1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবমর্যাদা অলঙ্ঘনীয়

রাইনার হফমান/এসি১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বার্লিনে আজ মুক্ত বিশ্ব, সংহতি, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের সমর্থনে একটি জোট ঘোষিত হচ্ছে৷ অসহিষ্ণুতা, বৈরিতা ও হিংসার বিরোধী এই জোটের উদ্যোক্তাদের মধ্যে আছেন জার্মান শ্রমিক সংগঠন সমিতির সভাপতি রাইনার হফমান৷

Deutschland Grundgesetz Artikel 1 Schriftzug am Landgericht Braunschweig
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte

বহু উদ্বাস্তু, শরণার্থী এবং অভিবাসীদের আগমনের ফলে জার্মানি আজ একাধিক অ-গতানুগতিক ও সুবৃহৎ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন৷ চ্যালেঞ্জগুলি গতানুগতিক নয় বলেই তাদের বিরুদ্ধে একটি অনুরূপ অ-গতানুগতিক ও অসাধারণ জোট গড়ে উঠেছে৷ এই জোট অসহিষ্ণুতা, মানুষে মানুষে বৈরিতা ও হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে৷ শ্রমিক সংগঠন থেকে শুরু করে গির্জা কিংবা খেলাধুলার জগৎ, পরিবেশ সংরক্ষণ কিংবা সাংস্কৃতিক মহল, সব কিছুর প্রতিনিধিরা এই জোটে সংশ্লিষ্ট, যা সম্ভবত আয়তনে জার্মানির সুশীল সমাজে অভূতপূর্ব৷

রাজনৈতিক বার্তা

আমরা এই আহ্বানের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট ও জরুরি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাই: হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জগুলো বড় বটে, কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা সকলে, সুশীল সমাজ ও উদ্বাস্তুরা মিলে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারব৷ যেমন আমাদের, তেমনই উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের তরফে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া তা সম্ভব হবে না৷ ইস্তেহারে যে ধরনের শর্ত ও নিয়মাবলীর কথা বলা হয়েছে, তা ছাড়াও এ-কাজ সম্ভব হবে না; শিক্ষা ও অবকাঠামোয় বিনিয়োগ ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে৷

জার্মান সংবিধানের সেই অংশ, যেখানে লেখা আছে ‘মানবমর্যাদা অলঙ্ঘনীয়’ছবি: picture-alliance/dpa/J.Kalaene

যারা জাতিবাদ, মানববৈরিতা ও ঘৃণা দিয়ে এই সব চ্যালেঞ্জের জবাব দেবার চেষ্টা করে, তাদের প্রতি আমাদের রাজনৈতিক মনোভাব যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই স্পষ্ট৷ উদ্বাস্তু আবাসনের উপর ন'শোর বেশি আক্রণের ঘটনা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশে দক্ষিণপন্থিদের লক্ষণীয়ভাবে জনসমর্থন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে যে বিকাশধারা সূচিত হয়েছে, তা আমাদের রোধ করতে হবে৷ এটা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, জার্মানি এবং অপরাপর দেশে যে ধারাটি প্রতিদিন পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা অনেক বেশি জোরদার: যারা উদ্বাস্তুদের সাহায্য করার জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন, পৌর পর্যায়ে, স্কুলে কিংবা পুলিশবাহিনীতে, তাঁদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরতে হবে৷

জার্মান শ্রমিক সংগঠন সমিতির সভাপতি রাইনার হফমান

কাজের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি

আমরা এই জোটের উদ্যোগ নিয়েছি, কেননা অফিস, কল-কারখানা, কনস্ট্রাকশন সাইট কিংবা সুপারমার্কেটই হলো সেই সব স্থান, যেখানে বিদেশি-বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্তি বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়৷ চিরকালই এই সব স্থানে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ ঘটে৷ যারা একসঙ্গে কাজ করেছেন, তারা আর পরস্পরের কাছে অপরিচিত থাকেন না৷ বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য আমাদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা এবং অফিস-কলকারখানার শ্রমিক ও কর্মচারী পরিষদের কর্মকর্তারা সক্রিয় হবেন৷ জোটে আমাদের সহযোগী সংস্থারা তাদের নিজ নিজ কাঠামো অনুযায়ী এই ইস্তেহারের লক্ষ্য সাধন করার চেষ্টা করবে – আবার আমরা বিভিন্ন যৌথ প্রচেষ্টাও নেব৷

জোটের দশ সহযোগী সংস্থা এই জোটকে বাড়ানোর এবং অপরাপর সংগঠন ও জনজীবনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের শামিল করার চেষ্টা করবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ