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একে-অপরকে কাছে পাওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
বিবাহিত জীবনের জন্য পুরস্কার
দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশে পুরস্কার দেওয়ার রীতি রয়েছে৷ পোল্যান্ডের কোনো দম্পতির ৫০ বছর পূর্ণ হলে তাঁদের প্রেসিডেন্ট পদক দেওয়া হয়৷ অ্যামেরিকায় ৫০ বছর হলে হোয়াইট হাউস থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়৷ আর ইংল্যান্ডে ৬০ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করা কোনো দম্পতিকে রানির কাছ থেকে বার্তা পাঠানো হয়৷
ছবি: Fotolia/contrastwerkstatt
ঝগড়া এড়িয়ে চলুন!
ঝগড়া অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে৷ ডেনমার্কের কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, যাঁরা খুব বেশি ঝগড়া করেন তাঁদের অকালমৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি৷ কাজেই ঝগড়া এড়িয়ে চলুন!
ছবি: goodluz - Fotolia
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরে
খাওয়ার আগে কখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যাবেন না৷ পারলে মিষ্টি কিছু খেয়ে নেবেন৷ কারণ ওহাইয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞনীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, শরীরে শর্করার পরিমাণ কম হলে একে-অপরের প্রতি রাগ, ক্রোধ কেমন যেন আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠে৷ বলা বাহুল্য, গ্লুকোজ বা শর্করা মানুষের শরীরে জ্বালানির মতো কাজ করে৷
ছবি: Highlight
11 ছবি1 | 11
ওমর ফারুক কিন্তু মানসিক রোগের কারণ হিসেবে কর্মসংস্থানের অভাব, মাদকাসক্তি, আতঙ্ক, দারিদ্র, নিরাপত্তার অভাবকেই দায়ী করেছেন৷
রেজাউল করিম বলছেন, মানসিক রোগ হওয়ার পেছনে ওপরের বিষয়গুলো কোনো না কোনোভাবে দায়ী৷
‘‘ইসলামের রীতিনীতি না মানার কারণেই নাকি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়৷'' এই মন্তব্য আবু জাফর৷
আমাদের ফেসবুকের নিয়মিত বন্ধু জলিলুর রহমান কিন্তু মানসিক রোগের কারণ হিসেবে পুরোপুরি পরিবারকেই দায়ী করছেন৷ তিনি লিখেছেন এভাবে, ‘‘পারিবারিক সচেতনতার অভাবেই মানসিক রোগের শুরু৷ পরিবারে মা-বাবারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শিশুদের সামনে ঝগড়া বিবাদ করে৷ অহেতুক গালাগাল, দোষারোপ, দুর্ব্যবহার করে, যা শিশুদের ছোট মনে ছোট ছোট বিষণ্ণতার জন্ম দেয়, আর শিশুরা বড় হবার সাথে সাথে এই বিষণ্ণতা ধীরে ধীরে মানসিক চাপে পরিণত হয়৷ এই মানসিক চাপ কেউ সহ্য করতে পারে আর কেউ না পেরে হয়ে যায় রোগী৷''
মেহেদি আসিফের মতে সবাই কম বেশি এতে আক্রান্ত, কিন্তু অনেকেই নাকি তা বুঝতে পারে না৷
হাফসা বলছেন, যথেষ্ট ভালোবাসার অভাবেই মানুষ পাগল হয়৷ উইলিয়াম সুজনও হাফসার সাথে একমত৷
‘মানসিক রোগীকে পাগল বলা সামাজিক অপরাধ' জাহাঙ্গীর আলম তাঁর এই মন্তব্য সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷
পাবনার ‘পাগলা গারদের’ কিছু দুর্লভ ছবি
পাবনার মানসিক হাসপাতালকে অনেকে বলে ‘পাগলা গারদ’৷ সেখানকার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ অনেক৷ তবে এখানে থাকছে হাসপাতালটির কিছু দুর্লভ ছবি, যা ১৯৯৪ সালে তুলেছিলেন এক আলোকচিত্রী৷
ছবি: imago/UIG
প্রথম মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশের প্রথম মানসিক হাসপাতালের অবস্থান পাবনায়৷ ১৯৫৭ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল একটি বাড়িতে৷ পরে ১৯৫৯ সালে হাসপাতালটি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়৷ শুরুতে মানসিক হাসপাতালটি ছিল ৬০ শয্যাবিশিষ্ট৷ পরবর্তীতে তা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়৷
ছবি: imago/UIG
প্রায় দেড়কোটি মানসিক রোগী
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি, ২০১১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে এ কথা৷ এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য বলতে গেলে মূল সরকারি হাসপাতাল একটাই, পাবনায়৷ ছবিটি ১৯৯৪ সালে তোলা এক নারীর, যিনি ভারতের মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন এবং পাবনায় হাসপাতালটির শুরু থেকেই রোগী হিসেবে ছিলেন৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগী সম্পর্কে ভুল ধারণা
বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের ‘পাগল’ বলা হয়, যা অনেকক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ দেশটিতে মানসিক রোগীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে৷ মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যা এক অন্তরায়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছবিতে ১৯৯৪ সালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের রান্নাঘর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্য নয়
১৯৯৪ সালে যখন এ সব ছবি তোলা হয়, তখন মানসিক হাসপাতালে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ভর্তি করা হতো না৷ এখনও সেই নিয়ম চালু আছে কিনা জানা যায়নি৷
ছবি: imago/UIG
পুরুষ ওয়ার্ড
ছবিতে পাবনার মানসিক হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা না করার প্রবণতা রয়েছে, মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগীদের প্রার্থনা
মুসলমান পুরুষ রোগীরা প্রার্থনা করছেন৷ মানসিক হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ড থেকে ছবিটি তোলা হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, মানসিক রোগীদের পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়৷ বরং তাদের পরিবারের সংস্পর্শে রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত৷ বাংলাদেশে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন৷ পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের আত্মীয়রা সচরাচর তাদের আর খোঁজ নিতে আসেন না৷
ছবি: imago/UIG
হিংসাত্মক প্রবণতা আছে যাদের
হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে প্রবার প্রবণতা আছে এমন রোগীদের রাখা হয় আলাদা ওয়ার্ডে৷ ১৯৯৪ সালে তোলা ছবিতে সেই ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
চঞ্চল রোগীরা
মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের অনেকে অত্যাধিক চঞ্চল থাকেন৷ তারা প্রায়ই গলা ছেড়ে গান গান এবং নাচানাচি করেন৷ ছবিতে সেরকম কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের সমাজ এদের ‘পাগল’ বলে এবং প্রকাশের তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এক স্বাভাবিক ব্যাপার৷
ছবি: imago/UIG
বদলায়নি পরিস্থিতি
পাবনা মানসিক হাসপাতালে ১৯৯৪ সালে তোলা এসব ছবির সঙ্গে বর্তমানের পরিস্থিতির ফাঁরাক খুব একটা দেখা যায় না৷ হাসপাতালের পরিধি বাড়েনি, এখনো সেটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল৷ গত বছর তোলা হাসপাতালটির কিছু ছবি পেতে ক্লিক করুন ‘আরো’ বোতামে৷