মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভারতে গত এক দশকে অনেক কাজ হয়েছে৷ তাও সমাজ মানসিক সমস্যাকে পাগলের প্রলাপ বলেই মনে করে৷
বিজ্ঞাপন
‘আউচ, নিপা কেন্দ্র (নাম পরিবর্তিত)!’ কলেজ জীবনে এই বাক্যটি কোনো কোনো বন্ধুর মুখে মুখে ফিরত৷ নিপা আসলে একটি রিহ্যাব সেন্টারের নাম৷ মাদকাসক্তদের জন্য তৈরি ওই কেন্দ্রটি নিয়ে যারপরনাই ভয়ে থাকত বন্ধুদের একটি দল৷ বলতে দ্বিধা নেই, কলেজজীবনে নেশাখোর বন্ধুর পাল্লায় কম পড়িনি৷ হিন্দু হস্টেলে গাঁজার 'গঙ্গা-যমুনা' চলতো৷ কলকেতে গাঁজা ভরার একটি বিশেষ স্টাইলের নাম ছিল গঙ্গা-যমুনা৷ উত্তর-পূর্ব ভারতের বন্ধুরা বং চিনিয়েছিল সে সময়৷
ছাত্র জীবন কোনো বাধা মানে না৷ নৈরাজ্যবাদ তখন রক্তে৷ কেউ সেই নৈরাজ্যবাদী জীবনযাপনে বুঝে অংশগ্রহণ করে৷ কেউ অংশ নিতে গিয়ে তলিয়ে যায় নেশার অতলে৷ যারা হারিয়ে যেত, নেশাকেই জীবনের একমাত্র সৃজনশীল প্রকাশ বলে মনে করতো, তাদের মুখে একবার নয়, বার বার শুনেছি ওই বাক্যটি-- ‘আউচ, নিপা!'
স্নাতকোত্তর পড়তে পড়তেই সংবাদপত্রে শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হওয়ার সুযোগ মেলে৷ এখনো মনে আছে, জীবনের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টই ছিল রিহ্যাব সেন্টার এবং নেশারুদের জীবন৷ প্রথম গিয়েছিলাম নিপায়৷ ভয় পেয়েছিলাম৷ বুঝেছিলাম, বন্ধুদের মুখে শোনা বাক্যটি ঘোর বাস্তব৷ নিপা যেন এক আস্ত কনসেনট্রেশন ক্যাম্প৷ কথায় কথায় মারধর করা হতো নেশামুক্তির জন্য ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের৷ কারো পিঠে কালশিটে, কারো পায়ে প্লাস্টার, কারো শরীরে ইলেকট্রিলক শকের চিহ্ন-- সে এক বিচিত্র দৃশ্য! এ ভাবে নেশামুক্তি সম্ভব?
মানসিক রোগ চিকিৎসার কয়েকটি সেরা হাসপাতাল
মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ ও জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টাটিস্টা’ ২০২০ সালের বিশ্বের সেরা হাসপাতালের তালিকা করেছে৷ ছবিঘরে শুধু মানসিক রোগের বিশেষায়িত হাসপাতালের কথা থাকছে৷
ছবি: Hans Blossey/imago images
সেরা হাসপাতালের তালিকা
মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ ও জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টাটিস্টা’ ২০২০ সালের বিশ্বের সেরা হাসপাতালের তালিকা করেছে৷ ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস বেস্ট হসপিটালস ২০২০’ শীর্ষক এই তালিকায় বিশ্বের সেরা ১০০টি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ শীর্ষ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ো ক্লিনিক - রচেস্টার (ছবি)৷
ছবি: Glen Stubbe/TNS/Zuma/picture-alliance
যেসব দেশের হাসপাতাল
মোট ২১টি দেশের হাসপাতালের উপর জরিপ পরিচালিত হয়েছে৷ দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইটালি, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভারত, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল৷ ছবিতে বার্লিনের শারিটে হাসপাতাল দেখা যাচ্ছে৷ শীর্ষ হাসপাতালের তালিকায় এটি পাঁচ নম্বরে আছে৷
ছবি: John MacDougall/AFP/Getty Images
গবেষণা পদ্ধতি
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়৷ তিনটি বিষয়- মেডিকেল পেশাজীবীদের পরামর্শ, রোগীদের উপর পরিচালিত জরিপ এবং গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল পারফর্মেন্স নির্দেশক- বিবেচনা করে তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে৷
ছবি: Felix Hörhager/dpa/picture alliance
বিশেষায়িত হাসপাতাল
সবদিক বিবেচনায় সেরা হাসপাতাল নির্বাচন করা ছাড়াও ক্যানসার, হৃদরোগ, মানসিক রোগসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় গড়ে তোলা বিশেষায়িত হাসপাতালের উপরও আলাদা তালিকা করা হয়েছে৷ এছাড়া প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা করে সেইসব দেশের সেরা হাসপাতালের তালিকাও রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Daniel Karmann
মানসিক রোগের চিকিৎসায় সেরা হাসপাতাল
তালিকায় মোট সাতটি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে পাঁচটি জার্মানির৷ আর একটি করে ভারত ও স্পেনের৷
বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস’ (https://nimhans.ac.in/) ৷ নিউজউইকের জরিপের বিস্তারিত জানতে উপরের (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: nimhans.ac.in
8 ছবি1 | 8
কলকাতায় ‘মুক্তি' নামের একটি রিহ্যাব চালান বিদিশা ঘোষ৷ কথায় কথায় তিনি বলছিলেন, যে রিহ্যাবে মারধর করা হয়, সেখানে আর যাই হোক, নেশামুক্তি হয় না৷ ভয় দেখিয়ে নেশার মতো মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা থেকে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়৷ তার জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি আছে৷ মানসিক এবং শারীরিক চিকিৎসা৷
সমস্যা হলো, কলকাতা তো বটেই, গোটা ভারতে পাড়ায় পাড়ায় যে অসংখ্য রিহ্যাব সেন্টার গড়ে উঠেছে, তাদের সেই পরিকাঠামো নেই৷ লাইসেন্স পর্যন্ত নেই৷ তারা জানেই না, নেশামুক্তির বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া৷ খবরের কাগজের সঙ্গে তারা লিফলেট বিলি করে ‘গোপনে মদ ছাড়ান'৷ গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই তারা নির্বিচারে মারধর চালায়৷ মনে করে, এই মধ্যযুগীয় প্রক্রিয়াতেই বুঝি সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যাবে৷ যার পরিণামও হয়েছে ভয়াবহ৷ ব্যান্ডের এক পরিচিত ড্রামার এমনই এক নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করেছিল৷
শুধু তাই নয়, এই ধরনের নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছুটি পেয়ে মনোকষ্টে ফের নেশায় ডুবে যাচ্ছেন বহু মানুষ৷ বস্তুত, কোনো কোনো নেশামুক্তি কেন্দ্রে নতুন নেশার রসদ পাওয়া যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে৷
তা হলে কেন ওই কেন্দ্রগুলিতে পাঠানো হচ্ছে নেশাগ্রস্তদের? প্রশ্নটি করেছিলাম এক পরিচিত 'অ্যালকোহল অ্যানোনিমাস'এর বন্ধুকে৷ গত সাত বছর সে নেশামুক্ত৷ একসময় নেশা করে জেলেও যেতে হয়েছে৷ সম্প্রতি জীবনের সেই অধ্যায় নিয়ে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমা বানিয়ে সে৷ যা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক উৎসবে দেখানোও হয়েছে৷ বন্ধু বলছিল, নেশা নিয়ে সমাজে এক ধরনের ছূতমার্গ কাজ করে৷ কোনো পরিবারে নেশারু থাকলে পরিবার তা সমাজ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে৷ ফলে ঢাকঢোল পিটিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় না৷ গোপনে কোনো একটি রিহ্যাবে ভর্তি করে দেওয়া হয়৷ তারই সুযোগে দিকে দিকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অসংখ্যা সেন্টার৷ যাদের লাইসেন্স পর্যন্ত নেই৷ চিকিৎসার সাধারণ ব্যবস্থাও নেই৷
শুধু নেশামুক্তি কেন্দ্র নয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েই সমাজের মধ্যে এক ধরনের ছূতমার্গ কাজ করে৷ সাইকিয়াট্রিস্ট মানেই পাগলের ডাক্তার৷ সাইকোলজিস্টের কাছে যাওয়া মানেই মাথায় পাগলামো বাসা বেঁধেছে৷ সমাজের প্রতিটি স্তরেই এই অশিক্ষা এখনো প্রবল ভাবে রয়ে গিয়েছে৷ যে সমাজ মনের রোগ মাত্রেই পাগল ভাবে, সে সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থাও যে বিশেষ সুবিধাজনক নয়, তা বলাই বাহুল্য৷
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের মানসিক সমাজ নিয়ে কাজ করছেন বিশিষ্ট মনোবিদ রত্নাবলি রায়৷ আলাপচারিতায় বলছিলেন, ভারতে এখন ৩৭টি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে৷ জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা সেগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে৷ প্রথম ভাগের মানসিক হাসপাতালগুলি যথেষ্ট আধুনিক৷ পরিবেশ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সবই প্রথম বিশ্বের মানসিক হাসপাতালের সঙ্গে তুলনীয়৷ দ্বিতীয় বিভাগের হাসপাতালগুলির অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে৷ তবে আরো অনেক উন্নতি প্রয়োজন৷ ভয়াবহ অবস্থা তৃতীয় বিভাগের হাসপাতালগুলির৷ অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সেখানেই যান৷ রোগীদের উপর অত্যাচারের বহু অভিযোগ সেখান থেকে আসে৷ অবৈজ্ঞানিক, অনৈতিক ব্যবহার করা হয় রোগীদের সঙ্গে৷ তবে একই সঙ্গে রত্নাবলির বক্তব্য, গত এক দশকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বহু প্রতিষ্ঠান ভারতে কাজ করেছে৷ ফলে গত কয়েক বছরে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে৷
মন-সমাজবিদ মোহিত রণদীপ অবশ্য রত্নাবলির সঙ্গে পুরোপুরি এক মত নন৷ তাঁর বক্তব্য, বাহ্যিক পরিবর্তন হলেও, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবায় গোড়ায় গলদ রয়ে গিয়েছে৷ সরকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখনো সচেতন নয়৷ এখনো মানসিক রোগ মানেই পাগল-- এই ধারণাটি রয়ে গিয়েছে৷ নেশার সমস্যাই হোক, অথবা অন্য মানসিক রোগ-- পুরো বিষয়টি নিয়েই এখনো বহু কাজ বাকি বলে মনে করেন মোহিত৷
নেশা করে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকা এক তরুণ একটু চিকিৎসা পেলে কী ভাবে বদলে যেতে পারে, নিজের বন্ধু মহলেই তা দেখেছি৷ আর সেই নেশারুর উপরেই যখন অত্যাচার হয়, তখন তার পরবর্তী জীবন কতটা অমানসিক হয়ে উঠতে পারে, তার নজিরও রয়েছে চোখের সামনেই৷ মানসিক রোগীকে ঠিক সংস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব৷ সমাজেরও দায়িত্ব৷
পাবনার ‘পাগলা গারদের’ কিছু দুর্লভ ছবি
পাবনার মানসিক হাসপাতালকে অনেকে বলে ‘পাগলা গারদ’৷ সেখানকার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ অনেক৷ তবে এখানে থাকছে হাসপাতালটির কিছু দুর্লভ ছবি, যা ১৯৯৪ সালে তুলেছিলেন এক আলোকচিত্রী৷
ছবি: imago/UIG
প্রথম মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশের প্রথম মানসিক হাসপাতালের অবস্থান পাবনায়৷ ১৯৫৭ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল একটি বাড়িতে৷ পরে ১৯৫৯ সালে হাসপাতালটি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়৷ শুরুতে মানসিক হাসপাতালটি ছিল ৬০ শয্যাবিশিষ্ট৷ পরবর্তীতে তা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়৷
ছবি: imago/UIG
প্রায় দেড়কোটি মানসিক রোগী
বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি, ২০১১ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে এ কথা৷ এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য বলতে গেলে মূল সরকারি হাসপাতাল একটাই, পাবনায়৷ ছবিটি ১৯৯৪ সালে তোলা এক নারীর, যিনি ভারতের মাদ্রাজ থেকে এসেছিলেন এবং পাবনায় হাসপাতালটির শুরু থেকেই রোগী হিসেবে ছিলেন৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগী সম্পর্কে ভুল ধারণা
বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের ‘পাগল’ বলা হয়, যা অনেকক্ষেত্রে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ দেশটিতে মানসিক রোগীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে৷ মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যা এক অন্তরায়, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছবিতে ১৯৯৪ সালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের রান্নাঘর দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্য নয়
১৯৯৪ সালে যখন এ সব ছবি তোলা হয়, তখন মানসিক হাসপাতালে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ভর্তি করা হতো না৷ এখনও সেই নিয়ম চালু আছে কিনা জানা যায়নি৷
ছবি: imago/UIG
পুরুষ ওয়ার্ড
ছবিতে পাবনার মানসিক হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে মানসিক অসুস্থতাকে রোগ হিসেবে বিবেচনা না করার প্রবণতা রয়েছে, মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা৷
ছবি: imago/UIG
মানসিক রোগীদের প্রার্থনা
মুসলমান পুরুষ রোগীরা প্রার্থনা করছেন৷ মানসিক হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ড থেকে ছবিটি তোলা হয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, মানসিক রোগীদের পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়৷ বরং তাদের পরিবারের সংস্পর্শে রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত৷ বাংলাদেশে অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন৷ পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের আত্মীয়রা সচরাচর তাদের আর খোঁজ নিতে আসেন না৷
ছবি: imago/UIG
হিংসাত্মক প্রবণতা আছে যাদের
হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে প্রবার প্রবণতা আছে এমন রোগীদের রাখা হয় আলাদা ওয়ার্ডে৷ ১৯৯৪ সালে তোলা ছবিতে সেই ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগীকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: imago/UIG
চঞ্চল রোগীরা
মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের অনেকে অত্যাধিক চঞ্চল থাকেন৷ তারা প্রায়ই গলা ছেড়ে গান গান এবং নাচানাচি করেন৷ ছবিতে সেরকম কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের সমাজ এদের ‘পাগল’ বলে এবং প্রকাশের তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা এক স্বাভাবিক ব্যাপার৷
ছবি: imago/UIG
বদলায়নি পরিস্থিতি
পাবনা মানসিক হাসপাতালে ১৯৯৪ সালে তোলা এসব ছবির সঙ্গে বর্তমানের পরিস্থিতির ফাঁরাক খুব একটা দেখা যায় না৷ হাসপাতালের পরিধি বাড়েনি, এখনো সেটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল৷ গত বছর তোলা হাসপাতালটির কিছু ছবি পেতে ক্লিক করুন ‘আরো’ বোতামে৷