1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষের বায়নায় রোবটের কাজ

সারা ক্লুম্পস/এসবি১০ জুন ২০১৫

রোবটের নানা কেরামতি আমরা দেখতে অভ্যস্ত৷ কিন্তু রোবটের রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন কখনো? শিল্পজগতের ভবিষ্যৎ ধীরে ধীরে সেদিকেই এগোচ্ছে৷ তারই কিছু নমুনা তুলে ধরছেন ইউরোপের দুই উদ্ভাবক৷

Symbolbild Autoindustrie Deutschland VW-Werk in Wolfsburg
ছবি: picture-alliance/dpa/Stratenschulte

শিল্পকলা নাকি শুধু কাজের জিনিস? এর নাম ডিজাইন ফোর পয়েন্ট জিরো৷ রোবটের হাত শক্ত স্পঞ্জ কিউব দিয়ে এ সব তৈরি করছে৷ ডিজিটাল ডিজাইনার রিড ক্র্যাম বলেন, ‘‘একেবারে মৌলিক অবস্থায় এটাকে বসার টুল, সাইড টেবিল ইত্যাদি নানাভাবে বাড়ির কাজে লাগানো যায়৷ কিন্তু মানুষই এর সীমাহীন ব্যবহার করে দেখাচ্ছে, যার অনেকগুলি এমনকি আমরাও কল্পনা করতে পারি না৷''

এই ‘ইনস্টলেশন'-এর নাম ‘রোবোচপ'৷ এটা অনেকটা থ্রিডি প্রিন্টারের মতো কাজ করে, তবে অনেক ভালো ও দ্রুত, সেইসঙ্গে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ৷ কারণ ইউজার তার ডিজাইন সরাসরি রোবটকে পাঠিয়ে দিতে পারে৷ একটি ওয়েবসাইটে সে নিজস্ব ডিজাইন অনুযায়ী একটি কিউব-কে পছন্দমতো গড়ে তুলতে পারে৷ তারপর রোবোচপ তার বাস্তব রূপ দেয়৷ ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে কাজ হয়ে যায়৷ একজন বললেন, আগে এমনটা সম্ভবই ছিল না৷ ডিজাইনার না হয়েও এমন কিছু গড়ে তোলা যায়৷

জার্মানির ক্লেমেন্স ভাইসহার ও সুইডেনের রেড ক্রাম রোবোচপ উদ্ভাবন করেছেন৷ তাঁদের তৈরি করা রোবট ‘ডিজিটাল ইকোনমি'-র প্রতীক – অর্থাৎ ডিজিটাল ও শিল্পজগতের সংমিশ্রণ৷ ক্লেমেন্স ভাইসহার বলেন, ‘‘সব যন্ত্র কম্পিউটার-চালিত, তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত করলে অনেক বাড়তি ক্ষমতা পাওয়া যায়৷ আমরা এখানে যা করছি, সেটা অনেকটা তারই এক ‘এক্সট্রিম' উদাহরণ৷ আমরা সব সীমা ভেঙে দিয়ে ব্যবহারকারী ও যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছি৷''

চলতি বছর জার্মানির হানোফার শহরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্পমেলায় প্রায় ৩,৩০০ সংস্থা ভবিষ্যতের দিশা তুলে ধরেছিল৷ তার একটি বিষয় ছিল ‘ডিজাইন ফোর পয়েন্ট জিরো', যার মূলমন্ত্র হচ্ছে কনজিউমার বা গ্রাহকই উৎপাদন করবে৷ এই সফটওয়্যারের সাহায্যে সে কোনো ছবি ত্রিমাত্রিক মডেলে পাঠিয়ে থ্রিডি প্রিন্টিং করতে পারবে৷

নতুন এক ‘পিক-টু-কমিক-অ্যাপ' ছবি ও ভিডিও বিকৃত করে দেয়, যাতে ফেসবুক-এর মুখ চেনার ক্ষমতা সেগুলির উপর খাটানো সম্ভব না হয়৷ এক দর্শক বললেন, তিনি কারো মর্জির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো নির্দেশ দিতে পারেন৷ এ যেন মুক্তির এক অনুভূতি৷

ক্লেমেন্স ভাইসহার ও রেড ক্রাম নিজেদের জগতে ‘নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল ডিজাইনার' হিসেবেই পরিচিত৷ মিউনিখে তাঁদের স্টুডিওয় তাঁরা ‘রোবোচপ' উদ্ভাবন করেন৷ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এর জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার গড়ে তোলা৷ ভাইসহার বলেন, ‘‘একবিংশ শতাব্দীর উপকরণ হলো সফটওয়্যার – অর্থাৎ কম্পিউটার কোড৷ এটা একটা টেক্সট ফাইল, যার মধ্যে কম্পিউটারের ডেটা প্রসেসিং-এর নির্দেশিকা রয়েছে৷ আজকাল সে সব দিয়েই পণ্যের রূপ দেওয়া হয়৷ বাস্তব আর ডিজিটাল জগতের মধ্যে ফিকে হতে থাকা সীমাই আমাদের জন্য ইন্টারেস্টিং৷

বাস্তব আর ডিজিটাল জগতের মধ্য নেটওয়ার্কিং-এর আরেকটি উদাহরণ ‘আর-এইটিন উলট্রা চেয়ার' নামের এক কার্বন চেয়ার৷ সেন্সর-এর সাহায্যে বসার সময় চেয়ারের উপর চাপ নির্ণয় করা হয়৷ কয়েক'শ মানুষ এই সেন্সর-লাগানো চেয়ারে বসেছেন এবং এভাবে তারাও ‘স্রষ্টা' হয়ে উঠেছেন৷ ডিজিটাল ডিজাইনার রিড ক্র্যাম বলেন, ‘‘শুধু রেসিং কার তৈরির সময়ই সেন্সরের ব্যবহার হয় না৷ এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে৷ ইন্টারনেটে কিছু করলেই যেমন কেউ না কেউ তা টের পায়৷ খেলাধুলার ক্ষেত্রেও চারিদিকে সেন্সর লাগানো থাকে৷ এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে হালকা চেয়ার তৈরি করা এবং ডিজাইন প্রক্রিয়ার সময় সবকিছু ‘অপটিমাইজ' করা৷''

এই উদ্ভাবক-জুটি মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে সীমা বার বার অস্পষ্ট করে তোলেন৷ ২০১০ সালে তাঁরা লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়্যারে রোবট-দের বার্তা আকাশে প্রোজেক্ট করেছিলেন৷ সারা বিশ্বের ইউজাররা সেই সব বার্তা পাঠিয়েছিলেন৷ তারা আবার সেই বার্তা ভিডিও হিসেবে ফেরত পেয়েছিলেন৷ ফলে তারা বেশ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ